সুত্র হতে পড়তে্এই লিংকে ক্লিক করুন।
যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান বাড়াতে হবে। লোডশেডিং চলছে। দরজা জানালা নেই। এমন আবদ্ধ ঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনাকে যদি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, তখন আপনার কেমন লাগবে? দেহ পানি শূন্য হয়ে মাথা ঘুরে হাসপাতাল।
এরকম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজন।
জেনারেটরে তেল নেই। খাবার পানির সুব্যবস্থা নেই। টয়লেট থাকলেও ব্যবহারের অনুপযুক্ত। সেখানে পানি নেই।
টাকা জমার দেয়ার ব্যাংক পাসপোর্ট অফিস রায়েরবাগ থেকে বহু দূরে যাত্রাবাড়ী মোড়ে। ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
দালালের দৌড়াত্ব দেখা যায়নি। তবে পাসপোর্ট অফিসের কোনো কোনো সেকশনের কর্মকর্তা অফিসে আসেন অফিস শুরুর ঘণ্টা খানেক পর। কয়েকটি কম্পিউটার মেশিন টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে বন্ধ আছে।
ফোটো তোলার ঘরে হঠাৎ এসি বন্ধ হয়ে যায়। আয়না নেই। এভাবেই চলছে যাত্রা বাড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিত্যদিনের কাজ ।
পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা দিতে সকাল ৭ টায় লাইন দিতে আসে সকল বয়সী মানুষ। সকাল ১০ টায় শুরু হয় অবেদন পত্র জমা নেয়ার কার্যক্রম।
মহিলাদের মধ্যে যারা অসুস্থ ও সাথে বাচ্চা আছে তাদেরকে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা আগে ভাগেই আবেদনপত্র জমা দেয়ার সুযোগ করে দেন। এটি প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু ভিতরে গিয়ে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে সেটি থেকে বেরোবার কোনো উপায় নেই। আবেদন ফরমে সামান্য ভুল ত্রুটি সংশোধন করার জন্য টেবিল চেয়ার প্রয়োজন। সেটি সেখানে দেখা গেলো না।
অবেদন পত্র জমা দিতে গিয়ে দেখা গেলো কিছু জরিমানা দিতে হবে। এর জন্য দরকার ব্যাংকের সহায়তা। কিন্তু ব্যাংক অফিস সংলগ্ন না হয়ে চলে গেছে বহুযোজন দূরে। এদিকে বেলা ১১ টা নাগাদ শেষ হয়ে যায় অবেদন পত্র ভেরিফিকেশনের (যাচাই বাছাই কাজ) সময়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বললেন আজ না পারলে আরেকদিন আসতে হবে।
তাছাড়া পাসপোর্ট ফরমে রয়েছে কিছু অস্পষ্টতা যা কম্পিউটার অপারেটর ডাটা এন্ট্রি করার সময় জানালেন। ফরমের যে স্থানে উল্লেখ আছে ফোন নম্বর দিতে হবে। জানা গেলো সেখানে লিখতে হবে মোবাইল নম্বর। অন্যদিকে জরুরী যোগাযোগ করা ব্যক্তির পূর্ণ ঠিকানা লিখতে হবে। অর্থাৎ জরুরী যোগাযোগ করা ব্যক্তির টেলিফোন অথবা মোবাইল নম্বর দিলেই চলবে না।
দিতে হবে উক্ত ব্যক্তির পূর্ণ ঠিকানা সহ নিকটস্থ থানার নাম ও পোস্ট অফিসের নাম। ফরমে কিন্তু এভাবে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এর ফলে বেশিরভাগ ব্যক্তি ফরমের ওই অংশ অসম্পূর্ণ করে আবেদন পত্র জমা দেন। এতে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হন বিরক্ত । পাসপোর্ট আবেদনকারীকে বিষয়টি বোঝাতে লেগে যায় অতিরিক্ত কিছু সময়।
আবেদনপত্র জমা দিতে আসা লোকজনের ভিড় যায় বেড়ে। শুরু হয় ধাক্কা ধাক্কি। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি। তারপর হাতাহাতি। তবে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের হস্তক্ষেপে বিষয়টা ঠিক তত দূর পর্যন্ত গড়ায় না।
যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবার মান বাড়াতে হবে। পাসপোর্টের ফি জমা দেয়ার ব্যাংক অফিস সংলগ্ন করতে হবে। অথবা ব্যাংকের পাশে আঞ্চলিক অফিস করতে হবে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পানীয় জলের ও টয়লেটের ব্যবস্থা ব্যবহার উপযোগী থাকতে হবে। ফরম পূরণ, সংশোধনের জন্য টেবিল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
জেনারেটর সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে। যে ঘরে লাইন করে লোকজনকে দাড় করিয়ে রাখা হয় সেখানে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি লাগাতে হবে। লাইনে দাঁড়ানোর স্থানটি আলো বাতাস চলাচল পূর্ণ হওয়া উচিত। ভেরিফিকেশনের সময় বাড়াতে হবে। জনগণ পাসপোর্ট নিতে এসে গরমে অজ্ঞান হবে।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে এটা কাম্য নয় কারো। আশা করি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাসপোর্টের সাথে সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা গণ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন। নিজস্ব প্রতিবেদক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।