আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে নিউইয়র্কে এবিসি কনভেনশন

রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে নিউইয়র্কে এবিসি কনভেনশন ফকির ইলিয়াস ===================================== তৃতীয় 'আমেরিকা-বাংলাদেশ-কানাডা (এবিসি)' কনভেনশন অনুষ্ঠিত হলো নিউইয়র্কে। ২৩ ও ২৪ জুন ২০১২ শনি ও রোববার দুই দিনব্যাপী জমজমাট অনুষ্ঠান। সমবেত হয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বরেণ্য বাঙালিরা। নিউইয়র্কের বিশ্ববিখ্যাত 'এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানর' সেজেছিল বর্ণাঢ্য সাজে। 'এসো দেশ গড়ি' মুখ্য বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ছিল নানা বিষয়ে এগারোটি সেমিনার।

'আমেরিকা-বাংলাদেশ-কানাডা' কনভেনশনের আহ্বায়ক ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক, সাপ্তাহিক ঠিকানার চিফ অপারেশন অফিসার (সিওও) সাঈদ-উর-রব। এর আগেও দুটি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার আহ্বানে। তার উদ্যোগের অন্যতম দিক হচ্ছে 'তিনি বর্তমান অভিবাসী প্রজন্মকে বাংলাদেশ, বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি সমাজ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহী করে তুলছেন। এবারের কনভেনশনের উদ্বোধক ছিলেন ইংল্যান্ডের টাওয়ার হ্যামলেট সিটির নির্বাচিত বাঙালি মেয়র লুৎফুর রহমান। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা।

প্রথমদিনে ছিল চারটি সেমিনার। 'বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা,' 'বাংলাদেশে আইটি সেক্টরের উন্নয়ন পরিকল্পনা', 'পানি আগ্রাসন : ভাটি অঞ্চলের পরিবেশ বিপর্যয়ে কতটা হুমকি', 'মেধার আর অপচয় নয়, করপোরেট আমেরিকায় ভাগ্য গড়ুন' এগুলো ছিল সেমিনারের বিষয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে অংশ নেন এসব বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। ড. ফাইজুল ইসলাম, ড. মাহফুজ চৌধুরী, ড. কে এম সিরাজুল ইসলাম, ড. সাইফুল খন্দকার, আহমদ হোসাইন খান, ড. মিয়া মোহাম্মদ আদেল, ড. নজরুল ইসলাম, ড. সুফিয়ান খন্দকার, ড. মীর্জা মনিরুল কাদের, ড. জাফরুল হাসান, ড. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ এসব সেমিনারে তাদের সারগর্ভ বক্তব্য তুলে ধরেন। এসব সেমিনার থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সুযোগ পেলে অভিবাসী বিশেষজ্ঞরা তাদের মেধা ও মনন বাংলাদেশের জন্য কাজে লাগাতে সবসময় প্রস্তুত।

দ্বিতীয় দিন ছিল আরও কয়েকটি সেমিনার। 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় তৃতীয় শক্তির উত্থান জরুরি কি না', 'সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কি সাংঘর্ষিক', 'খেলাধুলা দেশে ও প্রবাসে', 'সুখী দাম্পত্য জীবন সমাজ উন্নয়নে সহায়ক', 'সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে প্রবাসের অবস্থান', 'চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য আবাসন সংকট ও উত্তরণের পথ' এসব বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ড. জিল্লুর রহমান খান, ড. আলী রীয়াজ, ড. শফিকুর রহমান, সাবির মোস্তফা, ড. পার্থ ব্যানার্জি, ড. আদনান মোর্শেদ, ক্রীড়াবিদ ইউসুফ রেজা, ওমর মোহাম্মদ খালিদ, মোস্তফা হোসেন মুকুল, ড. সাজেদা আমিন, ড. রিফাত সালাম, কবি সৈয়দ শামসুল হক, কবি ফরহাদ মজহার, কবি শহীদ কাদরী, ইকবাল বাহার চৌধুরী, দিলারা হাশেম প্রমুখ। এবারের এবিসি কনভেনশনে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী আপেল মাহমুদ, দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, কলামিস্ট সিরাজুর রহমান, দৈনিক আমার দেশের সঞ্জীব চৌধুরী, চায়না রেডিওর বাংলা বিভাগের প্রধান উই গুয়াংউই, ভারতের বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও অভিনেতা সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, শিল্পী বেবী নাজনীন, অলক রায়, আরফিন রুমি, শবনম মুশতারী প্রমুখ। জমজমাট এই দুই দিনের কনভেনশনে যে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছি তা হচ্ছে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ। শহীদ কাদরী এবং ফরহাদ মজহারের উপস্থিতিতে যখন কাব্যপাঠের আসরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল তখন প্রচুর তরুণ-তরুণী উপভোগ করেছেন বাংলা কবিতা।

