আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবাশ আয়ারল্যান্ড- সাবাশ চমৎকার খেলার জন্য আয়ারল্যান্ডকে অভিনন্দন

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

আয়ারল্যান্ড দলকে অভিনন্দন- তারা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে গতকালের ম্যাচটা। আমি মুগ্ধ তাদের খেলা দেখে। বাংলাদেশের চুড়ান্ত দল বাছাই করার জন্য কোচ, অধিনায়ক এবং নির্বাচক কমিটির অংশ হিসেবে আছে প্রাক্তন খেলোয়ার ফারুক। তবে ফারুকের বিপক্ষে স্বজন প্রীতির অভিযোগ আনার সময় এটাও খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকরা বেশ কিছু জঘন্য মানের খেলোয়ারের প্রতি সদয়- বাসার আদরের ছোটো ছেলের মতো ব্যবহার করে- জানি না এইসব খেলোয়ারেরা তাদের হোগা পাইত্যা দেয় কিনা- এমনই স্নেহধন্য খেলোয়ার আল শাহরিয়ার রোকন- মেহরাব হোসেন অপি- নইমুর রহমান দুর্জয়- হাবিবুল বাশার সুমন- শাহরিয়ার নাফিস- আরও হয়তো সামনে আসবে- তবে এদের প্রতি অকারণ প্রসন্নতার কোনো কারণ আমি খুঁজে পাই না। ভারতে সৌরভকে নিয়ে মাতামাতি কোলকাতায় প্রবল তার একটা জাতিয়তাবাদি কারণ আছে- কিন্তু বাংলাদেশের ভেতরে এমন কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল- যদি খেলার সার্বিক মান বিচার করে ১০ এর ভেতরে মার্কিং করতে বলা হয় তাহলে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং - ০৩, বোলিং ০৫- দলের অধিনায়কের দল পরিচালনা- ০২ একই হিসাবে যদি আয়ারল্যান্ড দলকে বিচার করি তাহলে তাদের ফিল্ডিং -০৯, বোলিং - ০৬ এবং অধিনায়কের অধিনায়কত্ব- ০৮ আয়ারল্যান্ড ১৮০ করার পর কিংবা ম্যাচের ২৬ ওভার পার হওয়ার পর থেকেই খানকির ছেলে বাশারের হোগায় লাথি মারতে ইচ্ছা করতেছিলো- বাদাইম্যা চোদা অধিনায়ক আমার- কোনো রকম চাপ রাখলো না বিপক্ষ দলের উপরে- না তোমরা এক নাও- দুই নাও- আমি চার বাচাই- ব্যাটনম্যানেরা আসলে শেষ ২৫ ওভারে কোনো চাপ অনুভব করে নি- নিজের মতো সহজ ভাবে খেলেছে- এক নিচ্ছে - ২ নিচ্ছে- ওভারে ৬ রান না হলেও ৫ রান আসতেছে- ওদের বিগ শট নেওয়ার কোনো দরকার নেই- রক্ষণাত্বক আচরণ না এটা- কখনই এক মুহুর্তের জন্য চাপ আলগা করা উচিত না এই সহজ বিষয়টা বাশার গত ৮ ম্যাচেও বুঝে নি- গ্রাউন্ড ফিল্ডিংএর যাচ্ছেতাই অবস্থা- কতগলো রান আউটের সুযোগ নষ্ট হয়েছে তা হাতের কর গুনে শেষ করা যাবে না- এত রান ছেড়েছে যার খেসারত বাংলাদেশকে দিতেই হতো- আমার নিজের মন্তব্য হলো শাহাদাত একটা বেকুব- তবে আমার অনুমানযে একেবারের মিথ্যা না এটা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বুঝলাম- শালার বিটা আসলেই বেকুব- গাবরের মতো বল করে- বল করা আসলে গায়ের জোড় দেখানোর জায়গা না- সৃষ্টিশীলতার জায়গা- উদ্ভাবনের জায়গা- পরিস্থিতি - পরিবেশ অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার জায়গা- উচ্ছনে যাওয়া ষাঁড়ের মতো ছুটে এসে বলটা ছুড়ে দিলাম এমন না আসলে- নিজস্ব ৩য় ৪র্থ অভার ছাড়া তার বোলিংএ কোনো ভালো দিক ছিলো না- একই হিসাবে ও ১০ এ পাবে ০৩।

