অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
মোস্তফা কামালের সাথে কিছুটা মিত্রতা আছে আমার। হয়তো একটা সময়ে আমি ও সে যুগপত উপস্থিত ছিলাম পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সামনে, হয়তো একই চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে, হয়তো একই ব্রেঞ্চিতে বসেছি দুজনেই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এটা ফ্ল্যাপ দেখে বুঝলাম, তবে চেহারা দেখে শনাক্ত করতে পারলাম না কোন পাপী বান্দা ছিলেন তিনি।
তবে তিনি চমৎকার লিখেন এটা বলতে পারছি না এখনও। ঘর ভরতি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ নামের গল্প সংকলনের প্রথম 2টা গল্প হয়তো টেনেটুনে 50 পাবে।
তবে আশাতীত রকমের ভালো ছোটো গল্প লিখেন তিনি এমনটা বলতে পারছি না।
মধু বাবুর আশ্চর্য কান্না পড়ে বুঝলাম আমার নিজের লেখার দুর্বলতা। টানা সংলাপ বিলাপের মতো- মধু বাবু নামের ভদ্রলোকের বিহ্বলতা নিয়ে বিশেষ কিছুই বলার নেই। কিংবা এর পরের গল্প বাস্তব ও স্বপ্নের দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পরের ঘটনা বিন্যাস, সরলরৈখিক নির্মাণ, শব্দ সংযোগে খানিকটা মুন্সিয়ানা দেখানোর চেষ্টা। তবে অহেতুক জটিল শব্দসঞ্চয় না করে একটু যত্ন নিয়ে লিখলে ঘটনা ফুটে উঠতো ভালো।
আসলে একটু ভারিক্কি ধরনের শব্দ ব ্যবহারের মোহ কাটিয়ে উঠা সম্ভব না।
এর পরের গল্পগুলো নিয়ে যত কম বলা যায় তত ভালো।
পিয়াল ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিলো লেখা পড়লে কোনটাকে ভালো উপন্যাস বা ভালো লেখা মনে হয়। তার কাছে ঘটনার বিন্যাস ভালো লাগে তবে আমার বক্তব্য হলো, মানুষের ইর্যা, ঘৃনা, দ্বেষ ভালোবাসবোধ, মোটা দাগের যাবতীয় অনুভবগুলো সবই শতাব্দী প্রাচীন।
অস্তিত্বের লড়াই, বিষন্নতাআর অক্ষমতার গ্লানী, নিখাদ উল্ল্লাস, সব নাটকই আসলে মঞ্চস্থ হয়েছে এই পৃথিবীতে অনেক অনেক বার।
আমরা নিজস্ব উপলব্ধিতে বুঝে যাই এটাই আনন্দের প্রকাশ। হয়তো কয়েক ফোঁটা অশ্রু কিংবা হৈ হৈ হৈ চিৎকার। সভ্যতার আর প্রযুক্তির অগ্রগতির কারনে হয়তো নতুন নতুন উপকরন যুক্ত হয় যোগাযোগ মাধ্যম বদলায়।
আধুনিক রাধা কৃষ্ণ হয়তো বাঁশী বাজাবে না কিংবা ধোঁয়ার ছলে কাঁদবে না চুলার ধারে বসে। তারা মোবাইলে রিং টোন পাঠাবে, ভয়েস এস এম এস পাঠাবে কিংবা ছবি পাঠাবে ভিডিও ক্লিপিংস পাঠাবে।
তবে ভালোবাসা বিরহ নতুন মাধ্যমে হলেও সেই পুরোনো অনুভবই জাগাবে প্রাণে।
আজ থেকে 10000 বছর আগে মানুষ যখন ভালোবাসতো তখন তারা যেভাবে ভালোবাসার প্রকাশ করতো সেটার সাথে এখনকার ভালোবাসার প্রকাশ হয়তো মিলবে না। এই প্রকাশ ভঙ্গির ভিন্নতাটা অনুধাবন করতে পারাটাই আসলে লেখকে সাফল্য-
আমার কাছে মূল আকর্ষণ মনে হয় বর্ণনাশৈলী। বলবার ধাঁচ আলাদা বলেই একই বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন নির্মাণের কোন কোনটা স্পর্শ করে আর অন্যগুলো বিরক্তি জাগায়। অনেক আগে নায়ক নায়িকা কিংবা উপন্যাসের চরিত্রদের যক্ষা হতো, প্ল্লেগ আর কলেরা হতো, কাশতে কাশতে , হাগতে হাগতে করুন মৃতু্যবরণ করতো উপন্যাসের চরিত্ররা।
