আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা ভাষার প্রধান কবি- সাহিত্যিকদের মধ্যে যারা ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন

হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ বাংলা ভাষার প্রধান কবি- সাহিত্যিকদের মধ্যে অনেকেই ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন । তাদের মধ্যে অনেকে আবার কলেজ বা ভার্সিটি পর্যায়ে ইংরেজির শিক্ষকও ছিলেন- “শামসুর রাহমান” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন । “বুদ্ধদেব বসু” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ১৯৩০ সালে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স এবং ১৯৩১ সালে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন । অনার্স পরীক্ষায় তিনি যে নম্বর তোলেন তা একটি রেকর্ড এবং এখন পর্যন্ত রেকর্ডটি কেউ ভাঙ্গতে পারে নি । “জীবনানন্দ দাশ” কলকাতার নামকরা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১৯ সালে ইংরেজিতে অনার্স পাশ করেন ।

পরবর্তীতে তিনি একটা কলেজে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । “মুনীর চৌধুরী” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স (১৯৪৬) এবং মাস্টার্স (১৯৪৭) পাস করেন । ১৯৪৯ সালে তিনি খুলনার ব্রজলাল কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন । ১৯৫০ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে এবং সে বছরই আগস্ট মাসে ইংরেজির অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্তিলাভ করেন। ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার কারনে তাকে চাকরীচ্যুত করা হয় এবং জেলে দেয়া হয় ।

জেলে সঙ্গী কারাবন্দী অধ্যাপক অজিত গুহের কাছ থেকে তিনি প্রাচীন ও মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের পাঠ গ্রহণ করেন, কারাগারে থেকেই ১৯৫৩ সালে বাংলায় এম এ পরীক্ষা দেন ও প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। জেল থেকে মুক্তির পর ১৯৫৪ সালের ১৫ই নভেম্বর আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান । ১৯৫৫ সালের জানুয়ারিতে মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের প্রচেষ্টায় বাংলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং আগস্ট মাসে বাংলা বিভাগে সার্বক্ষণিক চাকুরি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের এপ্রিল মাসে তিনি বাংলার প্রভাষক হিসেবে চাকুরি স্থায়ী করেন। ১৯৬৯ সালে মুহম্মদ আবদুল হাই অকালে মৃত্যুবরণ করলে তাঁর স্থানে মুনীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান হন।

“আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ” ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ হতে এম.এ. পাস করেন এবং একই বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন । “সৈয়দ শামসুল হক” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন । তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাবিতে ভর্তি হন । “ফররুখ আহমদ” ১৯৪০ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। “সৈয়দ মুজতবা আলী” ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন।

এখানে তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি,ফার্সি, হিন্দি, গুজরাটি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইটালিয়ান ভাষা শিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে তিনি কাবুলের একটি কলেজে ‘ইংরেজি’ ও ফ্রেঞ্চ ভাষার অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । “বিষ্ণু দে” সেন্ট পল্‌স কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেন । ১৯৩৫ সালে তিনি রিপন কলেজে যোগ দেন । পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দেন এবং ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সেখানে ইংরেজি পড়ান ।

১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি মৌলানা আজাদ কলেজে এবং এরপর তিনি কৃষ্ণনগর কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন । এই লিস্টটা সম্ভবত আরও বড় হবে । এরকম কবি-সাহিত্যিকদের কথা আপনাদের কারও জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন । তথ্যসূত্রঃ উইকিপেডিয়া ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.