সামনে HSC পরীক্ষা। পড়া লেখার অনেক চাপ। তাই লেখালেখির তেমন সময় পাই না। অনেক দিন পর সময় করে একটু লিখলাম।
একটা কৌতুক দিয়ে শুরু করি।
নারী আর পুরুষের সাথে তালা চাবির সম্পর্ক কী ?
যখন একটা চাবি দিয়ে অনেক তালা খোলা যায় তখন সেটা মাস্টার কী। আর যখন একটা তালাকে কয়েকটা চাবি দিয়ে খোলা লাগে তখন সেটা নষ্ট তালা। একটা ছেলে যখন অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে তখন সে বাপের ব্যাটা আর একটা মেয়ে যদি সেই কাজ করে তাহলে সে নষ্টা মেয়ে। তার মানে এই বলছি না যে মেয়েদের সমর্থন করা উচিৎ। মেয়েদের দোষটা ধরা হলে কেন ছেলেদের দোষটাকেও কেন ধরা হয় না ?
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন "জাগো গো ভগিনী" প্রবন্ধে লিখেছিলেন - "আমাদের (মেয়েদের) একটা রোগ আছে দাসত্ব।
" কথা আসলেই ঠিক। নারীরা মনের দিক থেকেই দুর্বল। নিজেদের দুর্বলতাকে সহজেই মেনে নেয়। তাই পুরুষেরাও সুযোগ পায় তাদের উপর কর্তিৃত্ব করার।
একটা মেয়ে যাকে মন দিতে পারে তার জন্য শরীরটা দেয়া কোনো ব্যাপার না।
অথচ আমরা ৯০% পুরুষই তাদের শরীরটাকেই চাই। বিয়ের আগে মেয়ের যোগ্যতা না দেখে আগে দেখা হয় মেয়ে দেখতে সুন্দর কিনা। শরীরের চাহিদা কয়দিন থাকে ? ১ বছর ২ বছর ১০ বছর। তারপর ?........... তারপর আবার আরেকটা শরীর চাই। মেয়েটার ভালবাসার কানাকড়ি মূল্যও নেই সেখানে।
আর এ জন্যই আমাদের দেশে ডিভোর্সের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। যার জন্য বেশি দায়ী পুরুষরাই।
এবার আসা যাক নারীদের দাসত্বের ব্যাপারটায়। আগে নারীরা হিজাব করত। তাদের সম্ভ্রম ছিল সুরক্ষিত।
কিন্তু নিজেকে এমন ভাবেই রাখত যেন বাইরের দুনিয়া তার সাথে যোগাযোগ না করতে পারে। এরপর তারা আস্তে আস্তে আধুনিক হওয়া শুরু করল। আর এখন এতোই আধুনিক যে বাইরের দুনিয়ার কাছে সব কিছু দেখিয়ে বেড়ায়। এই পিছনেও কারন নারীদের দুর্বল মনোভাব। আগে পুরুষরা চাইত নারীরা যেন দুর্বল থাকে।
তারা যেন সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। তাই তাদের বন্দী রাখা হত চারা দেয়ালের মাঝে। আর এখন সেই পুরুষরাই চায় মেয়েরা যেন নিজেদের সৌন্দর্য দেখিয়ে চলাফেরা করুক। তাই নারীরা আজ ঘরের বাইরে নিজেদের আধুনিকতা প্রকাশ করছে।
এখন অনেক বলতে পারেন আমি খালি আজে বাজে বকছি।
মেয়েরা তো এখন অনেক অধিকার সচেতন। তারা এখন আর পুরুষদের দাসত্ব করে না। তাহলে বলুন একটা মেয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ কী ? তার সম্ভ্রম। সেই সম্ভ্রম সে আজ বিক্রি করে দিচ্ছে পুরুষকে খুশি করার জন্য। এটা কি দাসত্ব নয় ?
আজ যারা নারী অধিকার নিয়ে গলাবাজি করেন তাদেরকে বলি - যদি অধিকার অর্জন করতে হয় তবে আগে নিজেদের থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে।
হিজাব করা মানে এই না যে নিজেকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা। আবার আধুনিকতা মানেই অশ্লীল ফ্যাশন করা না। যদি নগ্নতাই ফ্যাশন হয়ে থাকে তাহলে তো পশুরাই সবচেয়ে আধুনিক প্রাণী। কারণ তারা কোনো জামা কাপড় পড়ে না। আধুনিকতা মানে নিজের মন মানসিকতাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।
আর তার সাথে হিজাব দরকার নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। কারণ মিষ্টি খোলা স্থানে রেখে দিলে সেখানে মাছি বসবেই। এটাই প্রকৃতি। তাই যদি মিষ্টি ঢেকে রাখা না হয় তাহলে শুধু শুধু মাছির দোষ দিয়ে লাভ নেই।
নারীরা মনে দিক দিয়ে দুর্বল নিজেদের কারনেই।
আর পুরুষেরা সেই সুযোগটাই নেয়। এ জন্য অনেকে ইসলামকে দোষ দেয়। তাদেরকে বলব ইতিহাস একটু ভাল করে ঘেটে দেখুন। নবীজীর আমলে হযরত আয়েশা (রাঃ) ছিলেন একজন উচ্চ শিক্ষিত নারী এবং পরামর্শ দাতা। ইসলামে প্রথম শহীদের মর্যাদা অর্জন করে একজন নারী।
হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন আরবের একজন বড় ব্যাবসায়ী। তার অধীনে কাজ করত হাজার হাজার কর্মচারী।
তবে আজ কেন সেই নারীদের এমন অবস্থা ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।