বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ সুফিবাদ যদি হয় বাংলাদেশি মানবতাবাদ ও মূল্যবোধের অন্যতম ভিত্তি, যদি সুফিবাদ হয় এক সুশীতল ছায়ার নাম, তাহলে আজ এই মুহূর্তে সেই সুশীতল ছায়ার আশ্রয় সবচে বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশের পূর্ব-সীমান্তের ওপারের আসন্ন মৃত্যুর প্রহর গোনা রোহিঙ্গাদের । রোহিঙ্গা বলতে বিশ্ববাসী আজ বার্মার মতন একটি ফ্যাসিস্ট দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘু জনগোষ্টিকে বোঝে। আর সুফিবাদ বলতে (অন্য অনেক ধারণার মধ্যে) বোঝায়- এক সুশীতল ছায়া, তথা মানবতাবাদ।
বাংলাদেশে প্রায় সাত’শ বছর ধরে সুফিবাদের চর্চা হচ্ছে। বাঙালি মুসলমান সমাজে সুফিবাদ জনপ্রিয় এবং গ্রহনীয়। আমরা বাংলাদেশে যে ইসলামি মূল্যবোধের কথা বলি, যে ইসলামি মূল্যবোধ চর্চার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়, সেই ইসলামি মূল্যবোধের অনেকটাই সুফিবাদী মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ সুদীর্ঘকাল ধরেই সুফিসাধকদের সাধনার পবিত্র সাধনপীঠ; বাংলাদেশ কে সুদীর্ঘকাল ধরেই সুফিবাদী ভাবধারায় অষ্যুষিত পবিত্র এক জমিন মনে করা হয়। সুফিবাদী দর্শনে আল্লার সন্ধান করা এবং মানবতাবাদের গুরুত্ব সমান বলেই আর বাংলাদেশের মানুষ সুফিপ্রভাবিত বলেই- মানবিক।
সুফিদের খোদায়ী এবং মানবিক সাধনার কারণে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে পূণ্যভূমি, যদিও সব সময় সেই মানবিক আদর্শ ঠিক রাষ্ট্রীয় আর্দশের সঙ্গে খাপ খায় না, কেননা, সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের মানবিক হওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্য নীতিবান সুফিরাও তাঁদের মানবিক আর্দশের ক্ষেত্রে অনমনীয়। আপোষহীন। এক্ষেত্রে দিল্লির বাদশাদের অন্যয্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁদের শক্ত অবস্থান আমরা স্মরণ করতে পারি। সেই সূত্রেই বলব, বাংলাদেশের রাষ্ট্রের কর্নধার যেহেতু একজন মানুষ, এবং সেই মানুষ যদি সুফিপ্রভাবিত হয়ে থাকেন ... তাহলে আমার বিশ্বাস মৃত্যু পাথযাত্রী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অথই সমুদ্রে নিরাপদ বাতিস্তম্ভ দেখার আশা করতেই পারে।
আমি একটু আগেই বললাম যে সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের মানবিক হওয়ার সুযোগ নেই। বার্মা ও শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্র দুটি গৌতম বুদ্ধের অহিংস আর্দশে স্থাপিত। দয়াশীলতার জন্য গৌতম বুদ্ধ বিশ্বখ্যাত হলেও প্রকৃত বাস্তবতা এই যে বৌদ্ধ-শ্রীলঙ্কা তামিলদের অত্যন্ত নির্মমভাবে নির্মূল করেছে, বৌদ্ধ-বার্মা এখন নির্মূল করতে চলেছে ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাদের। এই অমানবিক কর্মকান্ড সুফি-বাংলাদেশ কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারে না। কেননা, মহামতি বুদ্ধের আর্দশের অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কাকে কখনোই ‘পূণ্যভূমি শ্রীলঙ্কা’ বা বার্মাকে ‘পূণ্যভূমি বার্মা’ বলা হয় না, কেবল বাংলাদেশকেই 'পূণ্যভূমি' বলা হয় ... যেহেতু বাংলাদেশের অনুসরনীয় মানবিক আদর্শটি সুফিপ্রভাবিত।
কাজেই একটু আগেই যা বললাম: (১) বাংলাদেশ সূফিপ্রভাবিত বলেই- আর, (২) বাংলাদেশের পূর্বপ্রান্তের প্রতিবেশি একটি ফ্যাসিস্ট দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্টির গোষ্টীগত উৎখাত আসন্ন বলেই মৃত্যু পাথযাত্রী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অথই সমুদ্রে নিরাপদ বাতিস্তম্ভ দেখার আশা করতেই পারে।
কিন্তু, বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় যে সুফিবাদ সেই সুফিবাদের মূল আদর্র্শ কি?
