নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন "মন চায়" কে "মুঞ্চায়" লেখার মাঝে কিসের কৃতিত্ব? আমার বোধগম্য নয় । যারা লেখেন, তারাই বুঝান! আগে এফএম রেডিওগুলোর কিছু শো তে বাংলার বিকৃতি শুনে রাগ হতাম । আর ইদানীং ফেসবুক ও ব্লগসমূহে এই ধরনের বিকৃতি দেখতে দেখতে আমি যারপরনাই বিরক্ত । নিজেদেরকে যারা বড় বড় লেখক বা ব্লগার বলে দাবি করেন, তারাই এই ধরনের বিকৃতির পথিকৃৎ আর তাদের অন্ধ ভক্তরা না বুঝেই অনেকটা হালের ফ্যাশন ভেবে এঁদেরকে অনুকরণ করে চলেছে অনেকে বলে থাকেন, তারা নাকি মজা করে এই শব্দগুলো ব্যাবহার করেন । এই প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমীর উপ-পরিচালক বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক তপন বাগচী বলেছেন, "মজা আর বিকৃতি এক নয়! বিকৃত উচ্চারণ করা একধরনের ষড়যন্ত্র! বাংলভাষার প্রতি অবজ্ঞা দেখানো অপরাধের শামিল।" ( Click This Link ) তাহলে বুঝাই যাচ্ছে, খোদ বাংলা একাডেমী এই ধরনের বিকৃতির বিরুদ্ধে । ফেসবুকে একজন জানালেন, অভ্র তে স্পেস না দেয়ার কারণে নাকি "মন চায়" একসাথে হয়ে "মুঞ্চায়" এ পরিণত হয়েছিল । সেটা তো একবারের ভুল । বারবার কেন একই ভুল হচ্ছে? এটা কি এই প্রমাণ করেনা যে এটা সে ইচ্ছে করেই লিখছে? এটা কি সে জেনে শুনেই করছে না? জেনে শুনেই বিকৃতি ঘটাচ্ছে না? কী আজব রে ভাই! এভাবেই চলতে থাকবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।