চাচা চৌধুরীর মগজ কম্পুটারের চেয়েও প্রখর
কিছুদিন আগে আপনারা নিশ্চয় জেনেছিলেন যে ভরত মাতার অধিকাংশ মানুষ রাস্তা-ঘাট, নদী-নালা এবং খোলা জায়গায় হাগু-ফিসু করে । আজ শোনাবো আরো মজার একটি খবর। সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অধিবেশন এক দিনে দু-দুবার স্থগিত করা হয়েছে। আইনপ্রণেতাদের তুমুল হইচই, অশ্রাব্য গালাগালি, ফাইল ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি কিংবা অন্য কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জেরে এ ঘটনা ঘটেনি। অবাক হওয়ার মতো হলেও সত্য, অতি তুচ্ছ কারণে ওই ঘটনার সৃষ্টি।
কক্ষে আকস্মিকভাবে উৎকট দুর্গন্ধ বেরুতে থাকলে অধিবেশন স্থগিত করতে বাধ্য হতে হয়।
কর্মকর্তারা জানান, টয়লেটের প্রচণ্ড দুর্গন্ধে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশন দুই দফা স্থগিত হয়ে যায়। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির আইনপ্রণেতা রমা চন্দ্র খুনতিয়া প্রথম ওই বিশ্রী গন্ধের অভিযোগ তোলেন। এ সময় একজন মন্ত্রী পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন।
প্রথমবার ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
পরে অধিবেশন শুরু হলেও দুর্গন্ধ অব্যাহত থাকে। এতে টিকতে না পেরে সদস্যরা আবারও অধিবেশন স্থগিত রেখে কক্ষ ত্যাগ করেন।
রমা চন্দ্র খুনতিয়া বিবিসিকে বলেন, ‘দুর্বল ব্যবস্থাপনার’ কারণেই ওই দুর্গন্ধ ছড়ায়। তিনি বলেন, ‘দুর্গন্ধ রাজ্যসভার সবাইকেই আতঙ্কিত করে তোলে। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করেছিলাম, কোনো ছিদ্র দিয়ে হয়তো গ্যাস নিঃসরণ ঘটছে।
কিন্তু পরে বুঝলাম, এটি টয়লেটের গন্ধ।
টয়লেট থেকে কক্ষের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের পাইপ হয়ে এটি ছড়িয়ে পড়ে বলে আমাদের জানানো হয়। ’
এর তিন দিন আগে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করা হয়। এদিকে, এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মজা করে বলেন, ‘আমরা পরমাণু নিরাপত্তার কথা বলছি। তার আগে এই পার্লামেন্ট কক্ষের নিরাপত্তা, অন্তত টয়লেটের দুর্গন্ধ যাতে না আসে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত।
’
সুত্র- View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।