ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ হুমায়ূন আহমেদের অন্তিম শয়ানে যে এক চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করবে, আমার এমন আশঙ্কাই ছিল। বাস্তবে হলও তাই। আর তাই আমি গত . ১২ মে সকালে নুহাশ পল্লীতে বসেবিডি নিউজে দেয়া হুমায়ুন আহমেদের সাক্ষাৎকারটি এই ব্লগে তুলে ধরেছিলাম। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেও চাননি তাঁর দাফন নুহাশ পল্লীতে হোক। হুমায়ূন আহমেদ বলেন, “আমি চাচ্ছিলাম, আমার মৃত্যুর পর কবরটা এখানে হোক।
পরে দেখলাম, এটা কবরস্থান হয়ে যাবে। এটা কবরস্থান হওয়ার স্থান নয়। এটা তখন গুলিস্থানে পরিণত হবে। এখানে দুনিয়ার লোক আসবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ফুল দেওয়ার জন্য, ১৩ নভেম্বর ফুল দেওয়ার জন্য আসবে।
এটা হয়ে যাবে একটা কবরস্থান। এটা কবরস্থান বানানো যাবে না। ”
আজ সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিং নোভা-শীলা-নুহাশ জানায় তারা নুহাশপল্লীতে বাবার কবর চান না।
হুমায়ুনের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন দাবি করছেন হুমায়ুনের শেষ ইচ্ছে নুহাশ পল্লীতে শেষ শয়ানে যাবার। কিন্তু নোভা-শীলা-নুহাশ তথা হুমা্যুনের পরিবারের অন্য সদস্যরা তা চান না।
স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যা সাধানে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হলেন। যা ইতিহাস বিরল!
"খবরে প্রকাশঃ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লাশ এখনো দাফন না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি।
হুমায়ূন আহমেদের দাফন নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদ ভবন এলাকার বাড়িতে বৈঠকে বসেছেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকে এ বিষয়ে একটা সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ, মেয়ে শিলা, নোভা, ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ। তবে এই বৈঠকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এখনো যোগ দেননি।
আজ সকালে বিমানবন্দরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর স্বামীর মরদেহ নুহাশপল্লীতেই সমাহিত করার আবেদন জানান। অন্যদিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হুমায়ূন আহমেদের লাশ দাফন সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন নোভা, শীলা ও নুহাশ আহমেদ। তাঁরা চান নুহাশপল্লী যেন তাঁদের বাবার কবরস্থান না হয়।
বাবা হুমায়ূন আহমেদকে এমন কোনো জায়গায় দাফন করা হোক, যাতে সবাই সেখানে যেতে পারেন। তাঁর জন্য দোয়া করতে পারেন।
আজ রাত আটটার দিকে রাজধানীর পল্লবীতে হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবীবের বাসভবনের সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ ও নুহাশ আহমেদ। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভাই মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন হক, শীলা আহমেদের স্বামী অপু।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ইয়াসমীন হক বলেন, ‘যেহেতু একটা সিচুয়েশন ক্রিয়েট হয়েছে, তাই বাচ্চারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা একটা অবস্থান নেবে।
তাঁদের সেই অবস্থান এখন তুলে ধরবে। ’
হুমায়ূন আহমেদের বড় মেয়ে নোভা আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাই এমন জায়গায় বাবার কবর হোক, যেখানে সবাই সব সময় যেতে পারবে। ’ তিনি বলেন, ‘বাবা জীবিত থাকতে বারবার বলেছিলেন, নুহাশপল্লীকে যাতে কবরস্থান বানানো না হয়। আমরা চাই নুহাশপল্লী বাদে অন্য কোনো কবরস্থানে (সেটা মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান হতে পারে) বাবার কবর হোক, যাতে সবাই সেখানে গিয়ে দোয়া করতে পারে। ’
হুমায়ূন আহমেদের দাফন কোথায় হবে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী, জানতে চাইলে ভাই জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, ‘অপেক্ষা করুন।
সময় হলে জানানো হবে। ’ (নিউজ)"
আমার মনে হয় শাওনের মনে হয়তো এক ধরণের ভয় কাজ করছে, আর তাই তিনি বলছেন হুমায়ূন আহমেদের শেষ ইচ্ছে সেখানেই তাঁকে দাফন করা হোক, কথার জাদুকর আদৌ তা চান নি...আর নোভা-শীলা-নুহাশকে হুমায়ূন আহমেদ কখনই অস্বীকার করেন নি যে তারা তাঁর সন্তান নয়...তাই তাদের অধিকার খর্ব করার মতন নয়...দাবীও অযৌক্তিক নয়... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।