অমানুষ গুলো দেখতে হুবাহু মানুষের মতো.. রেল ইস্টিশনে আইসা খাড়াইলাম উদ্দেশ্য গ্রামে যামু, অলমোস্ট ৮বছর পর ট্রেন র্যানি। লগে যাইতেছে চাচাতো ভাই, বোন আর ভাগ্না। যদিও ট্রেনে করে যাওয়াটা অনেক বেশী বোরিং লাগে সময় বেশী লাগে বলে। অনিচ্ছা সত্যেয় যাচ্ছিলাম কারণ চাচাতো বোন আর ভাগ্না বাসে উঠতে পারে না তাদের বোমি আসে..ব্যাগ গুলা একসাথে করে রাখলাম যেন চুরি না হয়ে যায়, কয়েক মিনিট না যাইতেই পিছন দিকে একমেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো! ফিরে তাকাতেই দেখি পাগল বেসে একলোক তাহার ব্যাগ নিয়া টানাটানি করতেছে একটুপর দেখি মেয়ের সাথে থাকা একছেলে পাগলের উপর জাপিয়ে পড়লো, দিম ধাম কিল গুশি শুরু হয়ে গেল মুহূর্তে রেল ইস্টিশন WWE রিং হয়ে গেল, মানুষ দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া তা একশান মুভির ফাইট দেখার মতো মনোযোগ দিয়ে দেখতেছে, অতঃপর বিলেনের হার..পাগলের চাড্ডি খুলিয়া তাহাকে নাঙ্গা ভাগাইয়া দেয়া হল। সবাই একটু ভয় পেয়ে গেল বেশী ভয় পাইলো আমার চাচাতো ভাই, উনি এখন যাইতেই নারাজ.. যাইহোক একশন দেইখা এখন রোমান্স না দেখলে হয়? তাহারো ব্যবস্থা করা হল যথা সম্ভব রাজশাহীর ট্রেন আইসা দাঁড়াইছে জংশনে এতো মানুষ ঐ ট্রেনে উঠতেছিল তা দেইখা মনে হইলো রাজশাহীতে ঈদ কালকা!! যাইহোক ভিড়ের এক পর্যায়ে ট্রেন যখন ছাড়ে ছাড়ে অবস্থা এক মাইয়া উঠতে চেষ্টা করতেছে উনার পিছনে এক লুল পোলা সে যেমনে মাইয়াটার পিছন দিক থাইকা ঠেলা ঠেলি শুরু করলো মনে হয় উনার পিছনে ৪০০-৫০০ একলগে ট্রেনে উঠতে ধাক্কা ধাক্কি করিতেছে মাইয়ার জামা কাপড় মনে হয় খুলেই পেলবো হাত দিয়া সে অবস্থাই করিতেছে, কোমর থেকে শুরু করে সব অঙ্গেই হাত দিতেছে অতি কৌশলে আর মাইয়াটা একটুপর পিছনে ফিরে কি যেন বলতেছে পোলাটারে এরকম সিন দেইখা ফিট খাওয়ার অবস্থা হইলো সবাইর। এখন আমার নিজেরি ভয় লাগিতেছিল আদৌ ট্রেনে করে বাড়ী যাইতে পারমু কিনা। যথা সময়ে ট্রেন আইসা জংশনে দাঁড়াইলো, বাজে ৪:৩০. কোন সমস্যা ছাড়াই ট্রেনে উঠতে পারলাম, অতপঃর বোরিং র্জানি শুরু.... অলমোস্ট ৪ ঘন্টা র্জানির এক পর্যায়ে বগীর এক প্রান্ত থেকে এক মহিলা কাইন্দা উঠলো, ব্যাপার বুঝে উঠার আগেই এক হুজুর এসে বললেন মহিলার নাকি বাচ্চা পড়ে গেছে ট্রেন থাইকা কোলে নিয়া ঘুমাইতেছিল দরজার পাশে(উল্লেখ্য মহিলা আসন বিহীন যাত্রী) পুরা কম্পারমেন্টে হইছই পড়ে গেল, এই অবস্থায় ট্রেন কি ভাবে থামায়? বাংলা আর হিন্দি মুভিতে দেখছিলাম বগীর ভেতরে যে চেইন টানার হাতল থাকে তা টানিলেই নাকি থামে, সবাই টানিতে লাগিলো বিধীবাম ঐসব যে কেবলি ছবিতেই সম্বভ তাহা প্রমাণীত হইলো। ট্রেন তো থামে না..একটুপর আসল ঘঠনা উতঘাটিত হইলো আসলে মহিলার বাচ্চা পড়ে নাই তাহার ব্যাগ নিয়া কোন অভাব গ্রস্ত চলন্ত ট্রেন থেকে লাপ দিয়েছে তার অভাব মোছনের জন্য। সবাই শুনে রাগে গজগজ করতেছে ব্যাগরে বাচ্চা বানাইলো কোন ছাগলে!! আমার চাচাতো ভাইতো পুরা পেরেশান হইয়া গেল দৌড়াদড়ি করতে করতে আর আমি জায়গায় বইসা পুরা ব্যাপারটা ভাবতাছি যে লাপ দিল সে ঐ ব্যাগে এমন আর কি পাইবো? তিন-চারটা শাড়ী, দুই-তিনটা বেলাউজ, আর পেটিকোট ছাড়া, অবশ্য যদি সোনার গহনা থাকে ভিন্ন কথা। তবুও কি এতে তার অভাব মোছন হবে? এসব ভাবিতে ভাবিতে গন্তব্যে পৌছাইয়া গেলাম, আমাদের ট্রেন যে কতটা ডিজিটালাইজ আর আধুনিক হয়েছে তাহা ভাবিয়াই হাসিয়া দিলাম. সিকোরেটির কোন বালাই নাই! আল্লাহ আবার ট্রেনে না উঠাক.... ছবি- ইন্টারনেট
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।