আর কয়েকদিন চট্টগ্রামে বৃষ্টি পড়লে ৯৭ এর বন্যার রের্কড কে হার মানাবে ২০১২ এর অতর্কিত এই অতিবৃষ্টি ঘটিত বন্যা । হঠাত্ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে । হসপিটালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন ,আয় বাড়ছে ক্লিনিকগুলোর এবং ডাক্তারদের ।
শুধু চট্টগ্রাম শহর নয় পুরো জেলা এই অতিবৃষ্টির শিকার । নিঁচু এলাকার বাসা বাড়ির নিচ তলায় কোমর এমনকি বুক সমান পানি উঠেছে ।
তারা অনেকেই হয়তো আজকের রাতে উদ্বাস্তু হিসাবে কারো বাসায় আচমকা মেহমান হিসাবে উপস্তিত হবেন হইতো বা এই বন্যার পানির সাথে সংগ্রাম করবেন যাতে তাদের আসবাবপত্র গুলো অন্তত রক্ষা পায় । সবচেয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং অসহায় বোধ করছেন শহরের নিম্নবৃত্তের মানুষগুলো ও চিন্নমূল মানুষগুলো । তাদের তো এখন থাকার কোন স্থান ও নেই ।
বহদ্দারহাটে বাঁজ পড়ে বিদ্যুত্ লাইনের জেনারেটর বিকল হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষগুলোর আজকের রাতটা অন্ধকারে কাঁটাতে হবে ।
শহরের বাইরের অবস্তা আরো করুণ ।
রাস্তাঘাট ,অনেক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে । নদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । রাস্তায় মাছ ধরার মোক্ষম সুযোগ অনেকেই হাতছাড়া করছেন না । বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়ছে জালে ,শুকনো মাছের ঘ্রানে ভৌ ভৌ করছে বন্যা প্লাবিত গ্রাম গুলো ।
ক্ষতির পরিমাণ বেশী হলে ও এই বন্যায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি কাজ অন্তত কমে গেল ।
সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিস্কার করতে সামনের কয়েকদিন টাকা খরচ করতে হবে না । বন্যার ফলাফল যতই খারাপ হোক ,লাভতো কিছু আছে । আরো জানতে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।