সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল শবে বরাত প্রসঙ্গ
কিছুদিন আগেই যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো পবিত্র শবে বরাত। বেশ কয়েক বছর থেকেই লক্ষ্য করছি, এই রাত পালনের বিপক্ষ্যে তথ্য যুক্তি দিয়ে প্রচুর লেখা আসছে। এমন কি এ রাত পালন থেকে খুব ক্ষুদ্রাংশ হলেও কিছু মানুষ বিরত আছেন।
এই প্রসঙ্গে আমি ব্লগে যে কয়টা লেখা পড়েছি, তাতে এই রাত পালনের বিপক্ষ্যেই বেশি তথ্যযুক্ত লেখা এসেছে। তবে সারা রাত ইবাদত করলে বিদাত হয় বলে যে ফতোয়া আসছে, আমি এর তীব্র বিরোধীতা করি।
ইবাদত কোনদিন বিদাত হতে পারে না।
আর যেখানে একটি প্রসঙ্গে আমরা তিন জন মিল্লেও দুটি মত ধারার সুচনা হয়, সেখানে বাংলাদেশি কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি নির্দিস্ট রাতে ইবাদত করার ঐক্যমতে পৌছানোর মত অসম্ভব কাজটি সম্পন্ন করতে পারাটা কোন দুর্বল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।
ভালো কাজ বেশি বেশি করুন। রাস টেনে ধরাদের কথা শুনার প্রয়োজন দেখি না।
বাংলাদেশে কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্র চলছে?
পশ্চিম বঙ্গের চলচিত্রের কলাকুশলিদের নামের তালিকা দেখলে মনে হবে সেখানে ভিন ধর্মের কোন মানুষের অস্তিত্ব নেই।
অথচ সেখানে অন্তত সেখানে কমপক্ষ্যে ১৭% মুসলমানের বাস। (তথ্যসুত্র দৈনিক আনন্দবাজার)
যুক্তি দেয়া যায় যে ধর্মিয় কারণে মুসলমানরা চলচিত্র শিল্পে যেতে চান না। মেনে নেয়া গেলো। কিন্ত সেখানে প্রায় ২৭/২৮ ভাগ মুসলমানদের মধ্যে মাত্র ২% স্বয়ং ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার বামফ্রন্টের শাসনামলে চাকুরি পেতো।
নাহ পশ্চিম বঙ্গে কি হচ্ছে না হচ্ছে, এ নিয়ে তারাই ভাবুন।
আমার মাথা ব্যাথা নেই।
কিন্ত পঃ বঙ্গের চলচিত্রের কলাকুশলিদের নামের মতই যখন আমাদের দেশে প্রায় সর্বক্ষেত্রে একটি বিশেষ ধর্মের লোকজনের নাম দেখতে পাই, তখন বুঝা দুস্কর এটা বাংলাদেশ কি না !
দাড়ান দাড়ান। সুশিলতা মানবাধিকার ধর্মনিরপেক্ষতা অসাম্প্রদায়িক চেতনা ইত্যাদি ভোতা অস্ত্র নিয়ে লেখকের উপর ঝাপিয়ে পড়ার আগে বাকিটুকুও পড়ে নিন।
যেহেতু হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় প্রতিষ্ঠিত সেহেতু সেখানে সংখ্যালঘুদের প্রশাসনে শক্ত অবস্থান তেমন কোন সমস্যা কোনদিন করেওনি, আর করবেও না।
তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের (ধর্মিয় বিবেচনায়) পুর্ণ আস্থা অর্জনে ব্যার্থ হয়েছে।
এটা বলতেই হবে এবং মানতেই হবে। নতুবা বাংলাদেশে উপার্যন করে নিরাপত্তার আশায় ভারতে কেন ভবিষ্যত জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখবে সংখ্যালঘু মানুষ?
