আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেভাবে রসময়গুপ্তদের পেটে লাত্থি মার্লেন হাসনাত আবদুল হাই

aurnabarc.wordpress.com এমন নিরুত্তাপ চটিসাহিত্য উগরে লেখা ফেসবুকেও সম্ভব নয়। কিন্তু সম্ভব করেছে প্যাহলে রোশনি আর জনৈক ক্যাবলাকান্ত হাসনাত আবদুল হাই। উনারা প্রচারের আলোয় থাকার জন্য আর কি করবেন? বেছে বেছে নিউজ করেন কারেন মালহোত্রাকে নিয়ে, খেলার খবরের তুলনায় তাদের ব্যক্তিজীবনের দিকেই আগ্রহ বেশি। উদাহরণ হিসেবে ইকার ক্যাসিয়াসের বান্ধবী আবেদনময়ী সারা কার্বোনেরোকে নিয়ে লিখে ফানা ফানা করে ফেলার কথা বলা যেতে পারে। ওয়েইন রুনির প্রতিনিয়ত শয্যাসঙ্গী বদলের ঘটনা, মারিয়া শারাপোভার বয়ফ্রেন্ড তাকে মৃত ব্যাঙ বলার কাহিনী এগুলো প্যাহলে রোশনি আমাদের মতো পথভ্রষ্ট যুবকদের জানিয়েছে।

আজকে নববর্ষের দিন কেউকি এমন রগড় কাহিনী আশা করেছিলেন ? মেয়েটি নাছোড়বান্দা, তিনি যতই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, সে ঘুরে এসে দাঁড়ায় সামনে, প্রথম সারিতে না হলেও দ্বিতীয় কি তৃতীয় সারিতে। দেখতে সে সুশ্রী নয়, তবে তার চোখে-মুখে তীক্ষ একটা ভাব আছে, নতুন ছুরির মতো। তার চোখের নিচে ক্লান্তির কালো দাগ, মুখে একধরনের রুক্ষতা। আগে সেখানে যে কমনীয়তা ছিল তা মুছে ফেলেছে। ঠোঁট দুটি চকচক করছে, যেন গ্লিসারিন মাখানো।

আসলে সে ঘন ঘন জিভ দিয়ে শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে। লেখার মধ্যে তিনি এমন ভাব এনেছেন যেনো অনেক কষ্টে ঠোট ভেজানোর ইচ্চে তিনি নিবরণ করেছেন। কিন্তু চেহারার সুশ্রীতার কথা তুলে যে কামনা আর ভাবাবেগ মিশ্রিত উক্তি তিনি রগড়ে দিয়েছেন সেটা নি:সন্দেহে বর্ণবাদী আচরণের দোষে দুষ্ট। দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকার নিবন্ধে কখনোই একজন বালিকার সিক্ত ঠোটেঁর বিবরণ পাঠক আশা করেননা। আর যদি এগুলো প্যাহলে রোশনিতেই পাওয়া যায় তাহলে রমনের কাহিনীগুলো কে পড়বে।

হাসনাত আবদুল হাই সাহেবরা যা শুরু করেছেন অদূর ভবিষ্যতে তো দেখি রসময় গুপ্তের দল না খেয়ে মাঠে মারা যাবে। বড় ভাবাবেগ নিয়ে হাসনাত আবদুল হাই লিখেছেন। ... প্রায় ময়লা সবুজ ওড়না লাল কামিজে জড়ানো শরীরের ওপরে একটা স্তন ঢেকে রেখেছে, বুকের অন্য পাশে ওড়না কামিজের কাপড়ের ওপর ছড়িয়ে রাখা, প্রায় সমতল দুই দিকেই, হঠাৎ দেখে ছেলে কি মেয়ে বোঝা যায় না। প্রিয় পাঠক এর থেকেই বোঝা যায়না এদের চোখ আসলে কোথায় ছিলো ? আমার তো মনে হচ্ছে এই সব চুশীলদের মুখে ছিলো তুই রাজাকার আর দৃষ্টিছিল ঐ সেই যায়গা যেখানে দেখে যে হতাশ হয়েছিলো। ধুশ্লা এটা ছেলে নাকি মেয়ে ? মহান চুশীল আরো ফর্মাইয়াছেন.............. মেয়েটা দেখতে সুশ্রী না হলেও বয়সের জন্য একধরনের আকর্ষণ আছে তার শরীরে।

অগোছালো বেশবাস সেই আকর্ষণে একটা বন্যতার ভাব সৃষ্টি করেছে, যেন সে যেখানে খুশি লাফিয়ে পড়তে পারে। দেখেই মনে হয় খুবই বেপরোয়া আর অ্যাগ্রেসিভ। ভাব প্রকাশের অতিরিক্ত আবেগ দেখে তো মনে হচ্ছে তিনি এই দৃশ্য দেখার পর বাসায় ফিরে কি করেছেন সেটা তিনিই জানেন। বজ্জাত পোলাপাইন শুধু এটুকু বলবে। মনে হয় আগামী এক সপ্তাহ হালায় কম্পিউটারের সামনে না বৈসাই অন্তত ডজন খানেক বার বাথরুমে গেছে আর আইছে।

আর শেষে কৃতজ্ঞতাটা জানিয়েছেন উনি ঠিক এভাবে... ঢাকায় মফস্বলের মেয়েরাই বেশি ফ্রি, বেশি দুরন্ত, বেশ সাহসী। ওরা কাউকে পরোয়া করে না। আমার তো কপালে চিন্তার ভাঁজ আরো দীর্ঘায়িত হইলো। ভাইছা ক্যাম্নে কি? কতজনের উপ্রে আপনি এক্সপেরিমেন্ট করি হালাইছেন ?  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.