প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ না, বাংলায় বসে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী গড়াই প্রধান লক্ষ্য বলে দলীয় কর্মীদের কাছে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল শনিবার দুর্গাপুরে দলের কর্মী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলা ছেড়ে কোথাও যাব না। শত চেষ্টা করলেও কেউ আমাকে বাংলার মাটি থেকে সরাতে পারবে না। 'তিনি পণ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় দলে পরিণত করে বাংলার মর্যাদা বৃদ্ধি করব। এটা আমার চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ।
গত ৩০ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশে মমতা 'দিল্লি চলো' ডাক দেওয়ার পর থেকেই বাংলার রাজনীতিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি মুখ্যমন্ত্রিত্বে তার আর মন নেই?
এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে মহাশ্বেতা দেবী, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়দের মতো মমতাপন্থী বুদ্ধিজীবীদের তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার কথা বলায়। ব্রিগেডের ওই সভায় মহাশ্বেতা দেবীরা বলেন, 'আমরা মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাই। এমনকি শুক্রবার দুর্গাপুরের কাছেই পানাগড়ে মাটি উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও মহাশ্বেতা দেবী একই কথা বলেন।
এই অবস্থায় মমতার রাজনৈতিক বিরোধীরাও বলেছেন, উনি আগে বাংলা সামলান, তারপর দিল্লি দখল করবেন।
বিরোধীদের এই প্রচার তৃণমূলনেত্রীর প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিভ্রান্তি বাড়াতে পারে। তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেটা অনুমান করেই মমতা সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন বাংলাই তার অগ্রাধিকার।
কিন্তু আড়াই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে মমতা বুঝেছেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার দাবি দাওয়া আদায় করে আনতে না পারলে দলের ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো অপূর্ণই থেকে যাবে। তাই প্রধানমন্ত্রি গড়ার চাবিকাঠি হাতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।
মহাশ্বেতা দেবীর মতো গুণীজনরা 'মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই' স্লোগান তুললেও মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও কখনও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেননি।
এমনকী মহাকরণে প্রবেশ করার আগেও তিনি নিজেকে কোনও দিনই বাংলার 'মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী' হিসেবে তুলে ধরেননি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।