- তাদের উদ্ধারের জন্য( কাদের এটা বলা যাচ্ছে না- হয়তো লেখকদের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিতে কিংবা পাঠকদের বাঁচাতে কিংবা দুজনই হয়তো) বিধাতা ক্যান্সার বানালেন, ক্যান্সারের মরক লাগলো উপন্যাসে,গল্পে আর সিনেমায়। ব্লাড ক্যান্সার একটা আইকন হয়ে গেলো- এর পর আমাদের পঁচে মরার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আসলো এইডস-সামনে আর কোনো নতুন মরণ ব্যাধী না আসলে ইয়াবা আর ভায়াগ্রা খেয়ে করুণ মৃতু্যর বর্ণনা লিখেতে হবে।
পরবর্তী কৌতুক কিংবা ঘটনাণু গুলো আসলে বিরক্তি কামনোর প্যারাসিটামল-অনেক অনেক দিন পরে কোনোও এক মধ্যাহ্ন ভোজনে দেখা হলো তিন জন পঞ্চাশোত্তীর্ন বন্ধুর। পেশাগত জীবনের শেষ দিকে পৌঁছে যাওয়ার সাথে সাথে গৃহীনির রজঃ নিবৃত্তির প্রভাবও পড়েছে তাদের উপরে।
দীর্ঘদিন পেশানিষ্ঠ থাকার জন্যই হয়তো বা আলোচনা এমন দিকে গেলো
তিনজন বন্ধুই পেশায় প্রতিষ্ঠিত, একজন নামকরা বুদ্ধিজীবি, একজন সচিব এবং সর্বশেষ জন রাজনৈতিক নেতা।
শৃঙ্গারে অঙ্গের ভূমিকা এবং শৃঙ্গার কৌশল নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে স্পষ্ট মতপার্থক্য দেখা গেলো- রীতিমতো সাংঘর্ষিক অবস্থানে চলে গেলো আলোচনা-শৃঙ্গারে কোন অঙ্গ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টা মীমাংসিত হওয়া জরুরি এমন বোধ থেকেই বুদ্ধিজীবি শুরু করলেন
অবশ্যই মস্তিস্ক শৃঙ্গারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তার দাবীর সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বললেন- মস্তিস্ক সকল অনুভব আর উদ্দীপনার কেন্দ্র,এছাড়া পরিকল্পনা সেটাও মস্তিস্কের কাজ। দক্ষ পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কিছুই সফল ভাবে সমাপ্ত হতে পারে না। তাই শৃঙ্গারের সর্বাংশেই মস্তিস্ক জড়িত।
সচিত তেড়ে উঠলেন- আবাল কথা ছালো, আসলে ইম্পটর্্যান্ট হলো হাত।
হাতের দক্ষ ব্যবহার জানলে সবাইকে উত্তেজিত করা যায়। তেমন দক্ষ হস্ত সঞ্চালন হলে সবারই খসে-
রাজনৈতিক নেতা খানিকক্ষণ পরে ভেবে বললেন, আসলে আমি নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলে জিহ্বা-
দুজনের উঁচু ভ্রু দেখে তিনি তার কথা সমাপ্ত করলেন এই বলে-
"আমি জিহ্বা নাড়ালেই শত শত লোক উত্তেজিত হয়"
শৃঙ্গারের পিচ্ছল পথ পেড়িয়ে আমরা আসি আমাদের শৃঙ্গারকৌশল শিক্ষাঙ্গণে। পর্নো মুভি আমাদের সঙ্গমের কৌশল শেখায়
এক হুজুর বসে বসে 3* দেখছিলো - হঠাৎ বলে উঠলো, সর্বনাশ নায়িকাটা আমার চেয়ে বেশী আল্লাওয়ালা- চোদনের সময়ও জিকির করে।
(আমার সংযোজন হলো, মানুষ শুধুমাত্র চোদনের সময়ই আল্লাকে স্বরণ করে তার শরণ চায়)
সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছিলো বাস্তবে
দলবেধে পর্নো ছবি দেখছি- মাঝ পর্যায়ে ওহ গড ওহ গড জিকির শুরু হলো
বিরক্ত এক বন্ধু ধমক দিয়ে উঠলো
"চুপ কর মাগী ঠিকমতো দেখবার দে"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।