ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড
বাসায় ফিরে প্রথমেই খুঁজি ম্যাক এবং জ্যাক-কে। তারা আমার নেফিউ। দুজনের কাছাকাছি বয়স। এখন তিনের কোঠায় আছে। সকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত তাদের হাঙ্গামায় ঘরে থাকা মুশকিল।
বিশেষত ছুটির দিনে তো আমার বড্ড যন্ত্রণা হয়। অবশ্য প্রায়শই পাবলিকেশন্স অফিসে চলে যাই বলে রক্ষা।
কিন্তু তারপরও বাসায় ফিরে ওদের সাথে কথা বলা চাই-ই। কী অদ্ভুত বৈপরীত্য। ওরা যন্ত্রণা দেয় সেটা আবার ভালোও লাগে!
আজও বাসায় ফিরে দেখি ওরা টিভি রুমে।
আমি দুজনের নাক টিপে দিয়ে আমার রুমে আসি। কাপড় পাল্টে বের হই। খাবার টেবিলে কাঠাল রাখা। এমনিতে খুব পছন্দের তালিকায় নেই কাঠাল। তারপরও টেবিলে অল্প একটু দেখে বোধ হয় ভালো লাগে।
অল্প জিনিস সবসময় মজা হয়। আমি কাঠাল তুললাম। তিন চার কোয়ার বেশি হবে না। বেশ ভালোও লাগছে।
এরমধ্যে জ্যাক আসলো।
সে একটা ওয়েফার খাচ্ছে। আমি বললাম- কাঠাল খাবা জ্যাক?
-‘না, খাব না। আমি ছোটতো, গলায় আটকায়’। জবার দেয় জ্যাক।
-‘তাহলে তো না খাওয়াই ভালো।
বড় হয়ে খাবা ঠিক আছে?’ বলি আমি।
-‘হুনন....বড় হয়ে আমি ফ্যানও মুছবো’। - যোগ করে জ্যাক।
কথাটা শুনে আমি জ্যাকের দিকে বিমর্ষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। আহা! যে ফাঁদে ছিলো আমাদের সব পূর্বপুরুষ, যে ফাঁদে ছিলাম আমি, সেই একই ফাঁদে পড়েছে জ্যাক।
সে এখন বড় হতে চায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।