কোরিয়ান রূপকথা -১
মাঝ রাতে একটা ঘস ঘস শব্দ শুনে োকটি হটাত ধরমর করে লাফিয়ে উঠলো। চারদিকে তাকিয়ে সে কিছু দেখতে পেলো না। তখন সে জানালার বাইরে মুখ বারিয়ে যা দেখল টা দেখে তার প্রান গেল শুকিয়ে। পথিক বুঝল সে ডাইনীর পাল্লায় পরেছে। সেই মেয়েটি বসে বসে মস্ত তলয়ারে শান দিচ্ছিল।
লোকটিকে দেখতে পেয়ে সে তলয়ার তুল্ল, আর জেই তলয়ার টা তুলেছে অমনি তার শরিরের অর্ধেক টা শেয়াল হয়ে গেলো, বাকি অর্ধেক মানুষের মত রইল। সেই মানুস-শেয়াল এবার ঝাপিয়ে পড়লো লোকটার উপর। লোকটিও দৌড়াতে লাগলো প্রাণপণে। পেছন পেছন ডাইনীও ছুটল।
ছুট তে ছুট তে োকটি হটাত দেখল তার সামনে সেই আগের মত একটা বাড়ি।
এ বাড়ির দরজা কিন্তু খোলাই ছিল। পথিক সেখানে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিল। আর ঠিক তখন ই সেই বাড়ির মালিক এক মস্ত চেহারার মানুষ তার সামনে এসে দারাল। তাকে ধমকে বলল, "ও তুই বুঝি আমার মাকে রাগিয়ে চলে এসেছিস? দাঁড়া, তোকে মজা দেখাচ্ছি। "
পথিক কিছু বুঝার আগেই সেই লোকটা কোথা থেকে ঠিক সেই রকম এটা চকচকে তলোয়ার নিয়ে এলো।
পথিক বুঝতে পারল এ হচ্ছে সেই ডাইনীর ছেলে। তার মানে সে আবার এসে পরেছে ওই ডাইনীর খপ্পরে। তখন সে মিনতি করে বলল, " আমায় মেরে ফেলার আগে এক বালতি পানি খেতে দিন"।
ডাইনীর ছেলে ভাবল, এ লোকটা না জানি কন রাক্ষস হবে। নইলে এক বালতি পানি খেতে চায়? তবু তার কিছু দয়া ছিল।
সে চাকরদের পানি আতে হুকুম দিল। চাকর লোকটিকে এক বালতি পানি খেতে দিয়ে গেলো।
পথিক কে পানি দিতে বলে োকটা পাশের ঘরে গেছে, আর পথিক ও সঙ্গে সঙ্গে সেই এক বালতি পানি দেয়ালে ঢেলে সেটা বেশ করে ভিজিয়ে দিল। দেয়ালটা দেখতে অমন হলে কি হবে, সেটা যে মাটির তা সে বুঝতে পেরেছিল।
পানি পেয়ে সেই ভিজে দেয়াল আস্তে আস্তে নরম হয়ে গেলো, আর এটু ধাক্কা দিতেই তার মধ্যে একটা গর্ত হয়ে গেলো।
তখন সেই ভাঙ্গা গর্ত দিয়ে লোকটি এক লাফে বাইরে বেরিয়ে এলো।
কিন্তু বাড়িটা ছিল পাহাড়ের শেষ প্রান্তে। তাই লোকটি লাফ দিয়ে এসে পরল এক জানোয়ারের পিঠে। জানোয়ারটা আসলে একটা বাঘ। বাঘ ভাল কি ভালই দিটা আজ।
এই মানুষের মাংস আমই খাবো আর বাচ্চা টাকে খাওয়াব এর রক্ত। এই ভাবতে ভাবতে বাঘ লোকটিকে পিঠে নিয়ে তার গুহায় ঢুকল। তারপর তার বাচ্চা কে ডেকে বলল, ' আয় কেমন খাবার এনেছি দেখ। ' বলে লোকটার গায়ে খামচে খানিটা রক্ত বার করে বাচ্চা কে বলল, 'নে এবার চুসে খা। '
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।