অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
প্রাক্তন বিচারপতি এবং সাম্প্রতিক প্রাক্তন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুল সাহেবকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত এবং বিচারকার্য স্থগিত করবার অনুরোধ জানিয়েছেন আদালত, তবে আদালতের ভাষ্য অনেকটাই নির্ধারণমূলক, তারা রাষ্ট্রকে কারণদর্শানো নোটিশ দিয়ে জানাতে চায় কেনো তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিচারকার্য স্থগিত করা হইবে না এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য তারা জানতে চায়।
চমৎকার নাটক হয়ে গেলো এই বিচারপতিকে নিয়ে, তিনি সমাজের সম্মনিত ব্যক্তি, হয়তো নিরপেক্ষ এবং সচেতন- তাই তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হতে পেরেছিলেন, কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হওয়ার পরে স্বীয় ক্ষমতাবলে তিনি প্রায় ১৩ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন করলেন এটা কেমন সম্মানীয় ব্যক্তি আচরণ হলো বুঝা দুস্কার।
তবে আদালত মনে করে এতে তার সুনামহানী হইবার কারণ ঘটিয়াছে তাই রাষ্ট্রপক্ষকে তলব করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কেনো তদন্ত করা হইবে এবং কেনো বিচার করা হইবে এই সম্মানিত নাগরিকের।
অবশ্য বিষয়টা লক্ষ্যণীয়, এখানে বিচার ব্যবস্থাকে কাঁচকলা দেখিয়ে যারাই আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে রয়ে গেছেন এবং ক্রমাগত আইনী প্রক্রিয়ার বাইরের অবস্থান করছেন তারা এমনতর সম্মানিত মানুষ এবং তাদের পরিবারবর্গ।
আদালতের চত্ত্বর, প্রাক্তন সহকর্মীর প্রতি সহমর্মিতা সকল কারণ উপস্থিত থাকায় যখন একজন ঘুষখোর সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে বিচারপ্রক্রিয়ার উর্ধ্বে চলে যেতে পারেন এবং তিনি বুক ফুলিয়ে রাস্তায় ঘুরতে পারেন কোনো রকম আত্মপীড়ণে না ভুগে তখন এইসব মানুষের বিচারের ভার কার নেওয়া উচিত?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।