আমার এন ৭০ মোবাইল এর ব্যাটারি কিনতে উত্তরা একটা সুপার মার্কেটে গেলাম। অনেক অনেক দোকানে ঢুকলাম, সব দোকানির কথা একটাই ‘এই ব্যাটারি নেন অনেক বেশি এম এ এইচ ওয়ালা, চার্জ থাকবে অনেক বেশি দিন’। আমি এই বেপারে একটু অন্যরকম সহজে লোকের কথায় ভুলিনা(মাঝে মাঝে যে হয় না তা নয়)। বাজারে দুই নম্বর ব্যাটারি র মাঝে ভালো হিসেবে অনিক কোম্পানির ব্যাটারির নামডাক কম না, তাই মনে মনে বেশি এম এ এইচ ওয়ালা অনিক কম্পানির ব্যাটারি খুঁজতে লাগলাম। হটাত করে একজন বলে উঠল ভাই এই ব্যাটারি টা নেন অনেক দিন চার্জ থাকব ২২৫০এম এ এইচ ওয়ালা।
আমি তো অবাক ২২৫০এম এ এইচ!!!!! নাম কি! আরে এটা তো যেই সেই ব্যাটারি না একেবারে ৪জি(জানিনা দোকানিরা ৪জি সম্পরকে জানে কি না)। এই উপমহাদেশে মোবাইল এ ৪জি আদৌ আসবে কি না! ব্যাটারি নিয়ে এলো ৪জি!!!খুব ভালো লাগলো।
এবার আসি আসল ঘটনায়। দাম জিজ্ঞেস করলাম কত? একে অপরের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে দাম টা বলল। কিন্তু মনে হলো দামটা একটু কম বলে ফেলেছে।
বলার পর আমাকে সে কি তোষামোদ! ভাই শুধু আপনার জন্য এই দাম, অন্য কেউ হলে আর বেশি হত। মনে মনে ভাবলাম ধুর বেটা আমি কি তোর দুলাভাই! যাই হোক দাম চাইলো ৮০০টেকা। আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম!!! দুই নম্বর ব্যাটারি র দাম ৮০০টাকা! নকিয়া অরিজিনাল ব্যাটারিই তো পাওয়া যায় ১০০০টাকা হলে। যাই হোক অনেক দর কষাকষি করলাম। আরও অনেক দোকান ঘুরলাম, কোথাও পেলাম না, কেউ বলে নাই, কেউ বলে ৪জি না এটা হল ৪জে, আমার কাছে আছে।
আমার সময় ছিলনা তাই আর দেখিনি। এন ৭০ কে বাঁচিয়ে রাখতে ভালো চার্জ পাবার আশায় ৭০০ টাকা দিয়ে কিনে আনলাম। সচেতনতার প্রমাণ দিতে ফোন করলাম অনিক কোম্পানির হট লাইন এ, ৪জি নামে কোনও ব্যাটারি বাজারে আছে কি না? তাঁরা আমার সচেতনতাকে সম্মান জানালো। ব্যাটারি কত দিয়ে কিনেছি তা শুনে তিনি তো অবাক!! এটার সরবোচ্চ দাম ৪০০টাকা। ডিলার রা কিনে আনে আরো কম দামে।
আমি এত দরদাম করে কিনেছি, মনে হয়েছে ১০০ টাকা বাঁচিয়ে অনেক বড় কাজ করেছি। কিন্তু আমি হতাশ হয়ে রইলাম পড়ে ......... দোকানির কাছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।