লন্ডন প্রবাসি কবি এবং লেখক শামিম আজাদ বলেছেন,''প্রয়াত প্রিয় মানুষটির প্রান বিহিন ছবি ফেইস বুকে দেয়া বন্ধ করুন। এ ছবি আপনি প্রকাশ করতে পারেন না। ''
তিনি হুমায়ুন আহমেদের মরদেহের ছবি দেদারসে গন-শেয়ার করার কথা বুঝিয়েছেন।
বাংলাদেশে কিছুদিন আগে দুইজন সাংবাদিক-কে বেধড়ক পেটাচ্ছিলো পুলিশ। আর সেই পেটানোর দৃশ্য ক্যমেরায় তুলতেই মার খাওয়া সাংবাদিকদের বন্ধু সংবাদকর্মীরা ছিলেন অতি ব্যস্ত।
সেই মুহূর্তে তাঁদেরকে 'সেফ' করতে গেলে তাঁরা হয়তো কম মার খেতেন। এই জন্যেই বললাম, আমরা সবাই ছবি তুলতে আর শেয়ার করতেই অভ্যস্ত হয়ে যাছছি। কে মরলো আর কে মার খেল......তার খবর কে রাখে? কিছুদিন আগে ঢাকায় এক তরুনীকে ২৬ টুকরা করা হলো, ভয়ংকর সেই ছবি, সাগর- রুনির লাশ, এমনকি তারেক মাসুদ, মিশুক মুনিরের লাশ সব-ই ছাপা হয়, ফেস বুকেও চলে আসে। আর পিলখানার সেনাবিহিনীর অফিসারদের লাশের ছবি দেখে অঝোরে কেঁদেছি। বাংলাদেশে টিভি সাংবাদিকতা শুরু হবার পর আরেকটা কালচার শুরু হয়েছে।
বিখ্যাত কেউ ইন্তেকাল করলেন, টিভি ক্যমেরা চলে আসলো । সেখানেও দেখা যাবে , যাদের প্রিয় মানুশটি মারা গেলেন, তাঁদের ছবি যেনো তুলতেই হবে। আবার মরদেহ নেওয়া হবে , হয়তো চারুকলা, কিম্বা শহিদ মিনার......সেখানেও প্রায় সময়ই বিশৃঙ্খলা দেখা যায়
লাশের ছবি আদৌ কি ছাপা উচিত? যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর একটি অতীতে তোলা ভালো ছবি ছাপা যেতে পারে। আবার অনেক বেওয়ারিশ লাশের ছবি ছাপানোর মধ্য দিয়ে অনেকের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়।
লাশের ছবি ছাপা বা না ছাপা নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করা যায় কী? ব্রডকাস্ট বা প্রিণ্ট জারনালিস্টরা ব্যপারটা ভেবে দেখতে পারেন।
ঐদিক ( মিডিয়া) থেকে বন্ধ হলে এইদিক ( ফেসবুক) থেকেও লাশের ছবির যত্রতত্র 'শেয়ারিং' কমে আসবে।
বিঃ দ্রঃ নিউইয়র্ক প্রবাসি সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকির ক্যমেরায় তোলা শাওনের সাম্প্রতিক ছবি। নিকট আত্মিয় রা তাঁকে নিয়ে যাচ্ছেন। ফেস বুকের মাধ্যমেই পাওয়া। [img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/7821/small/?token_id=2d7d33a1cb0c01527e1c1c1985043484
টাওয়ার হ্যমলেট
লন্ডন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।