দেশের স্বার্থে রাজনীতি করুন,নিজের স্বার্থে নয়। সদ্য প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে সমাহিত করার স্থান নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, পারিবারিকভাবে কোন সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পোঁছাতে পারে নাই তারা। সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন তার পরিবারের সদস্যরা। ব্যপারটা বেশ দুঃখজনক।
কিন্তু এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেন হচ্ছে!!!!
এখানেকি শুধু হুমায়ূন আহমেদের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে এই মতের অমিল? নাকি অন্য কোন কারনে!!!
হুমায়ূন আহমেদের ইচ্ছার ব্যপারটা নিয়ে একধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
তাকে নুহাশ পল্লীতে সমাহিত করার কথা বলছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন।
তার ভাষ্যমতে, হুমায়ূন আহমেদের শেষ ইচ্ছা ছিল, নিজের হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতেই যেন তাকে সমাহিত করা হয়।
নূহাশপল্লী ছিল হুমায়ূন আহমেদের সব থেকে প্রিয় জায়গা । মৃত্যুর আগেও তিনি শেষবার দেশে এসে প্রথমেই অন্য কোথাও না গিয়ে নূহাশপল্লীতেই এসেছিলেন। এবং সেই সফরের অধিকাংশ সময়ই তিনি নূহাশপল্লীতে কাতিয়েছেন।
নূহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের অনেক সৃতি জড়িয়ে আছে। এই জায়গাটাকে তিনি অনেক ভালবাসতেন। ইতিপুর্বে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে নূহাশপল্লীতে সমাধিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার লেখায় ও মিডিয়াতেও তিনি এমনি আশাব্যক্ত করেছিলেন।
তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মদ্ধে তার ছোট ভাই কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, নুহাশপল্লীতেই হুমায়ূনকে সমাধিত করা হতে পারে।
তার আরেক ভাই লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশে আশার পরে পারিবারিকভাবে মুটামুটি সিদ্ধান্ত হয়ে যায় যে , তাকে নুহাশপল্লীতে সমাধিত করা হবেনা।
তিনি বলেন, তাদের মায়ের ইচ্ছা হুমায়ূন আহমেদকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান বা বনানী কবরস্থানে সমাধিত করার।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল আরো বলেছিলেন, হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওনের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হুমায়ূন আহমেদের মেজো মেয়ে শীলা আহমেদ জানিয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদ রাজধানীর বনানী কিংবা শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
পারিবারিক সদস্যদের ব্যক্তিগত সার্থের কারনে কি এমনটা হচ্ছে?
নুহাশপল্লীতে সমাধিত না করার প্রসঙ্গে শীলা আহমেদ বলেন, “নুহাশপল্লী একটি প্রাইভেট প্রোপার্টি।
আর প্রাইভেট প্রোপির্টিতে বাবার দাফন আমরা করবো না।
এইভাবে প্রাইভেট প্রোপার্টি বলার উদ্দেশ্য কি!
নুহাশপল্লী হুমায়ূন আহমেদের সম্পত্তি, কারো কবর তার নিজস্ব জায়গায় হলে আপত্তি থাকার কিছু নেই।
শীলা আহমেদের বক্তব্য কি নুহাশপল্লী ভাগবাটোয়ারার ইঙ্গিত দেয়!!!
নুহাশপল্লীতে সমাধিত না করার ব্যপারে সবার বলেছেন, নুহাশপল্লীতে সমাধিত করা হলে হুমায়ূন আহমেদ আড়ালে থেকে যাবেন।
কিন্তু আমারতো মনে হচ্ছে , নুহাশপল্লীতে সমাধিত করা হলে তিনি আরো ভক্তদের কাছাকাছি থাকতে পারবেন। সবাই তাকে এবং তার সৃষ্ট নুহাশপল্লী দেখতে যাবেন।
তার সৃষ্ট নুহাশপল্লী অমর হয়ে থাকবে।
বরঞ্চ বনানী কিংবা শহীদ বুদ্ধিজীবী কবররস্থানে সমাধিত করা হলে তিনি অত মানুষের মদ্ধে আড়াতে পরে যাবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।