আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবাশ সাবাশ প্রেমা

লিখতে ভালবাসি, তার চেয়ে বেশি পড়তে প্রেমা জয়কুমার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পরীক্ষায় দেশসেরা হয়েছেন। এই খবর ভারতের ‘মিডডে’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এরপর অটোরিকশাচালকের মেয়ে প্রেমার বাসায় আসতে থাকে ফোনের পর ফোন। এনডিটিভি জানায়, আজ বুধবার ওই পরিবারের শুভাকাঙ্ক্ষীরাসহ প্রেমাকে শুভকামনা জানান গতবারের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পরীক্ষায় শীর্ষস্থানধারী। এ ছাড়াও চাকরির প্রস্তাব দিয়ে ফোন করছে অনেকে।

এ সম্পর্কে প্রেমা বলেন, ‘আমি অনেকগুলো ফোন পেয়েছি এবং তাঁরা প্রত্যেকেই আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি আজ সারা দিন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। এমনকি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও ফোন পেয়েছি, যারা আমাকে কাজে নিতে আগ্রহী। কিন্তু যেহেতু আমার আর্টিকেলশিপ এখনো চলছে, আমি আগে তা শেষ করব এবং পরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দেব। ’ প্রেমার বাবা জয়কুমার পেরুমল তাঁর দুই সন্তানসহ পরিবারের চার সদস্য নিয়ে থাকতেন মাত্র ৩০০ বর্গফুটের একটি বাসায়।

আয়ের একমাত্র অবলম্বন একটি অটোরিকশা। এই তিন চাকার যান চালিয়েই তিনি ছেলে-মেয়েকে বানিয়েছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তাঁর মেয়ে প্রেমা ও ছেলে ধনরাজ প্রথমবার অংশ নিয়েই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্সি পাস করেছেন। এর মধ্যে ২৪ বছর বয়সী মেয়ে প্রেমা হয়েছেন পুরো ভারতের মধ্যে প্রথম। প্রেমা বলছেন, ‘এ সাফল্যে মা-বাবাকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখার পথ উন্মোচিত হলো।

’ ‘মিডডে’ পত্রিকার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, গত সোমবার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রেমা বলেন, ‘যেদিন থেকে আমি কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করব, সেদিন থেকে বাবা যেন বাসায় আরাম করতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। তিনি আমার সাফল্যের জন্য সব সময় কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ’ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সির এ পরীক্ষায় ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৬০৭ পাওয়া প্রেমার একটি অনন্য অর্জন। এ ছাড়াও বিকম পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৯০ শতাংশ নম্বর। প্রেমা শুধু নিজে পাস করেননি, তাঁর চেয়ে দুই বছরের ছোট ভাই ধনরাজকেও একবারে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট পরীক্ষায় পাস করতে সাহায্য করেছেন।

এ বিষয়ে প্রেমার বক্তব্য, ‘আমরা গত বছরের নভেম্বরে দুজন এক সঙ্গেই পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছিলাম। আমার ভাই ২০১০ সালে বিকম পরীক্ষা শেষ করে। তবে সে উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পরপরই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য পড়া শুরু করে। এ ছাড়া এ পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি জোগাড় করার জন্য একটি কল সেন্টারে কাজ করত ধনরাজ। ’ সূত্র: প্রথম আলো ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.