আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই..
টেলিফিল্মের কাহিনী: টেলিছবিতে ৫ টি চরিত্র। Trailer এ যেমনটি দেখেছেন ছবির শুরুতে দেখা যাবে নতুন দুইজন লোক শহরে প্রবেশ করছে। তাদের মধ্যে একজন ফারুক, ট্যুরে ফ্রান্সে এসেছেন অন্যজন অভি ইউরোপে স্থায়ী হবার আশায়। প্রথমজন চেষ্ঠা করে প্যারিসে এসে ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে থাকা যায় কিনা আর ছবির নায়ক অভি ইউরোপে অন্য দশজন যেভাবে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় আসেন তেমনিভাবে তার প্রবাস জীবন শুরু করে। অন্যদিকে ফারুক (ফজলুর রহমান বাবু) নাগরিকত্বের আশায় বিদেশী মেয়ের সাথে সর্ম্পকে জড়ানোর চেষ্ঠায় থাকে।
টেলিফিল্মের আরেকটি অংশে দেখা যাবে অভি যার বাসায় আশ্রয় নিবে সেই দম্পতি শামীম-জুলি'র দাম্পত্য জীবনে অভিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সমস্যা এবং জটিলতা। ইউরোপে যেমনি রয়েছে ভাষাগত সমস্যা তেমনি প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত স্থায়ী হওয়ার যুদ্ধে, তারা থাকেন মেসে। সেই মেসে থাকা প্রবাসীদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুঃখ-কষ্ঠ, আনন্দ, ব্যাচেলর জীবন-যাপন তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছি। এখানেও আছে ৫ জনের ৫ টি চরিত্র।
ঘটনাক্রমে প্যারিসে অনেকদিন ধরে বসবাসরত একটি বাংলাদেশী পরিবারের সাথে দেখা হবে অভির।
সেই পরিবারের মেয়ে লায়লা'র কাছে অভি সহযোগীতা চাইবে এবং অভির সমস্যায় সে এগিয়ে আসবে। এখানে কিছুটা নাটকীয়তা রয়েছে একসময় দেখা যাবে লায়লার বান্ধবী অভিকে পছন্দ করছে।
আমি যেহেতু একজন প্রবাসী তাই প্রবাস জীবনের সমস্যা, কষ্ট, মজার বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছি। কাহিনী লেখার ক্ষেত্রে আমি কাউকে অনুসরন করিনি, আমার কাছে যেটা ভাল মনে হয়েছে সেটাই করেছি। মিডিয়ার সাথে ৩ বছর ধরে কাজ করেলেও টেলিফিল্ম হিসাবে এটা আমার প্রথম কাজ।
ইউরোপের মধ্যে এর আগে শুধুমাত্র ইংল্যান্ড ছাড়া (জানা মতে) অন্য কোন দেশে টেলিফিল্ম নির্মান সম্ভব হয়নি।
কাজ শুরুর পর বুঝতে পেরেছি কেন এর আগে কেউ ফ্রান্সে নাটক বা টেলিছবি বানাতে পারেনি! সত্যিকার অর্থে কাজটি এত কঠিন আগে বুঝলে আমি ছবি নির্মানে যেতামনা আর শুটিংএর কাজ শেষ করার পর মনে হচ্ছে এখন পরবর্তী কাজে হাত দেয়া আমার জন্য কঠিন কোন বিষয় নয়।
আমাকে বিশেষভাবে সহযোগীতা করেছে ইটালীর বলোনিয়া ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিষয়ে অধ্যায়নরত বন্ধু কাজী টিপু। আমি কৃতজ্ঞ আমার কাছের কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশী যারা প্যারিসে বসবাস করছেন। টেলিফিল্ম নির্মানের প্রস্তাব করার পর তাঁদের পজিটিভ আচরন আমাকে মুগ্ধ করেছে।
ধন্যবাদ প্যারিসের সাংস্কৃতিক সংগঠন কালচার প্লাস, চ্যানেল আই ইউরোপ, চ্যানেল আই'এর জার্মানী প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হেলাল, ইটালী (ভিসেন্সা) প্রতিনিধি এমদাদুল হক এমদাদ। কৃতজ্ঞতা জানাই যারা মূল্যবান সময় দিয়েছেন সর্বোপরি ইউনিটের সকলে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার ফলে সন্মিলিত প্রচেষ্ঠায় কাজটি সম্ভব হয়েছে।
কিছু মানুষের আচরনে কষ্ট পেয়েছি তারপরও নিজের মধ্যে একটা জিদ ছিল কাজটা শেষ করতে হবেই এবং সেটা করেছি। অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, চেষ্ঠা করেছি একটা শুরু যেন করা যায়। সবার ভাল লাগলেই নিজেকে ধন্য মনে হবে..
টেলিছবিতে যারা অভিনয় করেছেন: তাদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ফজলুর রহমান বাবু আর অন্যরা সবাই বর্তমানে প্যারিসে বসবাসকারী বাংলাদেশে নাটক, থিয়েটারে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছেলে মেয়েরা।
শুটিং স্পট নির্বাচনের ক্ষেত্রে আউটডোরকে প্রাধান্য দিয়েছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নৃতি বিজড়িত স্থান গার্ডেন আলবার্ট কান, প্যারিসের সেইন নদী, আইফেল টাওয়ার, এনভার্স, ভার্সাই প্যালেস, মেট্রো স্টেশন, ট্রেনের ভেতর সহ প্যারিসের রাস্থা-ঘাটে শুটিং হয়েছে। ছবির শেষ পর্যন্ত যেন একটা আকর্ষন থাকে সেভাবেই গল্প তৈরি করেছি।
শুটিং এর কিছু কাজ খুব কঠিন মনে হয়েছিল: বিশেষ করে মেসের ৫ জনের পর্ব, আফ্রিকানদের সাথে মারামারির দৃশ্যধারন, বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান, এনভার্সে স্কেচ এর শুটিং যা ভুলার মতো নয়!
টেলিছবিতে ফজলুর রহমান বাবু তাঁর অসাধারণ অভিনয় দিয়ে ঠিকই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া মাহদি হাসান হিরা 'দীপু নং টু' ছবিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
অন্যরাও ভাল করেছে। প্রথম কাজ হিসাবে আমি সন্তুষ্ঠ।
মূলত: প্যারিসে আমাদের জীবন দুঃখ-কষ্ট-আনন্দের মধ্যে আবদ্ধ। এই শহরে বাঙালীরা কিভাবে বাস করছে তার চিত্র এই ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্ঠা..
চ্যানেল আই ইউরোপ নিউজ:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।