ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড চারবছর বিদেশ ‘ছিলো ক। বয়সটা যা তাতে জৈবিকতাকে উপেক্ষা কঠিন ছিলো তার। চারদিকে আহ্ববানেরও অভাব ছিলো না। সাড়া না দিয়ে থাকা কঠিন। কিন্তু সে কঠিন কাজটাই সাধন করেছে সে।
তবে বছর খানেক। শেষে বাধ্য হয়ে একজনকে বিয়েই করে ফেললো। তাতে অন্যদের হাত থেকে অন্তত নিস্তার মিললো কিছুটা।
চলছিল সবকিছু ঠিকঠাক। কিন্তু দেশে ফেরার বছরখানেক আগে ঘটলো বিপত্তি।
একসাথে থাকা দায়। শেষমেষ বিচ্ছেদেই হলো সমাধান। ক’ খুব দুঃখ পায় না অবশ্য। নিজেকে অন্তত ভাসিয়ে দেয় নি ভোগের স্রোতে। যতদিন ছিলো একজনেই ছিলো সীমাবদ্ধ জীবন তার।
দেশে ফিরে আবার সাজাতে চায় জীবন। কিন্তু হায়! তার অতীত বিয়ের খবরটা জানে যেন পুরো দেশ। কোন মেয়েই যে বিবাহিত পুরুষে আগ্রহী নয়। কেমন অপ্রস্তুত বোধ করে ক।
.............................................................................................
খ বছর দুয়েক ছিলো বিদেশ।
কোন কিছুতেই বাধা ছিলো না তার। অন্তত মনের মধ্যে কোন রকম দ্বিধা তৈরি হয় নি। এক এক মাস একজনের সাথে কেটেছে উন্মাতাল দিন-রাত। কালো আফ্রিকান থেকে শুরু বাদ যায় নি শ্যামবর্ণ এশিয়ান। দুধসাদা ইউরোপিয়ানের কথা তো বলাই বাহুল্য।
খ কাউকেউ কথা দেয় নি। কেউ তার কাছে প্রতিশ্রুতি চায়ওনি কোন। কেবল তাদের শরীর খুজে নিয়েছিলো ক্ষণকাল সুখ। আত্মায় আত্মায় মিলনের আকাংখা ছিলো না কারোরই।
বছর দুই পরে দেশে আসে খ।
এবার একটা পাকাপাকি ঘর বাধা যায় কি? হলো তো অনেক কিছু। এবার তবে দেশেই হোক আমরণ সংসার। খোজ যায় এদিক ওদিক। অবিবাহিত পুরুষ এসেছে এক এ তল্লাটে- বিদেশ ফেরত।
ভীড় জমে খ’এর ঘরে।
হামলে পড়ে কুমারি মেয়ের অভিভাবক । খ’ যে পরম আরাধ্য যে কোন মেয়ের কাছে।
এভাবেই কেউ একজন হেরে যায়।
ক্লিন
রাত ১.৩২
১৫.০৭.২০১২ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।