অস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত পরিচালক ও লেখক জামাল যোশেফ এসেছিলেন বিশেষ অতিথি হয়ে। তিনি প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, থেমে থাকা জীবন নয়। সব বাধা অতিক্রম করতে হবে। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র অফিসের ইমিগ্রেশন কমিশনার ফাতেমা শ্যামা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরও অধিকার সচেতন হতে হবে। 'বিশ্বসাহিত্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অবস্থান এবং অন্য ভাষার আগ্রাসন' শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে অভিবাসী নজরুল গবেষক ড. গুলশান আরা কাজী বলেন, বিদেশে নজরুলের সাহিত্য নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুলের সাহিত্যপঠিত হচ্ছে। তাই বিশ্বে বাংলাসাহিত্যের আসন দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে তা স্পষ্টতই বলা যায়। তিনি বলেন, বিদেশে যারা আছেন তাদের উচিত, নিজ প্রিয় লেখককে প্রমোট করা। যে যেভাবে পারেন বিদেশে বাংলাসাহিত্যকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে পারেন। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলা ভাষা শেখায় প্রজন্মকে সাহস জোগাতে হবে।

বাংলা কোন দীন ভাষা নয়। কথাটি প্রজন্মকে জানাতে হবে। দিলারা হাশেম বলেন, বন্ধ ঘরে সৃষ্টিশীল রচনা সম্ভব হয় নয়। ইংরেজিতে লিখেই নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাই বাংলাসাহিত্যের অনুবাদ জরুরি বিষয়।

কবি ফরহাদ মজহার বলেন, বিশ্বসাহিত্যে যেতে হলে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। বিশ্বের যেসব ভাষা ও সাহিত্যকে নিঃশেষ করে দেয়া হয়েছে, তাদের পড়ুন। দেখবেন তাদের আত্মবিশ্বাস কত শক্তিশালী। আত্মবিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাসের মাঝে নিশ্চয়ই একটি পার্থক্য আছে। তা জানতে হবে।

তিনি বলেন, সৈয়দ শামসুল হক, শহীদ কাদরী এরা বিশ্বসাহিত্যের অন্তর্গত মানুষ। বিশ্বসাহিত্যে বাংলাসাহিত্য নিজ শক্তি নিয়েই প্রতিষ্ঠিত। কবি শহীদ কাদরী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে বিশ্বসাহিত্য বলতে আমরা কী বুঝি? এই সময়ে পোল্যান্ডে কিংবা নেদারল্যান্ডে কি লেখা হচ্ছে তা কি আমরা জানি? না, জানি না। অপার দৃষ্টিতে বিশ্বসাহিত্য বলতে আমরা ইংরেজি সাহিত্যকে বুঝি। প্রকৃত অর্থে বিশ্বসাহিত্য বলতে কিছুই বুঝায় না।

ইংরেজদের গোলামি করার ফলে যে সাহিত্য পেয়েছি আমরা, সেটাই চর্চা করছি মাত্র। বাংলাসাহিত্যে সমৃদ্ধ অনেক কিছুই রয়েছে, যা অন্য ভাষার সাহিত্যে নেই। সেই ধনতত্ত্বকে কাজে লাগাতে হবে। সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ভাষাকে বাঁচাতেই লিখতে হবে। পাঠক কজন, তা বিবেচনায় না রেখেই লেখককে তার সৃষ্টি চালিয়ে যাওয়া দরকার।

তিনি বলেন, 'পাওয়ার অফ ওয়ার্ডস'-এর বিকল্প কিছু নেই। আর এ শক্তি সব ভাষাতেই আছে। শুধু ব্যবহারের অপেক্ষায়ই থাকে সেই শক্তি। সৈয়দ হক বলেন, রিজেকশন থেকে শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই আছে। তিনি বলেন, এই বয়সে এসে আমি দৃঢ়তার সঙ্গে আপনাদের জানাতে চাই, আমি চাইলে যে কোন ইংরেজ ভাষাভাষী লেখকের চেয়ে ভালো ইংরেজিতে আমি লিখতে পারতাম।

কিন্তু আমি লিখিনি। কারণ বাংলা আমার ভাষা। বাংলা আমার গর্ব। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি যে কোন ভাষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে বাংলা ভাষা। সৈয়দ হক বলেন, রোমান হরফে বাংলা ভাষার প্রতি 'ভাষার আগ্রাসন' চলছে।

যে বাঙালি '৫২ সালে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল, সেই প্রজন্ম এখন বাংলিশে এসএমএস করে প্রতিদিন কোটি কোটিবার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন, যেসব মোবাইল থেকে বাংলা লেখা যায় না, সেসব কোম্পানির মোবাইল বাংলাদেশ আমদানি করবে না। তা আসছে বছর থেকেই কার্যকরী হবে বলে আমরা আশা করছি। যেসব মোবাইল থেকে বাংলা হরফে লেখা যায়, তেমন মোবাইল বাংলাদেশেও তৈরির চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাসাহিত্য, বিশ্বের যে কোন ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। এ নিশ্চয়তা আমি আপনাদের দিচ্ছি। সৈয়দ শামসুল হক বলেন, মালদ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। সেদেশের একজন তরুণী লেখিকা আমাকে জানিয়েছেন, তিনি টাইপ করে বাঁধাই করে তার লেখা ৫০০ পৃষ্ঠার একটি বই দেড়শ কপি ছেপেছিলেন। তিন বছরে বিক্রি হয়েছে একশ কপি।

