আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দিয়ে সরকারের আর বিরুধী দলের জনপ্রিয়তা যাচায় কারা হলে ভুল হবে।

(لا اله الا الله محمد رسول الله) একটি গণতান্ত্রিক দেশের ক্ষমতার পালা বদলের মূল ভিত্তি হলো নির্বাচন, নির্বাচন ফলের উপর নির্ভর করে কোন ব্যাক্তি বা কোন দলের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণ যোগ্যতা কতটুকু, আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি প্রসাশনিক শীর্ষ পদটির পালা বদল হয় নির্বাচনের মাধ্যমে, আমাদের সংবিধান ও আইন অনুসারে শুধু মাত্র একটি নির্বাচন সরাসরি রাজনৈতিক ব্যানারে অনুষ্টিত হয়, আর তা হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আর বাকী সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সরাসরি রাজনৈতিক ব্যানারে হতে পারবেনা, লোকাল গর্ভমেন্ট নির্বাচন গুলোর মধ্যে রয়েছে ১) সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ২) পৌরসভা নির্বাচন। ৩) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৪) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর আমাদের দেশে অনেকগুলো নির্বাচন হয়ে গেল, মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পর হয়েছিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, এর পর যথাক্রমে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও বড় বড় শহরগুলোর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।

এই সব নির্বাচন গুলোতে সংবিধান ও আইন অসুযায়ী কোন দল সরাসরি রাজনৈতিক ব্যানারে অংশ গ্রহণ করেনি, তবে প্রায় সব নির্বাচনে বেশীর ভাগ প্রার্থী ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্তিত ও পৃষ্টপোষক। স্থায়নীয় এই সব নির্বাচনে প্রার্থীরা পেয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি সহায়তা ও সমর্তন। এর মাঝে ছিল সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর অনুষ্টিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বেশীর ভাগ আওযামীলীগ সমতির্ত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিল, তবে এই উপজেল পরিষদ নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল কোন কোন এলাকায় চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের কিন্তু ভাইচ চেয়ারম্যান বি,এন,পির, অথচ একই সময় একই এলাকায় দুইটি পদ দুটি দলের সমর্তিত প্রাথীয় জয়ীয় হয়েছিল, এই রকম একটি এলাকার উদাহরণ দেওয়া যাক। এলাকটি হলো চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা।

সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল- মহাজোট প্রার্থী ও বাসদের নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদল। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ার ম্যান নির্বাচিত হয়েছিল - বি,এন,পি ও জামাত সমর্তিত - বদরুস মেহের। উপজেলা নির্বাচনে ভাইচ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিল - আওয়ামীলীগ সমর্তিত - অশোক কুমার চক্রবর্তী। একই এলাকায়, প্রায় একই সময়ের নির্বাচনে জয়ী হয় দুটি প্রধান দরের প্রার্থী। এতে প্রমাণিত হয় স্থানীয় নির্বাচনে ভোটারগন রাজনৈতিক বিবেচনা করেনা, তারা বিবেচনা করেন ১) প্রার্থী তাদের নিজ এলাকার কিনা।

২) প্রার্থীর ব্যাক্তিগত ইমেজ । ৩) প্রার্থীর কর্মদক্ষতা ও লিডারশিপর কতটুকু দক্ষ। ৪) প্রার্থীর পারিবারিক ঐতিহ্য। ৫) প্রার্থীর তার নিজ এলাকায় কতটুকু দাপট আছে। ৬) প্রার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থা।

৭) প্রার্থীর দানশীলতা ক্ষমতা কতটুকু। ৮) প্রার্থীর তার নিজ এলাকার লোকদের সাথে পরিচিতি কতটুকু। ৯) প্রার্থীর তার নিজ এলাকায় তার বিচরণ ও অবস্থান উপস্থিতি কতটুকু। আর জাতীয় নির্বাচনে ভোটারগণ তাদের বিবেচনায় প্রাধান্য দেন ১) র্মাকা ও দল। ২) জাতীয় অর্থনীতি।

৩) আইশৃঙ্কলা। ৪) দ্রব্যমুল্য। ৫) জাতীয় উন্নয়ন। ৬) আইন শৃঙ্কলা। ৭) বিদ্যুত উন্নয়।

ইথ্যাদি। এর পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশীর ভাগ আওয়ামীলীগ সমর্তিত প্রার্থী জয়ীহয়, এরপর চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বি,এন,পি প্রার্থী জয়ীয় হয়, এবাং কুমিল্লাহ ও নারায়ণ গঞ্জের সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্তিত প্রার্থী হেরে যান। আবার সর্বশেষ জাতীয় সংসদের দুটি উপনির্বাচনে ( কাপাশিয়া ও আনোয়ারা ) উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হয়। এখালে একটি বিষয় উল্লেখ যোগ্য হলো চট্টগ্রাম, সিলেট,খুলনা, রাজশাহী,বরিশাল, কুমিল্লা, নারায়ন গজঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং কাপাশিয়া ও আনোয়ারা সংসদ উপনির্বাচন প্রায় একই সময় অনুষ্টিত হয়। এর মাঝে রাজনৈতিক দলের অধীনে অনুষ্টিতব্য সংসদ উপনির্বাচনে আওয়ামীগ জয়ী হয়।

পক্ষান্তরে অরাজনৈতিক ও স্থানীয় নির্বাচনে মাঝে ৭ টি সিটি কর্পোরেশন মধ্যে ৫ টি বি,এন,পি। ১ টিতে বি,এন,পি বিদ্রোহ ও ১টি আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়। আওয়ামীলীগের ও বি,এন,পির জনপ্রিতার যাচাই করার জন্য, এখন আমারা সদ্য অনুষ্টিতব্য রাজনৈতিক ব্যানারের সংসদের বড় নির্বাচনের বড় ফলা ফল বিবেচনা করবো। নাকি স্থানীয় অরাজনৈতিক ছোট নির্বাচনের ছোট ফল বিবেচনা করবো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.