ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা অনেকদিন পর একটি শুভ সংবাদ শুনলাম। মনে বড় শান্তি পাইলাম। এই ধরনের ব্যক্তি যে এর চেয়ে নীচের মন্তব্য করেও পার পেতে পারে তা আমার জানা ছিল না। করবেই না কেন বিপদে পড়লে নাকি বেড়ালও গাছে উঠে" সেই কাহিনী করতে আমাদের শ্রদ্ধীয় বাচাল সাহেব শেষ পর্যন্ত নিজে নিজের উপাধি গ্রহণ করলেন।
আমাদের শুভ বুদ্ধির বিকাশ স্তবদ্ধ হওয়ার কাছ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেল।
কিন্তু আমি বুঝি না তিনি কিভাবে আইনের চোখে ফাঁকি মারলেন? ভিডিও ইডিটিং করা হয়েছে আর আদালত (মহামান্য) থাকে জামিন দিলেন?? বোধগম্য নয়।
আমি জানি না এটাতে কোন ষড়যন্ত্র লুকানো কি না। প্রধানমন্ত্রীকে বাচাল বলায় যখন প্রকাশ্যে জামিন পেলেন মেঘের বাবা-মা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অভিযুক্ত এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। তিনি যখন ভিডিওতে বলছিলেন, আরে, প্রাইম মিনিস্টার কত না কথা বলেন। প্রাইম মিনিস্টারের বক্তৃতা শুনছেন না, ওইটাও বলছে, আমরা কি ড্রয়িংরুম পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব নিছি? এইটা হচ্ছে, বেশি কথা বলতে বলতে বাচালের ফট করে একটা মিসটেক হয়ে যায় না, এ রকম একটা মিসটেক হয়ে গেছে।
”
এতো প্রমাণ থাকার পরও আদালত কিভাবে সেই ব্যক্তিকে জামিনের সুযোগ প্রদান করলো। মাহফুজ বললো “আমি এ ধরনের কথা বলিনি। আমি নিজেকেই বাচাল বলছি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কথা আছে। আমার মাঝখানের কথাডা ফালাইয়া দিয়া বানাইছে প্রাইম মিনিস্টার বাচাল।
”
আর সেই কথাটি মধুরতা আস্ফালন দেখতে পেল আদালত?
আর করবেই না কেন প্রধানম্ত্রী তো আমাদের দয়ার ভান্ডার স্থাপন করেছেন। ফেবুতে যখন বুয়েটের এক শিক্ষক তাকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে তখন তার পিছনে লেগেছে । নেহাৎ সেটি ফেবুতে সীমাবদ্ধ। হ্য়ত ফেবুতে তার কয়েক হাজার বন্ধু বিষয়টি দেখেছে। কিন্তু সয়ং দেশবাসীর কাছে যখন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাহফুজের উলঙ্গ বক্তব্য তখন প্রধানমন্ত্রী কিংবা তার সহযোগী সাগরেদরা কি কারনে চুপ মেরেছিল।
নাকি বিচার ব্যবস্থা তাদের কক্জা অক্ষরে আবদ্ধ?
১০ টি মামলা জামিন এর চেয়ে বড় শক্তি/ক্ষমতা কি হতে পারে?
এমনি কি তার প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরাও তাদের মাহফুজের ক্ষমতা দেখিয়েছিল ওইদিন সাংবাদিক মারধরের ঘটনায়?
আমার কাছে মনে হচ্ছে এদের কাছে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তুচ্ছ। যারা ক্ষমতা দেখি আঙ্গুল দেখায় সরকারকে তাদেরকে বড় বলবো না তো কাকে বলবো?
সাবাশ বছ(মাহফুজ)! সাবাশ বীর বাঙ্গালির সন্তান!
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে গুটিবাজী খেলতে পারে সে সাবাশ পাবারই যোগ্য কি বলেণ?
সত্যের কাছে মিথ্যার পরাজয় হয় শুনেছি কিন্তু আজ দেখছি মিথ্যার কাছে সত্যের ডাহা মৃতু। এইসব দেখতে আর চাই না। মাহফুজের এই রকম সাহসী ভুমিকা দেখি অদুরেই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আরো বেশি বেশি কুৎসিত মন্তব্য করলেও প্রধানমন্ত্রী তাতে মনে হয় রাগ করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর এইরকম মানসিকতার উত্তরত্তোর সাফল্য কামণা করি।
তাকে নিয়ে আমার কানের কাছে কিংবা তার কানের কাছে বলওে তিনি যে শুনতে পাবেন না তা জেনে খুব খুশি হলাম..........সাবশ মাহফুজ সাবাশ! বাঘের বাচ্চা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।