আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“মুঞ্চায়” “কমু” কারন আমার “মন চায়” । ভাষার অভ্যন্তরের “এরইম্না” “ফরিবর্তন” “ভাষারে” “করি” “তোলে” বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় ।

হরতমেই কইতাম চাই, যেই আইবেন নিজ দায়িত্তে আইয়েন, হরে কইলাম আঙ্গ ভাষা হুনি নিজের বেবাক ভাষা ভুলিগ্লে লেখক দায় বহন করিবেন না । যাই হোক ভাষা সম্পর্কিত খুবই সহজ একটি সংজ্ঞা পড়িয়াছিলাম ছোটবেলায় যে “মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই হল ভাষা” । সামুর হিট মার্কেট কিন্তু এই ভাষার টপিকে আইজ কাইল বেশ রমরমা । সুতরাং ভাইবলাম যে আমি কেন আজ এই দোউরে হিছনে অবস্থান কইরব ? উগাই যাইউম বেবাকের লগে । তবে শুধুমাত্র কিছু হিটানোর উদ্দেশ্যেই নহে বরং ভাষার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বইলতে চাহিতেছি যে এইতান ভুল ভাল চিন্তা এবং চেতনার আগমন করাইয়া লিখার শৈল্পিকটা নষ্ট করার কোন হেতু দেখিতেছিনা ।

ভাষা ফরিবর্তনশীল , মিনিটে মিনিটে বদলিয়ে থাকে এবং এমনকি ইহা প্রতি কিলোমিটারে কিছুটা পরিবর্তিত । হুম ইহা সর্বজন স্বীকৃত যে যতক্ষণ আপনার ভাষা আপনার যোগাযোগের উপর কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি করিতেছে না ততক্ষন পর্যন্ত আন্নে এইতান যেমন খুশি ব্যাবহার কইরতে হাইরবেন কিন্তু এই হানেও একটু কদ্দুর হেতু আছে “যদি না হিয়ান আন্নের মুঞ্ছাইন্না ভাষা ব্যাবহারের অনুমতি থায়ে তইলে, নইলে আন্নেরে ব্যাবহার কইরতে অইব “মান ভাষা” আইয়েন চাই লই “মান ভাষা” হরয কইরছে কেতারা । টেলিভিশন সংবাদ, সংবাদপত্র , সাহিত্য রচনা , শ্রেণীকক্ষ, অফিস আদালতের নথি ,জাতীয় সংসদ অধিবেশন এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন অনুস্থানমালায় যেখানে ভাষার সঠিক চর্চার উপর বিশেষ গুরত্ত আরোপ করা হয় । যাই হোক ইহার অর্থ কিন্তু ইহা নয় যে আমরা অন্যথা আমাদের মত করিয়াই ভাষা ব্যাবহার করিব বরং ব্যাপারটা হইল এরুপ যে আমরা কখনও এইভাবে চিন্তা করি কতাও কই না লিহিওনা হের হরেও ওই মান আঙ্গ মাতাত থায়ে আর আন্দ্রা হয়গের সময় হয়গ করি । তয় এইতান লই এরম মাতন মুঞ্চায়না ।

কিল্লাই মাইত্তাম কইন চাই ? হিতিবির বেবাক ভাষা এন্নেই হরিবরতন হইচে । একবার কিতা হইল শুইনবেইন্নি ? ক্লাসে স্যার পড়ালেন আমাদেরকে একেবারে শেক্সপিয়ারের আমলের ইংলিশ , মানে এখনকার সময় অনুযায়ী মিডেল ইংলিশ । একখান শব্দও আন্দাজ লাগাইতে হারিনো । তয় উদাহরন দিতে বুলি লন্ডন জানের জরুরত নাই বলি মালুম হয় । দৃষ্টিপ্রদান হেতু বর্ণনা করিলাম বঙ্কিমচন্দ্র মশাইয়ের বাংলা লিখা হইতে আমি মনে করিতেছি এই প্রজন্ম বালক বালিকা দের অর্থসংগ্রহপূর্বক ধরনা লাভ এক প্রকার কঠিনসাধ্যই বটে ।

অন্যদিকে প্রমথ চৌধুরী ভাষার আধুনিকায়নে মনোনিবেশ করেছিলেন । যাক অনেক কথা বলেছি আঞ্চলিক , চলিত , সাধু , বাংলিশ এবং নামহীন অন্য নানা শব্দের মাধ্যমে যা শুধুমাত্র নির্মল বিনোদনের জন্য । যাক এই সব ব্যাবহার কখনই কোন ভাষার জন্য হুমকিস্বরূপ নয় কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত এটি হচ্ছে ভাষার অভ্যন্তরে । ভাষার অভ্যন্তরের এই সব পরিবর্তন ভাষাকে করে তোলে বৈচিত্র্যময় এবং নতুন যেমন উদাহরন হিসেবে বলা যায় ইংরেজি। বিভিন্ন স্থানে এই ভাষা ব্যাবহার হয় বিভিন্নভাবে যা এটিকে করেছে আরও বৈচিত্র্যময় এবং বিস্তৃত।

আমরা যারা ভাষার এরুপ ব্যাবহার করছি তারা সম্পূর্ণ নিজ জ্ঞ্যানে করছি এবং মোটামুটি ভাষা জ্ঞ্যান রেখেই করছি কিন্তু বিপদের কথা হল যখন আমাদের শিশুরা এরুপ ভাষা কিংবা কোন বিদেশী ভাষা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন ভাষা হুমকির সামনে পরে । ওই ক্ষেত্রে আমাদের নতুন প্রজন্ম ভাষা আয়ত্ত করতে পারেনা সঠিকভাবে । তখন হয়ত আমাদের চিন্তা করতে হবে যে ৫২ তে আমরা রক্ত দিয়েছিলাম এই ভাষার জন্য আর আজকে আমার বাচ্চারাই এই ভাষা পারেনা । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.