তাই আমাদের হতাশ হওয়ার কী আছে? ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। কনভেনশনের দ্বিতীয় দিন ২৪ জুন ২০১২ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় কবি নজরুল হলে ছিল 'সমসাময়িক বাংলাসাহিত্যে প্রবাসের অবস্থান' শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও কবি ফকির ইলিয়াস। সঞ্চালনা করেন সৈয়দ কামরুল। এতে প্যানালিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকবাল বাহার চৌধুরী, দিলারা হাশেম, ফেরদৌস সাজেদীন, হাসান ফেরদৌস ও জুনায়েদ আকতার।

মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বিশিষ্ট কবি সৈয়দ শামসুল হক এবং দর্শকসারিতে বসা ছিলেন কবি ফরহাদ মজহার, সিরাজুর রহমান, ড. আলী রীয়াজ, সরকার কবিরুদ্দীন, ড. জিল্লুর রহমান খান, কাফী খান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি। মূল প্রবন্ধের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফেরদৌস সাজেদীন বলেন, শব্দই হচ্ছে অভিজ্ঞতা। তা সৃজনশীলতার প্রয়োজনে যে কোনভাবেই কাজে লাগানো যেতে পারে। তিনি বলেন, লেখালেখিতে দেশ ও প্রবাস এখন কোন বিষয় নয়। কবি জুনায়েদ আকতার বলেন, বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা আমাদের লেখালেখিকে অদূর ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে সে নিশ্চয়তার ধ্বনি আমি শুনতে পাচ্ছি।

ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, বিদেশে বাঙালি প্রজন্মকে কীভাবে লেখালেখিতে সম্পৃক্ত করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। যারা বাংলা জানেন তারা বাংলায় লিখবেন কিন্তু যারা এদেশে বেড়ে উঠছে, তারা কীভাবে বাংলা সাহিত্যের রস আস্বাদন করবে, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। দিলারা হাশেম বলেন, বাঙালি অভিবাসী সমাজের এই প্রজন্মকে আমাদের সাহিত্য জানাতে হবে, বুঝাতে হবে। আমার নিজেরও দুঃখ হয় আমার সন্তানেরা বাংলা জানে না। ওরা কোনদিনই জানবে না, আমি আজীবন কী লিখে গেলাম।

বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক হাসান ফেরদৌস মূল প্রবন্ধ বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, সাহিত্যের প্রবাস বলে কিছু নেই। সাহিত্যের বাস্তবতা হচ্ছে জীবনের আখ্যান। তা হতে পারে যাপিত জীবন অথবা শোণিত জীবন। প্রবাসে বসে যারা লিখেন, তারা অনেকেই শোণিত জীবনের আখ্যান লিখেন। কবি সৈয়দ শামসুল হক তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, বাংলা হচ্ছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা।

আমি মনে করি অন্য ভাষার চর্চা ভালো। তবে নিজ ভাষা, সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে নয়। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমী যদি একজন প্রবাসী লেখককে পুরস্কার দিতে চায়, তবে তাকে বাংলা একাডেমী পুরস্কারটি দেয়া দরকার। এখানে 'প্রবাসী' আর স্বদেশী' ক্যাটাগরি বিভাজন গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক কাদের মাহমুদকে প্রবাসী লেখক পুরস্কার দিয়েছে বাংলা একাডেমী।

আমি প্রবাসী হলে এবং আমাকে এমন পুরস্কার দেয়া হলে আমি তা গ্রহণে অসম্মতি জানাতাম। সৈয়দ হক বলেন, একজন লেখকের স্থানিক পরিচয় কোন বিষয় নয়। লেখক যে কোন স্থানে থেকেই তার লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারেন। যারা বিদেশে থেকে লেখালেখি করবেন, তাদের নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

প্রজন্মকে পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মনে রাখা দরকার, আমরা সবাই সৃষ্টিশীলতা চাই। আর সৃষ্টির জন্য অধ্যবসায় খুবই দরকারি ব্যাপার। নিউইয়র্ক, ২৭ জুন ২০১২ ---------------------------------------------------------------- দৈনিক সংবাদ / ঢাকা / ২৯ জুন ২০১২ শুক্রবার প্রকাশিত ছবি- এবিসি কনভেনশনে আড্ডায় তিন কবি শহীদ কাদরী , সৈয়দ শামসুল হক ও ফরহাদ মজহার । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.