তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের নায়কদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর শোক যেন উথলে উঠছে। তারা বিচার বন্ধ করতে বলেছে এবং RAB কে ভেঙ্গে দিতে বলেছে। তারা এই বাহিনীকে কুখ্যাতও বলেছে।
RABএর বিচার বহির্ভূত কর্মকান্ডে বাংলাদেশের মানুষও ক্ষুব্ধ।
তবে তার মানে এই নয় যে বিদেশী কোনো সংস্থা RAB কে গালমন্দ করবে আর আমরা মেনে নেবো।
সিআইএ যে কিউবার গুয়ানতানামো কারাগারে বন্দীদের নগ্ন করে অমানবিক আচরণ করছে তার জন্য হিউম্যান রাইট ওয়াচ কি করেছে?
ইরাকে বন্দী শিবিরে মার্কিন বাহিনীর জঘন্য আচরণের জন্য কি মার্কিন সেনাবহিনী ভেঙ্গে দেওয়ার প্রস্তাব হয়েছে? কিংবা সিআইএকে নিষিদ্ধ করার কথা কেউ কি বলেছে?
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভাল নয়। কিন্তু আমেরিকার মত জঘন্য আচরণ তারা বন্দীদের উপর করে না। যারা নিজেরাই মানবাধিকার মানে না তারা এর কথা বলে কিভাবে?
বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এতো ভাবনার কারণ কি? দক্ষিণ এশিয়ার ঋণভারে আক্রান্ত এই ছোট দেশ কি এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল যে তাকে নিয়ে সবার এত দুশ্চিন্তা?
RAB অনেক খারাপ করেছে তা যেমন সত্য তেমনি এর সফলতাও কম নয়। জঙ্গী দমনে RAB এর ভূমিকা সবাই জানে।
ক্রস ফায়ারে নিরীহ দু একজন মারা পড়েনি তা নয় তবে অধিকাংশ্ই যে খুনী ও অপরাধী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর এরাই আইনের ফাক গলে বেরিয়ে এসে আবারো অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। অতএব বিচারবহির্তূত হত্যা হলেও তাদের তিরোধানে দেশের কোনো ক্ষতি হয় নি।
RAB এর সমালোচনা করতে হয় আমরা করবো। মার্কিন সংস্থার সমালোচনা মানবো কেন? আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নিজেদের কাজকর্ম ওয়াচ করুন।
আমাদেরটা আমরাই দেখতে পারি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।