দিন বদলের সপ্নটাকে হারিয়ে ফেলনা.. পাল্টে দেবার সপ্ন আমার এখনো গেলনা............ রহিমা বেগম তিতলির রুমের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ থমকে গেলেন। এত সুন্দর করে বিছানা গুছানো। কি হয়েছে আজকে। সূর্য কোন দিকে উঠল আজকে? আর এই বিকাল বেলায় মেয়েটাই বা গেল কোথায়? ভিতরে উকি দিলেন।
আরে এখানে দেখছি বিছানার উপর একটা চিঠি রাখা। রহিমা বেগমের মনটা ছ্যাত করে উঠল। উনি এগিয়ে গেলেন চিঠিটার দিকে। অজানা আশংকায় মন কেমন করে উঠল। চিঠিটার উপর লেখা মামনি - তোমাকে।
রহিমা বেগম পা কাপতে শুরু করল। চিৎকার করে তিতলিকে ডাকলেন, কিন্তু গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হল না। চিঠিটা তুলে নিলেন। খুলে ফেললেন চিঠিটা। পড়তে শুরু করলেনঃ
প্রিয় মামনি,
যখন তুমি এই চিঠিটা পাবা, তখন আমি অনেক দুরে।
আমি চলে গেলাম। হ্যা মামনি, বাসার সামনে যে ছেলেটা দাড়িয়ে থাকত - ওর নাম আশিষ। তোমার কথাই ঠিক ও আমার জন্যই দাড়িয়ে থাকত। আমি ওকে ভালবাসি। আমরা বিয়ে করে ফেলেছি।
ওরা ৫ ভাইবোন। ও সবার বড়। ও এম এ পড়ছে। কিন্তু জান মা - ওর না একটা ব্যান্ড আছে। ওর গলা খুবই ভাল।
এখনকার ব্যান্ডগুলোর মধ্যে ওরটা নাম করা। ও একটা সমস্যা পড়েছিল। ও মানুষের সাথে পড়ে হেরোইনের নেষায় পড়ে যায়। ও এর থেকে বের হয়ে আসতে চায়। তাই ওকে সাহায্য করতে ওর জীবনে আমাকে ওর খুবই দরকার।
তাই আমরা বিয়ে করে ফেললাম।
রহিমা বেগম বুজতে পারছেন না উনি কি করবেন। উনার চোখ ভিজে এসেছে। তিতলির বাবা সিংগাপুরে। আগামি কাল আসার কথা।
উনি মেয়েটিকে পুতুলের মত মানুষ করেছেন। তিতলির বয়স উনি সেকেন্ড পর্যন্ত বলতে পারবেন। ওর বয়স এখন ১৫বছর ৩মাসে বেশি না। এই মেয়েকে তিনি মানুষের মত মানুষ করতে চেয়েছেন। উনি যা করতে পারেননি তাই ছিল তার সপ্ন।
শক্ত শাসনে রেখেছিলেন। কিন্তু একি হল। উনি আর পড়তে পারছেন না। মাথা ঘুরাচ্ছে। ঘাম হচ্ছে।
তবুও আবার পড়া শুরু করলেন
আমরা আপাততঃ কয়েকদিন ঢাকার বাইরে থাকব। আমি জানি বাবা হয়ত মন খারাপ করবেন। কিন্তু মাফ করে দেবেন। আমি জানি উনি আমার মনের ভাবটা বুজতে পারবেন। কিন্তু তুমি হয়ত রেগেই থাকবা।
কিন্তু মামনি প্লিজ পুলিশে খবর দিও না। মামনি, প্লিজ প্লিজ এই একটা অনুরোধ। আমি জানি তোমার অনেক রাগ। আমার রেজাল্ট খারাপ হলেও তুমি সহ্য করতে পার না। প্লিজ মামনি আমার এই অনুরোধটুকু রাখ।
আমাদের জন্য দোয়া কর।
ইতি তোমার তিতলি।
P.S. শোন মামনি আমার - এগুলা সবই ভুয়া। এরকমওত হতে পারত তাইনা। তাই এই কাল্পনিক ঘটনার সাথে তুলনা করে কোন পরিক্ষায় সেকেন্ড হওয়া এতটা খারাপ না।
আমি টেষ্টে সেকেন্ড হয়েছি। আর আমি এখন কোচিং এ গেলাম।
রহিমা বেগম দাড়িয়ে থাকতে পারছেন না। বসে পড়লেন।
কোচিং থেকে বেরোতেই ফোনটা বেজে উঠল।
তিতলি এমনটাই আশা করছিল অনেকক্ষন। কিন্তু ফোনে হাসুলির মা। ওর বুয়া। আফামনি - খালাম্মার মনে লয় ষ্ট্রোক করছে। আমি আপনের ঘর কিলিন করতে গিয়া দেখি উনি পইড়া রইছেন।
জলদি আহেন। মুহুর্তের মধ্যে তিতলি মনে হলে পৃথিবী কেপে উঠল। তিতলি কেদে ফেলল। তিতলি নিজেকে মানাতে পারছে না। কেন ও এমন চিঠি লিখল! মামনি মনে হয় শেষ পর্যন্ত পড়েননি।
মানিক ড্রাইভারও হতভম্ভ হয়ে গেছে তিতলির কান্না দেখে। মানিক গাড়িকে বলা যায় উড়িয়ে নিয়ে এল। তিতলি ছুটে এল বাসায়। দেখে মামনি ম্যাগাজিন পড়ছে আর মিটিমিটি হাসছে। পিছনে হাসুলির মা ওর ফেভারিট সিংগারা নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
---------------------
বিদেশি একটা জোক অবলম্বনে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।