সবাই যে শ্রেফ নিরাপত্তার আশায় কাজটি করে, তেমন না। অনেকে কাজটি করেন ধর্মীয় উগ্রতা থেকে। অর্থাৎ ধর্মীয় পবিত্রভুমি জ্ঞান করেই ভারতে চলে যাবার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখেন।
ভারতের বিজেপি যেমন শ্রেফ একজন গৃহপালিত মুসলমানকে দলে রেখে নিজেদের ১০০ভাগ তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার ধব্জাধারি প্রমানের হাস্যকর চেস্টা করেছে, তেমনি আমাদের দেশে বিএনপিও গয়েশ্বর রায় কিংবা নিতাই রায় চৌধুরিকে দলে রেখে নিজেদের অতি ডান পরিচয়ে খানিকটা মুছে ফেলার চেস্টা করেছ
অথচ তারা বাংলাদেশি জাতিয়বাদি, যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলাদেশি।
অন্যদিকে আঃ লিগের অবস্থান ঠিক উলটো। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অতিমাত্রায় গাছে উঠিয়ে দিচ্ছে। নইলে ছাত্র লীগের সাঃ সম্পাদক পদটা সব সময়, কেনই বা একজন সংখ্যালঘুর জন্য বরাদ্দ? বাকি গুলির কথা থাক।
অনেকে বলে থাকেন, ভারতের সেবাদাসগিরির প্রমান দিতেই তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ভক্তি প্রকাশ করছে। তবে আসল কারণটা হলো, সংখ্যালঘুদের তারা ভোট ব্যাংক হিসাবে ব্যাবহারের নিমিত্তেই ক্ষমতার অপব্যাবহার করছে।
অনেক সময় পর্যন্ত উপবাসি থাকা কেউকে পোলাও কোরমা খাওয়ালে যেমন বদহজম ঘটতে পারে, তেমনি হঠাৎ করে ক্ষমতা থেকে দূরে থাকাদের ক্ষমতায় বসালেও বিপত্তি ঘটার সমুহ সম্ভাবনা।
বর্তমান প্রশাসনে যে স্থবিরতা, এটিও একটি কারণ। কৃতজ্ঞতা দেখাতে গিয়ে দেশের নয় আওয়ামি সেবকে পরিণত হয়েছে তারা।
সেটাও না হয় গেলো। কিন্ত আদালতে গিয়ে কোরানকে ভুল প্রমানের চেস্টা করাটা কি সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া নয়?
তাছাড়া যা কোনদিন ঘটেনি, এই সরকারের আমলে সেটাই হয়েছে।
মুসলমানদের প্রিয় নবীর বিপক্ষ্যে প্রচুর অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করেছে সংখ্যালঘু ধর্মের কিছু লোকজন। একবার নয় বহু বার।
বাংলাদেশের মানুষরা অসাম্প্রদায়িক বলেই এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া ঘটেনি। এর পরেও নবীর নামে প্রায়শই কটুক্তির খবর প্রকাশিত হচ্ছে।
যারা এগুলি করছে, খুব সচেতনভাবেই করছে।
তাতে বর্তমান আঃ লিগেরও সায় আছে। নতুবা ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনস্টের অভিযোগে আদালতে এদের বিচার করা হচ্ছে না কেন?