অসাধারণ বল করেছে মাশরাফি- চমৎকার বললেও কম বলা হয়- তবে মাশারাফি যা করেছে তার ব্যবহার করতে পারলো না উচ্ছন্নে যাওয়া ষাঁড়। এটাই দুঃখজনক- মাশারাফি ১০ এ ০৯ পাবে। রফিক গত কাল খুব ভালো বল করে নি- মানে তার যে মান সে মানের কাছাকাছি নয়- ১০ এ ০৬। অবশ্য অধিনায়ক যদি বিপক্ষ দলকে সহযোগিতা করে তাহলে ম্যাচ বের করাও কঠিন- চোদানির পোলা ঠিক এই কাজটাই করছে খেলার প্রথম ঠেকে শেষ বল পর্যন্ত- ও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক না কি খলনায়ক এই বিষয়টা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি- বিশ্বকাপে যতগুলো দল খেলছে তাদের ভেতরে ফিল্ডিংএর মান বিবেচনায় আয়ারল্যান্ড ২য় কিংবা ৩য়। তাদের উজার করে দেওয়া মনোভাব- সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েও বাড়তি আরও কিছু দেওয়ার তাগিদ- তাদের ডেডিকেশন ইনোভেশন- প্যাট্রিটয়িজম- কোনোটাতেই কোনো কমতি ছিলো না- তাদের নিজস্ব টিম স্পিরিটও দারুন।

অধিনায়ক হিসেবে তাদের দলে যে আছে সেও চমৎকার দল পরিচালনা করেছে- এমন ভাবে করেছে যার নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য ছিলো এবং সেই পরিকল্পনা সফল করার জন্য তাদের বোলাররা এবং ফিল্ডাররা চেষ্টা করেছে- বাশারের সহজ ক্যাচটা মিসজাজ করে হাতছাড়া হওয়ার পরে ফিল্ডারের এক্সপ্রেশন দেখেই বুঝতে পারা যায় তারা কি পরিমাণ প্রণোদিত- তারা নিজস্ব দায়িত্ববোধের জায়গাটায় কতটুকু পরিস্কার। বাংলাদেশ দলের খুব বেশি হলে ৪ জনকে পাওয়া যাবে যাদের দায়িত্ববোধ আছে- এদের ভেতরে আছে রফিক- মাশরাফি- রাজ্জাক- সাকিব- তালিকা শেষ- আয়ার ল্যান্ড মাঝারি মানের দল- দলীয় সামর্থ্য বিচারে সে দল বাংলাদেশের প্রথম শ্রেনীর ক্লাব দলের সমতুল। তাদের দলের ব্যাটিং দক্ষতা নেই তেমন- বোলারের মানও তেমন ভালো না- হয়তো ৩টা ব্যাটসম্যান ২টা বোলার আছে তাদের। তবে জয়ের জন্য আসলে অতিমানবিক খেলোয়ার প্রয়োজন না- কখনই প্রয়োজনীয় না- যদি তাই হতো তাহলে ভারত কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সব সময়ই জিততো- মাঝারি মানের খেলোয়ার নিয়ে নিউজিল্যান্ড সবার উপরে ছড়ি ঘোরাতে পারতো না- এটা কেনো যেনো সবার বোধগম্য না- খুব ভালো মানের খেলোয়ার প্রয়োজন নেই- থাকলে সেটা একটা ভালো বিষয় তবে না থাকলেও ক্ষতি নেই তেমন- জয়ের জন্য পরিকল্পনা লাগে- কৌশল