আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।
মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ বিশ্বাসীদের প্রতি আল্লাহর রহমতের কিছু নমুনা দেখা যায় । আল্লাহ ইচ্ছা করলে তা সব সময় দেখাতে পারেন । কিন্তু সেটা করা হলে এই দুনিয়া যে পরীক্ষার জায়গা তা অনুসারে নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে ।
সাধারণতঃ পরীক্ষার হলে কি হয় ? পরীক্ষক কোন কথা বলেন না এবং কোন সাহায্য করেন না । পরীক্ষার্থীরা নিরবে পরীক্ষা দিয়ে যায় । সবার পরীক্ষা শেষের পরেই হবে ফলাফল প্রকাশ । আর তা হলো শেষ বিচারের দিন । সেদিন সবার কর্মসমূহের প্রতিদান দেওয়া হবে ।
এজন্য বর্তমান দুনিয়ায় আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনভাবে কর্ম করার অবকাশ দিয়ে রেখেছেন । এখানে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী সমানভাবে তার বিশ্বাস অনুসারে কর্ম করছে । খুবই সামান্য কিছু ক্ষেত্রে যারা আল্লাহর খুবই প্রিয় বান্দা আল্লাহ তাদের দিকে রহমতের হাত বাড়িয়ে দেন । যেমন নবী-রাসূল, সাহাবা এবং আল্লাহর ওলীগণের প্রতি । আবার চরম দুষ্ট লোকের শাস্তির নমুনাও দুনিয়াতে শুরু হয়ে যায় - এমন নজিরও আছে ।
তবে আল্লাহ অবশ্যই একটা সীমা মেনে চলেন কেননা তিনি নিজেই বলেছেন এই দুনিয়ার জীবন হলো পরীক্ষা স্হল ।
এরকম আরেকটি ঘটনা পাবেন অগ্রপথিক ভাইয়ের লেখায় । সাহাবীদের ঘটনা । উনার এ লেখার আগেই যদিও আমি একটি বইয়ে উক্ত ঘটনাটি পড়ে ছিলাম । Click This Link
" অবিশ্বাসীরা দাবী করে যে কখনও পুনরুত্থিত হবে না ।
বলুন, অবশ্যই হবে । আমার পালন কর্তার কসম , তোমরা নিশ্চয়ই পুনরুত্থিত হবে । অতপর তোমাদের অবহিত করা হবে যা তোমরা করতে । এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ ।
অতএব তোমরা আল্লাহ , তার রাসূল ও সেই আলোকে (কুরআন) বিশ্বাস কর, যা আমরা অবতীর্ণ করেছি ।
আর তোমরা যা করছ সে সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ণ ওয়াকিবহাল ।
আর সেইদিন - অর্থাৎ সমাবেশের দিন -তিনি তোমাদের সমবেত করবেন - এটিই মোহ অপসারণের দিন । যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করে এবং সৎ কর্ম সম্পাদন করে , আল্লাহ তার পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন । যার তলদেশে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হবে। তারা তথায় চিরকাল থাকবে ।
আর এটাই মহাসাফল্য । আর যারা কাফির , আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে , তারাই জাহান্নামের অধিবাসী । তারা তথায় অনন্তকাল থাকবে । কতইনা মন্দ প্রর্তাবর্তনস্হল এটা । '
আল-কুরআন (৬৪- ৭-১০) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।