শাইনিং ইন্ডিয়ার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। শাইনিং ইন্ডিয়ার প্রকৃত অবস্থা কি। প্রিয়াংকা নামের এক নারী স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট না থাকাই শ্বশুর বাড়ি যেতে অস্বীকার করে। শেষে শ্বশুর বাড়িতে পাকা টয়লেট বানানো হয়। প্রিয়াংকা শ্বশুর বাড়ি যায়।
না, এটা কোন গণস্বাস্থ্যবিষয়ক বিজ্ঞাপন নয়। ইন্ডিয়ায় আলোচিত একটা ঘটনা। শুধু ইন্ডিয়ায় নয় সারা দুনিয়ার মিডিয়াতে এই খবর চাউর হয়। কাগজে প্রিয়াংকার ইন্টারভিউ চাপা হয়। সেখানে তিনি বলেন উনি যখন প্রাকৃতিক কাজ-কর্ম সারেন তখন তা অন্য কেঊ দেখবে এটা উনি মেনে নিতে পারেন না।
এ জন্য তাঁর দাবী ছিল পাকা টাট্টি খোলা। টাট্টি বলেছি বলে আপনারা রাগ করবেন না। সেদিন গেলাম বাসা ভাড়া দেখতে। দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলাম বাড়ির কন্ডিশান কি। সে বলল তিনকান থাইকবার রুম, এককান চুলাদ্দুয়ার, আর দুইটা টাট্টি খোলা।
অনেক দিন পর টাট্টি শব্দটা শুনলাম।
শুধু তাই নয় লোকে বলে যারা ইনডিয়াতে ট্রেন জার্নি করে তাদের কে নাকি কয়েক হাজার নারী পুরুষের পশ্চাৎদ্দেশ দেখতে হয়। ধান ক্ষেত গম ক্ষেত ওখানে এখনো টয়লেট সারার অতি উৎকৃষ্ট জায়গা। উপায় না দেখে ক্ষেতের মালিক প্রাকৃতিক ক্রিয়া-কর্ম না সারতে সাইন বোর্ড টানিয়ে দেয়। এতে কি কে কার কথা শোনে।
একবার রাণী নতুন সন্তান প্রসব করে। রাজদরবারে আনন্দের বন্যা। একেক জন একেক ভাবে খুশির কথা প্রকাশ করছে। রাজা গোপাল ভাঁড় কে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি খুশি হওনি। আলবৎ খুশি হয়েছি, রাজা মশায়।
একেবারে টয়লেট সেরে যেরকম শান্তি ঠিক সেই রকম শান্তি পাচ্ছি। গোপালের এই কথা রাজা কাছে অপমান জনক মনে হল। গোপালকে বের করে দিলেন রাজদরবার থেকে। বহুদিন পরে গোপাল একদিক রাজাকে তার বাসায় নিমন্ত্রণ করে আচ্ছা করে খাওয়ালো। খাওয়া শেষে রাজাকে নিয়ে বের হল নৌ ভ্রমণে।
এদিকে অতি ভোজনের ফলে কিছুক্ষণ পরই রাজার তলপেটে চাপ দিল। কিন্তু নৌকায় তো টয়লেট নেই। এদিকে রাজার অবস্থা টের পেয়ে গোপাল নৌকা এদিকে নেয় ওদিকে নেয় কূলে আর ভেড়ায় না। অবশেষে রাজার যখন কাপড় চোপড় নষ্ট হওয়ার যোগাড় তখন নৌকা থামাল গোপাল। নদীর কূলে এক ক্ষেতের মাঝে গিয়ে কম্ম সারলেন রাজা।
তখন রাজা বললেন আসলেই তুমি ঠিক বলেছিলে। ইন্ডিয়ানরা গল্পটা জানে আর তাই ক্ষেতে গিয়ে কম্ম সারে। আর রাজার মজা পায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।