নির্ধারণ করতে হয়- খেলায় জয়ী হয় সেই দলটাই যে দল নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝে খেলে- জয়ের অত্যাবশ্যকিয় উপাদান হিসেবে আছে দলের জন্য উজার করে খেলতে চাওয়ার স্পৃহা- জয়ের স্পৃহা- আন্তরিকতা- আয়ারল্যান্ড তাই করেছে- এই দলটা উপভোগ করছে একসাথে খেলাটা- আর এই দলটা নিজের দুর্বলতা আর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন- তাই নিজের দুর্বলতা আড়াল করে বিপক্ষের দুর্বলতার সফল ব্যবহার করতে পেরেছে- তাদের অধিনায়ক দলের সদস্যদের কাছ থেকে তাদের সামর্থ্যের সবটুকু আদায় করে নিয়েছে- বাংলাদেশ দল এখানেই ব্যর্থ- এখানেই অধিনায়ক হিসেবে বাশারের ব্যর্থতা- এখানেই বাংলাদেশকে পিছিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছে আয়ারল্যান্ড- আয়ারলয়ান্ডের উদ্বোধনী জুটি আউট না হয়ে , যার সিংহভাগ বাংলাদেশের ফিল্ডিং এর ব্যর্থতা- বাংলাদেশকে ব্যকফুটে ঠেলে দেওয়ার পর থেকেই তারা ম্যাচে কতৃত্ব করছে- নাফিসের আউট নিয়ে একটাই মন্তব্য কিংবা সিদ্ধান্তে আসা যায়- ফারুকের ধন কাইট্যা ওর হাতে ধরায়া দিয়া ওরে ন্যাংটা কইরা শেন বন্ড- ব্রেট লি- শন টেইটের সামনে ফেলায়া দিতে হবে- মাদারচোদ ফারুক খালাতো ভাইয়ের হোগা মারে কিনা কে জানে- চিটাগাংয়ের মানুষ হইতেও পারে- নাফিসের ব্যাটিংয়ের যে অবস্থা টাতে ওকে ২য় বিভাগের দলেও জায়গা দেওয়া ঠিক না- আর বাঞ্চোত জাতীয় দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান- মনে হয় খালাতো ভাইয়ের বীচি চোষার যোগ্যতায় ও এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও দলে আছে- বাংলাদেশ খেলতেছে ৪ জন ব্যটসম্যান নিয়ে- এই ৪জনকে নিয়ে ২৪৪ তাড়া করতে হলে এদের ভেতরে কাউকে না কাউকে কিংবা ২জনকে দাঁড়াতে হবে- সেটা সম্ভব হয় নি- সাকিব- আফতাব- আশরাফুল- মুশফিকুর- কেউই দাঁড়াতে পারে নি- আফতাবের আউট অমার্জনীয় অপরাধ- তখনও বাংলাদেশ ছিলো খেলায়- বাংলাদেশ খেলায় ছিলো তামিম আর আশরাফুল জুটি বাধার সময়ও- ম্যাচের নিয়ন্ত্রন বাংলাদেশের হাতছাড়া হলো গাধাচোদা তামিমের পাকনামিতে- দায়িত্ববোধহীন খেলার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এটাই- ঠিক আউট হওয়ার ৩ বল আগে আশরাফুল তামিমকে গিয়ে বুঝালো চালিয়ে খেলা ঠিক না- এত অস্থির হওয়ার কিছু নাই- রান যেভাবে আসছে সেটাই যথেষ্ট- টিকে থাকলে পরবর্তিতে চালানো যাবে- এই বিষয়টা বুঝলো বেকুবচোদা- বুঝে পরের বলে চার্জ করে চার মারলো- এবং এর পরে লেগে সরে গিয়ে জায়গা নিয়ে মারতে গিয়ে আউটসাইড এজে লেগে বল উইকেটে- আউট হওয়ার পর নির্বাক হয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ- এই ছেলেকে আরও সময় দেওয়া