একটি দুর্লভ গিতিকাব্য ****** রচনা , শাহ মোহাম্মদ হাসিম উদ্দিন পিতা , শাহ আবদুল কুদ্দুছ । জন্ম ১৩৫০ _ মৃত্যু ১৪০৮ বাংলা গ্রাম , স্বল্পবড় ভাগ , উওজেলা গৌরীপুর , ময়মনসিংহ । কাব্য ভুমিকা সমালোচনায় লুৎফুর রহমান খান । কাব্য বানী শাহ খয়রাত মিয়া গ্রাম ; ভাটা পাড়া , ধরমপাশা । সম্পাদনা ** এম , জি , আর মাসুদ রানা । শিস্য জ্ঞান হাসিম গিতি *************** ১ , গিতিকা । বাদশা শাহজাহানের ন্যায় বিচার । দিল্লির বাদশা শাহজাহান করিতেন ন্যায়বিচার বিচার এক ছাপল এসে নজরে তাহার বাদশার স্ত্রী মমতাজ দাসি সহ করেন সাজ করিতেন তীর অভ্যাস হইয়া উজার মাটি আর গাছ পাথরে মমতাজ তীর ছুড়ে এমনি ভাবে অভ্যাস করে হাত টিক রাখিবার হটাৎ একদিন তীর ছুটিয়া ধোপার বক্ষে যায় বিধিয়া ধুয়া উটে চিৎকার দিয়া কে প্রান বধিল আমার ধুপার প্রান প্রেয়সী বলে স্বামী কোন বা দুষি বধ করিল সর্বনাশী স্বামীকে আমার বেথিত মন পাষাণ করিয়া মৃত স্বামীকে কাঁদে লইয়া বাদশার নিকটে গিয়া করেন আবদার এই অভাগী ধুপানি হইয়া কত পেরেশানি কেটে যায় দিন রজনী বাদশা নামদার আপনার মহল হইতে তীর ছুটিয়া এসে প্রাতে স্বামী মারা যায় আঘাতে উপায় কি আমার কি করিয়া বাঁচাব প্রান নাই আমার পুত্র সন্তান গুনের বাদশা শাজাহান চাই সুবিচার শুনে বলে বাদশা নামদার না করিয়া সুবিচার করিবনা পানাহার দোহাই আল্লাহর কে বধিল ধুপারে সিগ্রি কহ এবারে একে একে জিজ্ঞাস করে যত ছিল খাস দরবার জবাব না পাইয়া উত্তরে বাদশা গেল অন্দরে জিজ্ঞাস করে মমতাজ রে কি কারনে ধুপা মইল খুলে কও এবার ওগো বাদশা নামদার শুনেন সমচার এই মমতাজের দাঁরাই হইল ধুপার প্রাণঘাতী কারবার আগে যদি জানিতাম তীর ছুড়া না শিখিতাম এখন হায় গোঁ গলাতে ডোল কলংক প্রচার বাদশা এই কথা শুনিয়া ধুপানিরে ডাকিয়া হাতে তীর দেয় তুলিয়া কর সুবিচার যে করিল পাপ তার কিসের মাফ করিওনা অনুতাপ বিচারে আমার যে পাষাণী তীর ছুড়ে তোমার স্বামীর বুকে মারে সেই মতে পাষাণীর স্বামীরে কর সংহার বলে ধুপানির স্ত্রি আমি লজ্জায় মরি কেমনে তীর ছুরি বক্ষে আপনার দেখুক জগত বাসী করতে চাইনা দুষি হইলাম অতি খুশি পাইয়া সুবিচার শুনে বাদশাজাদা করিল অয়াদা মমতাজের মত মর্যাদা থাকবে প্রাসাদে তোমার সাথে লয়ে ধুপানিরে বলে দিলেন মমতাজ রে রাখিও সমাদরে ভগ্নি আমার ধন্য ধন্য হল সাড়া বিচারে জুড়ায় অন্তরা দিল্লির বাদশা হয় আত্তহারা জানায় শোক্রিয়া আল্লার ধারাবাহিক পর্ব চলবে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।