জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সত্যায়িত করে নিয়ে আসেন। জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সত্যায়িত করে নিয়ে আসেন। এই জন্ম নিবন্ধন চলবে না। আপনার তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আসেন।
এরকম নানা অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজন কে হয়রানি করছে যাত্রা বাড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস।
দেখার কেউ নেই। সেবার মান বেড়েছে বলা হলেও মান বাড়েনি এতটুকু। বরং হয়রানি, দালাল ও ঘুষ খাওয়া রাস্তা যেন তৈরি হয়েছে পাসপোর্ট করার নামে। বাংলাদেশের একজন ব্যক্তি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করতে যেসব লাগে।
তার সব গুলো শর্ত পূরণ করলেও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করা যায় না। পাসপোর্ট করতে এসে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয় দেশের নাগরিকদের।
পাসপোর্ট করার একটি নিয়ম আছে। তার কিছু থাকে সরকার নির্ধারিত পাসপোর্টের ফরমে। বিনামূল্য সে ফরম বিতরণ করা হয়।
বাকী নিয়ম কানুন জানা যায় মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে। তার বাইরে যদি কোনো নিয়ম থাকে তবে সেটা ঘোষণা করে বলা উচিত। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ফরমের ভিতরের পাতায় লেখা আছে আবেদন ফরমের সাথে কি কি জমা দিতে হয়। আবেদনকারী শুধু সেখান টিক চিহ্ন দিবে। ফরম চাওয়া তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করে সত্যায়িত করতে হয়।
যারা আবেদন পত্র সত্যায়িত করতে পারবে তা ফরমের পিছনে বলে দেয়া আছে।
যারা নতুন করে পাসপোর্ট করবেন। তাদের নিয়মটি হচ্ছে, নির্দিষ্ট ব্যাংকে ফি ৩০০০ টাকা(সাধারণ) জমা দিয়ে দু প্রস্থ ফরম পূরণ করতে হয়। আবেদন পত্রের সাথে প্রাপ্ত বয়স্করা জাতীয় পরিচয় পত্র। অপ্রাপ্ত বয়স্করা আবেদন পত্রের সাথে জন্ম নিবন্ধন দেবেন।
এরপর আবেদন পত্র দুটি সত্যায়িত করতে হয়। এই হচ্ছে নিয়ম। কিন্তু এ নিয়ম মানছে না যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। তারা জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত চান। এমনকি জন্ম নিবন্ধনের সত্যায়িত চান।
সত্যায়িত ছাড়া তারা আবেদন পত্র গ্রহণ করবেন না। অথচ সত্যায়িত করার বিধান শুধু আবেদনপত্রটির। আবেদন পত্রের সাথে জমা দেয়া দলিল পত্রের সত্যায়িত চাওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ফরমের কোথাও বলা নেই। সরকারে যে ওয়েব তৈরি করেছে সেখানে শুধু আবেদনপত্রের সত্যায়িত করার কথাই বলা আছে।
কাগজ পত্র সত্যায়িতের নামে বহু লোকের আবেদন ফেরত দিচ্ছে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন।
পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে যেখানে কাগজ পত্রের সত্যতা নিরূপণ করবে। সেখানে জমা দেয়া দলিলের সত্যায়িত কেনও লাগে ? তা বোধগম্য নয়। যদি অন্য কিছু সত্যায়িত করতে বলা হয় তবে তা ফরমে বা নিয়মকানুনে উল্লেখ করে দিলেই পারে। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এ নিয়ম কেনও জানতে হবে? পুরানো জন্ম নিবন্ধন চলবে না।
কারণ সেখানে নিবন্ধন নাম্বারের সংখ্যা নিয়ে একটি বিতর্ক আছে। বর্তমানে যত সংখ্যার ডিজিট জন্ম নিবন্ধনে চলে আগে তা ছিলো না। যে কারণে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ পুরানো জন্ম নিবন্ধন বাতিল করে দিচ্ছে। নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করে নিয়ে আসতে বলছেন। অপ্রাপ্ত বয়সী শিশু সন্তানদের আবেদন বাতিল হচ্ছে এ কারণে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি নিবেদন অতি সত্বর এসব নতুন নিয়ম কানুন আপনাদের বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করুন। তা না হলে নাগরিকরা পাসপোর্ট করতে এসে ভোগান্তিতে পড়বে।
সূত্র হতে পড়তে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।