সব ধৈর্য্যেরই বাধ আছে, এবং এক সময় সেই বাধ ভেঙ্গেও যায়। আওয়ামি লিগের প্রত্যক্ষ মদদে সংখ্যালঘুদের কিছু অংশের ভেতর বিজেপি মার্কা বহিঃপ্রকাশের উদ্দেশ্যই হলো দেশের সংখ্যাগরিষ্ট লোকজনের ধৈর্য্যের বাধ ধবংস করে সাম্প্রদায়িক গোলযোগ সৃস্টি করা। যাতে বাংলাদেশে গেরুয়া বাহিনীর প্রবেশের অজুহাত সৃস্টি হতে পারে। আর ভারতীয় বাহিনীর মদদে অন্তত ২০২১ সাল পর্যন্ত আওয়ামি মাৎসন্যায় চালানো যায়।
আর যেভাবে ভারতপ্রীতির জোয়ার চলছে, তাতে যদি সংখ্যাগরিস্ট লোকদের মধ্যেই ভারতে বিলীন হবার মানসিকতা তৈরি হয়, তাহলে তো আঃ লিগের সোনায় সোহাগা।
হাজার উস্কানি দেয়া হলেও আমাদের উচিত ধৈর্য্যের বাধ না ভাংতে দেয়া। আর সংখ্যালঘুদের দ্বায়িত্ব হলো, দেশের স্বার্থেই আঃ লিগের কুকুর না হয়ে থাকা। তাছাড়া তাদের মধ্যে যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধবংসের চেস্টায় রত, নিজ উদ্যোগে সামাজিকভাবে তাদের প্রতিহত করা।
এই দেশটা স্বাধীন করার জন্য ৩০ লাখ শহীদ আত্মাহুতি দিয়েছে।
কোন ধর্মের অল্প কিছু লোকের বা আঃ লিগের ভারতপ্রীতির কারণে সেই স্বাধীনতা বিসর্জন দেয়া যাবে না।
কি বাত্তি লাগাইলি ওরে ও মাইনকা। লেজ দেখে যায় চেনা।
তখনও হাসিনা বা তার দলের নেতা নেত্রিরা শক্তভাবে কথাটা বলা শুরু করেননি। তার আগে ব্লগেই দেখলাম পোস্ট এসেছে।
বিশ্বব্যাংক দেবে না তো কি? আমরা পয়সা জমিয়ে পদ্মা সেতু বানাবো।
কারা বলেছেন? অন্তত দুজনকে জানি, যারা দুইই জনই মডু। আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করেন না। কিন্তু আওয়ামি লীগের বিরুদ্ধাচারনকারিরা কখন কোথায় ব্লগের নিয়মাবলি ভং করছে সেই চিন্তায় অস্থির। পান থেকে চুন খসলেই ঘচাং।
অথচ ভাব দেখান নিরপেরক্ষতার ধব্জাধারি।
ওদের পোস্টে যেতে রুচিতে বাধে। করে তো আওয়ামি লীগ। তার উপর আবার সীনাজুরি। যেখানে আওয়ামি লিগের দুর্নীতির কথা সর্বজন বিদিত সেখানে চুরির আরো সুযোগ দিতে আবার সাধারন জনগণকে টেনে আনার নির্লজ্জ চেস্টা !
এরা কি আত্মসম্মানবোধহীন ভাবেই বড় হয়েছে? নাকি পরিবার থেকেই এ ব্যপারে কিছু শেখায়নি?
ওইদিকে দাদাদের ধমকে মন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়া চোরঞ্জিতের গলার স্বর আবারও বেড়ে গিয়েছে।
এবার বিশ্বব্যাংককেও এক হাত নিচ্ছে।
আর চুরির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত এবং ঘাটের মরা রাস্ট্রপতির হাতে ক্ষমাপ্রাপ্ত ক্রিমিনাল পুত্রের মা সাজেদা চৌধুরি ফতোয়া ঝেড়েছেন যে, আওয়ামি লীগ ছাড়া বাকি সবাই নাকি দুর্নিতিবাজ আর সন্ত্রাসি ! ইয়ে উনার জোটে শরিকরাও কি তাই?
কোন আওয়ামি নেত্রি নাকি আবার বলেছে তিনি প্রয়োজনে এক বেলা বাজার না করে সেই টাকায় পদ্মা সেতুর কাজে ব্যয় করবেন।
পচা মল মুহিত আবার সেল ফোন ২৫ পয়সা সারচার্জ ধার্য করার জন্য বলেছেন।
স্বয়ং হাসিনা বলেছেন সাংসদদের এক মাসের বেতনও নাকি পদ্মা সেতুর কাজে ব্যয় হবে।
এদের সবার প্রলাপ শুনে মনে হচ্ছে ধুলা ঢাকতে এরা সবাই পা না ঢেকে ধরণী ঢাকার পরিকল্পনা করছে।
এই যে এতকিছু, তার দায় কার? সব আবুলের। আবুলের মুর্খতার কারনেই পদ্মা সেতু নিয়ে এখন ব্লগ ও ব্লগের বাইরে আওয়ামি ল্যাঞ্জা উন্মোচিত হয়েছে।
তাই আক্ষেপ করেই বলতে হচ্ছে, কি বাত্তি লাগাইলি ওরে ও মাইনকা (আবুইলা) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।