পর্যটক
আমাদের অনেকের ধারণা, যে কোন বিয়ে মানেই কোন না কোন ধর্মীয় মতেই এটা ঘটে। এর বাইরে এটা ঘটতে পারে না। এজন্য নাগরিক বিয়ের প্রসঙ্গ পাশাপাশি উল্লেখ করেছি। Click This Link এর পরেও অনেকে জানতে চেয়েছেন কোন দেশে এই উদাহরণ আছে। আগেই বলেছি, নাগরিক বিয়ের ভিত্তি নাগরিক পরিচয় অন্য কোন কিছু নয়।
পশ্চিমের দেশগুলোতে এটা চালু আছে, যেদিন থেকে তারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করেছে বিপ্লবের অথবা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে, তারই অনুসঙ্গে অব্যবহতি পর থেকে। সাধারণভাবে, এই আইনটা Uniform Civil Code বলে পরিচিত। এই আইনের বিয়েকে আমি আর এক ভাষায় নাগরিক বিয়ে বলেছি মাত্র। ইউরোপে বা পশ্চিমে এই আইন সহজেই পার্লামেন্টে বসে পাশ করে চালু করা যায়নি, সামাজিক আন্দোলন করতে হয়েছে বিশেষ করে তালাক বা ডিভোর্স এর অধিকারকে কেন্দ্র করে চার্চের বিরুদ্ধে। এরই ফলাফলে Uniform Civil Code চালু করা গেছে।
আমাদের পড়শীদের মধ্যে ভারতেও Uniform Civil Code চালু আছে এবং এর সমস্যাও আছে।
আমাদের দেশে অনেক নারী সংগঠন স্বভাবতই এর নাম শুনেছে। এরা কপি পেষ্টের মত বাংলাদেশেও এটা চালু হোক তা চায়। কিন্তু সমাজের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের, রাষ্ট্রে রূপ লাভের কাজটার আগে এটা অসম্ভব। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন কষ্টকর।
আর এটা নারী সংগঠনের কাজ না। এনজিও বা সামাজিক সংগঠন নয়, রাজনৈতিক কাজ, সংগঠন বা দলের কাজ। নতুন ক্ষমতা সংগঠিত করার কাজ, ফলে রাজনৈতিক দলের ব্যানার লাগবে। সমাজে নারীরা চাইলে রাজনৈতিক দলের ব্যানার নিয়ে নামতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এটা পুরুষ উৎখাতের সংগ্রাম নয় আবার, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লড়াইয়ে পুরুষেরও সমান স্বার্থ আছে।
ফলে এটা নারী বনাম পুরুষ না, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শত্রু বনাম মিত্রের লড়াই। এসব কাজের দায় এড়াতে চায় বলেই প্রাসাদ ষড়যন্ত্রমুলক পথটাই ওসব নারী সংগঠনের পছন্দ। পরাশক্তিকে স্বার্থকে সঙ্গে নিয়ে আয়ুব খান, এরশাদের মত সর্বশেষ ফকরুদ্দিনকে সাথে নিয়ে নারী আন্দোলনই তাদের কাছে আকর্ষণীয়। অথচ, পরাশক্তি ও দেশী - এই স্বার্থজোট, এরাই আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র অর্জনের পথ যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বড় বাধা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।