সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বিল সংসদে পাস হয় ২০০১ সালে। পৌর এলাকার ২৫ বর্গকিলোমিটারের সাথে আরো ২০ কিলোমিটার এলাকা অন্তভূক্তকরে মোট ৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
নগরীর পরিধি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে জনসংখ্যা। কিন্ত নগর ভবনের জনবল বাড়েনি। প্রয়োজনের এক-তৃতীয়াংশ জনবল নিয়ে চলছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম।
নগরীর পরিধি বাড়লেও বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। ফলে নাগরিকরা নগর ভবনে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ।
পৌরসভার ২৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়েই সিটি কর্পোরেশনের পথচলা শুরু হয়। ২০০৩ সালে মেয়র নির্বাচনের পর জনবল বৃদ্ধি করে করা হয় ৪৫৭ জন। এখন কাগজ-কলমে ৫৪২ জনের পদ থাকলেও বাস্তবে রয়েছে ৩৩৬ জন।
২০৬টি পদ শূন্য। অথচ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৩শ' কর্মকর্তা-কর্মচারী। স্বল্প পরিসরে গড়ে তোলা পৌরভবনেই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় মেয়রসহ ২৪টি দপ্তরের তিন শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ বছর ভবনের পরিধি বাড়ানোর কাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। নতুন নগর ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ঝুলে আছে বছরের পর বছর।
জনবল সংকট ও আর্থিক সংকটের কারণে বর্ধিত নগরীর ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। যারা কর্মরত আছেন তারাও রুটিন মাফিক কাজ না করে মেয়রের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকেন।
এতে সবাইকে ছুটতে হয় মেয়রের কক্ষে। নাগরিকদের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় মেয়রকেও। জনবল সংকট সম্পর্কে হয় সিটি মেয়র এডভোকেট শওকত হোসেন হিরন জানান, জোট সরকারের আমলে অবৈধভাবে দলীয় নিয়োগ দেয়া ১২১ জনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এখন প্রয়োজনের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ জনবল নিয়ে আমাকে কাজ করতে হচ্ছে। ১২শ' ৭৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ সৃষ্টির জন্য মন্ত্রণালয়কে পত্র দেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আগামী জুন মাসে লোক নিয়োগ করা হতে পারে। তখন আর দুর্ভোগ থাকবে না।
নগর ভবনের সাইনবোর্ড ঝোলানো সাবেক পৌরসভার ঐ ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসেন ঠাসাঠাসি করে।
বিভিন্ন শাখার জন্য নেই কোন নির্দিষ্ট দপ্তর। একই কক্ষের বিভিন্ন টেবিল থেকে পরিচালিত হয় বিভিন্ন শাখার কার্যক্রম। মোট ৩৫টি দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দরকার নতুন একটি নগরভবন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।