দরকার- ওর পরিস্থিতি বুঝার ক্ষমতা নেই- তবে বড়দের কথা না মানার দুর্বিনীত ভঙ্গিটা মাঝে মাঝে পরিস্থিতির কারণে বাদ দিতে হয়- বেকুবের হোগা দিয়া তালগাছ গেলোও হুঁশ হয় না- এরপরও বাংলাদেশ দলের খেলায় জেতার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ছিলো লোয়ার অর্ডার ব্যটসম্যানদের টিকে থাকা। রাংকিন বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা ব্যবহার করতে ধারাবাহিক ভাবেই বুকসমান উচ্চতায় বল করেছে- অধিনায়ক সময় মতো বোলার পরিবর্তন করেছেন- কোনো ব্যাটসম্যানকেই থিতু হতে দেন নি- বাশার এ পর্যন্ত ১৪ বার রান আউট হয়েছে এটা একটা পরিসংখ্যান তবে কত বার ও অপর প্রান্টের ব্যাটসম্যানকে আউট করেছে এই পরিসংখ্যানটা থাকলে আরও ভালো হতো- একটা মানুষ যার আত্ববিশ্বাস তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে- তাকে ধারবাহিক ভাবে খেলানো অন্তত তার উপর বাড়তি চাপ- এমনই কারণে হয়তো মানসিক বিকলাঙ্গ বাশার- ওর উইকেটে আসা- দাঁড়ানো আর ব্যাটিংয়ের সময় ওর চেহারার ভঙ্গি দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না এটা কি বিশ্বকাপ খেলা নাকি মানসিক প্রতিবন্ধিদের খেলা- আশারাফুল আউট হওয়ার পেছনেও এই বোকাচোদার অবদান আছে- আশরাফুল পর পর ২ বলে রান আউট হতে হতে বেঁচেছে- এর পর যদিও ফ্রাস্ট্রেটেড অবিবেচকের মতও পুল করে ক্যাচ দিয়ে এসেছে তবে বাশারের হীনমন্যতা কাটিয়ে উঠলে এটা ঘটতো না।

আশরাফুল আউট হওয়ার পর পুরোপুরি ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ এর পর যা ছিলো তা হলো পরাজয়ের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করে যাওয়া। চোদানির ছেলে বাশার তার নার্ভাস দাঁত দেখানো হাসি হাসছে- তখন ওর হাসিমুখে মুততে ইচ্ছা করতেছিলো- একই রকম দ্বিধায় পড়েছে মুশফিকুর রহিম- ও আউট হয়ে গেলো- বাশারের চৌদ্দ পুরুষের সোনায় এমন জোড় নাই যে ও ম্যাচ জেতাবে- ও ম্যাচ উইনার না- ফিনিশার বলতে যা বুঝায় তার আশেপাশের ৩২টা স্টেশনেও বাশার থাকবে না- গত কালের খেলায় একটা বিষয়ই বলা যায়- চমৎকার অধিনায়কত্ব এবং চমৎকার খলনায়কত্বের লড়াইয়ে খলনায়ক পরাজিত হয়েছে। পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশের আরও ১০ জন খেলোয়ার- আয়ারল্যান্ড সব বিচারেই বাংলাদেশের তুলনায় যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে- আমার কাছে ভালো লেগেছে আয়ারলয়ান্ডের অফ স্পিনারকে- ভালো মানের বোলার- বুদ্ধি দিয়ে বল করে- যদি তেমন সুযোগ পায় এই বোলারটা একদিন বিশ্বমানের অফ স্পিনার হয়ে উঠবে- হ্যাটস ওফ টু আয়ারল্যান্ড ফর দেয়ার ওয়েল ডিজার্ভ উইন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.