কোরিয়ান মুভি দেখা হয়েছে বেশ কম। বছর আড়াই আগে দেখেছিলাম কিম কি-দুকের স্প্রিং-সামার-ফল-উইন্টার অ্যান্ড স্প্রিং। খুবই জটিল সিনেমা। সেই থেকে কিম কি-দুকের নাম মাথায় ঢুকে আছে। কিন্তু সিনেমা দেখা হয় নি।
কদিন আগে কাজিনের কাছ থেকে কিছু কোরিয়ান সিনেমা নিয়ে এলাম। আগেই বাছাই করে নিয়েছিলাম। এর মাঝে কিম কি দুকের দুটো সিনেমা রয়েছে, অন্যটা জনি লি'র।
কিম কি দুকের সিনেমাগুলো নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে।
সামারিটান গার্ল:
দুটো স্কুল গার্ল।
ইউরোপ ট্যুরে যাবার টাকা জোগাড় করতে একজন প্রস্টিটিউশনে নামে, অন্যজন তার খদ্দের ম্যানেজম্যান্ট করে। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে বাচতে একদিন মেয়েটা আত্মহত্যা করে। বান্ধবী তাই সকল টাকা ফেরত দেয়ার মিশন হাতে নেয়।
অসাধারণ এক কাহিনী। এত নিষ্পাপ মেয়ে দুটো যে কাহিনীতে মিশে যেতে আপনার মোটেও কষ্ট হবে না।
থ্রি আয়রন:
কিম কি দুকের আরেকটা অসাম মুভি। এইটাকে সিনেমা না বলে কবিতা বলা বেশী ভালো হবে। এক ছেলে সারাদিন লিফলেট বিতরন করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে। আর রাতের বেলায় সেই সব বাড়িরই কোন একটাতে যার বাসিন্দারা হয়তো কোথাও বেড়াতে গিয়েছে, গোপনে ঢুকে পড়ে এবং নিজ বাড়ির মতো করে বসবাস করে।
একটা গোপন কিন্তু লোভনীয় কথা বলে যাই - পুরো সিনেমায় নায়ক এবং নায়িকার বাক্য বিনিময় হয়েছে সব মিলিয়ে শূন্যটি।
না দেখলে মিস করবেন।
এক্সাইলড:
সার্জিও লিওনির ওয়েস্টার্ন সিনেমা দেখেছেন? এটা কোরিয়ান ওয়েস্টার্ন সিনেমা। কিন্তু সময়টা বর্তমানেই।
পাচঁ বন্ধুই হিটম্যান, তবে এখন ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে কাজ করে। যে বন্ধুটি কাজ ছেড়ে সংসার শুরু করেছে, তাকে হত্যার দায়িত্ব পড়ে বাকী চার বন্ধুর উপর।
হত্যা না করলে হয়তো তাদেরকেই হত্যা করা হবে।
ডার্ক ওয়েস্টার্ন টাইপের সিনেমা। অ্যাকশনগুলো জটিল ভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক। ভিন্ন ধরনের এই অ্যাকশন সিনেমাটা দেখলে আপনি ঠকবেন না।
আমার অন্যান্য কিছু পোস্ট:
পারফিউম: দ্য স্টোরী অব আ মার্ডারার - এই সিনেমাটা না দেখলে পারফিউম ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া উচিত।
টাইম ম্যাগাজিনের টপ টেন মুভিস অব ২০০৮ - দেখে নিন সেরা দশ মুভির কয়টা আপনার দেখা হয়েছে।
বডি অব লাইস: চলচ্চিত্রে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ - ইকনোমিস্ট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটা লেখার অনুবাদ করেছিলাম একদা, প্রকাশিত হয়েছিল যায়যায়দিন পত্রিকায়। রিডলি স্কটের পরিচালনায় এই সিনেমায় রাসেল ক্রো অার ডিক্যাপ্রিও র মতো শক্তিমান অভিনেতারা অভিনয় করেছেন।
তিনটি ওয়েস্টার্ন মুভি: ডেডম্যান, আনফরগিভেন, ৩.১০ টু ইউমা - আমার দেখা সেরা ওয়েস্টার্ন মুভিগুলোর দুটো রয়েছে এখানে।
সেন্ট অব উইমেন - একজন অন্ধ লোক কতটা ব্যক্তিত্ববান হতে পারেন? আল পাচিনোর সিনেমা।
শততম পোস্টে তিনটি সিনেমা রিভিউ - ব্লগ লেখার সেঞ্চুরীতে তিনটি সিনেমা নিয়ে একটা পোস্ট দিলাম। রোনিন, বডি অব লাইস এবং অ্যাটোনমেন্ট। তিনটিই মাস্ট সি মুভি।
অ্যাঞ্জেলস এন্ড ডেমনস: সিনেমার বাইরে - তখন টম হ্যাঙ্কসের অ্যাঞ্জেলস এন্ড ডেমন মুভিটা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। আমি লিখলাম সিনেমার বাইরে কিছু বিষয় নিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।