সম্প্রতি, একটি বইয়ে সুফিবাদ সর্ম্পকে কিছু তথ্য পেলাম, আমাকে যা মানসিকভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, আমি বুঝতে পারলাম, কেন সুফিবাদ বাংলাদেশি মানবতাবাদ ও পূণ্যের মূলভিত্তি। সে যাই হোক। বইয়ের নাম: ‘বাউল বৈষ্ণব সুফি। ’ লেখক: শরদিন্দু ভট্টাচার্য।
ইনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষক। শরদিন্দু ভট্টাচার্য সুলেখক, অনেক কথার ভিড়ে মূল বিষয় তুলে ধরতে পারদর্শী। প্রাজ্ঞ এই লেখকের কল্যাণে সুফিবাদ আমার কিছু ধারণা স্বচ্ছ হল।
একজন সুফিসাধকদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হল পরম করুনাময় আল্লাহতে বিলীন হয়ে যাওয়া। সে উদ্দেশ্য সফল করার জন্য সুফিসাধকদের বেশ কয়েকটি ‘মোকাম’ পার হতে হয়।
সুফিবাদে ‘মোকাম’ শব্দটির অর্থ হল: ‘স্তর’। সুফিসাধকদের বেশ কয়েকটি ‘মোকাম’ বা ‘স্তর’ পেরিয়ে আল্লহর সঙ্গে একাকার হতে হয়। সেরকমই ষোলটি মোকাম হচ্ছে:
১/ তওবা: তওবা করে একজন মানুষ জীবনভর আল্লাহর ইবাদত করার শপথ নেন। তওবা করে তিনি সংসার ত্যাগ করেন; এবং সজ্ঞানে সুফিজীবন বেছে নেন।
২/ জিহাদ: সুফিরা জিহাদ করেন অন্তরের অশুভ বাসনার বিরুদ্ধে।
৩/ ওয়ারা: জীবিকার জন্য কোনও পেশা গ্রহন না করা।
৪/ জোহদ: সুখ ভোগ থেকে বিরত থাক।
৫/ জো’ওরক আল-শাইওয়া: অনাহারে থাকার সময় ধৈর্য ধারণ করা।
৬/ একিন: দৃঢ়বিশ্বাস।
৭/ সিদক: কাজে ও চিন্তায় সমন্বয়, সত্যবাদিতা।
৮/ জিকর : আল্লাহর স্মরণ।
৯/ ফকর: স্বেচ্ছায় দারিদ্রবরণ।
১০/ তাসাওফ: পবিত্রতা রক্ষা করা।
১১/ আদব: সবার সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করা।
১২/ সফর: ভ্রমন।
১৩/ শওক: আল্লাহর সান্নিধ্যের জন্য ব্যাকুল থাকা।
১৪/ মারিফৎ: মহাজ্ঞান লাভের চেষ্টা করা।
১৫/ ইরাদা: কর্মফল ত্যাগ করা। কারণ, সব ঘটছে আল্লাহর ইচ্ছায়।
১৬ মহৎ মৃত্যু: এর মানে মৃত্যুর জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকা।
এই হল সুফিবাদের ষোলটি মোকাম বা স্তর। যা সুফিবাদের মূলভিত্তি এবং যা পুণ্যভূমি বাংলাদেশের মানবতাবাদের মূলভিত্তি। হ্যাঁ, বাংলাদেশ যথার্থই পূণ্যভূমি । যে বাংলাদেশ তার ইতিহাসে কখনও অপর রাজ্য অন্যায় ভাবে আক্রমন করেনি। যে বাংলাদেশে বিগত শতকে নানা জাতের বর্ণের মানুষরে জন্য হয়ে উঠেছে পরম আশ্রয়স্থল ; যে বাংলাদেশের কবি সাধকগণ গানে-গানে প্রচার করেন কল্যাণময়ী মরমী ভাবধারা।
সাতশ বছর ধরে সুফিবাদের লীলাভূমি বাংলাদেশ। যে পবিত্র সাধনার কারণে বাংলাদেশ আজ পূণ্যভূমি। সাত’শ বছর ধরে একটি ক্ষুদ্র মরমী গোষ্ঠী সুফিবাদের সাধনা করে চলেছেন। যারা লোভশূন্য, নিস্কলঙ্ক এবং পূণ্যবান! এই সৎ মানুষদের জীবনী ও বাণী সংবেদনশীল বাঙালির হৃদয় স্পর্শ করেছে বলেই এই দেশের মানুষ সুফিপ্রভাবিত ...
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই কমবেশি সুফিপ্রভাবিত তবে প্রত্যেকেই সুফি নয়। তার কারণ আছে।
প্রধান কারণ এই যে - সুফির মোকাম পেরুনো বড়ই কঠিন। কেবলমাত্র প্রচন্ড আত্মিক শক্তির অধিকারী মানুষের পক্ষেই সে মোকাম অতিক্রম করা সম্ভব। তারপরও বাঙালি মুসলামান সংসারধর্ম পালন করে, প্রতি মুহূর্তে সংসারে নানা প্রতিকূলতা সহ্য করে শরিয়ত পালনের পাশাপাশি ‘সুফির মোকাম’ অতিক্রম করার চেষ্টা করে, এখানেই বাঙালি মুসলমানের মহত্ম। বাঙালি মুসলমান শরিয়ত পালন করেও ‘বেসরা’ (শরিয়তের প্রতি যাদের আগ্রহ কম) সুফিদের গভীর শ্রদ্ধা করে-এখানেই বাঙালি মুসলমানের মহত্ম।
স্বয়ং বাংলাদেশি রাষ্ট্রের কর্নধার যিনি, তিনি বাঙালি মুসলমান বলেই, তিনিও সুফিদের গভীর শ্রদ্ধা করেন, তিনিও ব্যাক্তিগত ধর্মীয় জীবনে ‘সুফির মোকাম’ অতিক্রম করার চেষ্টা করে মনের শুদ্ধতা অর্জনের চেষ্টা করেন ।
কাজেই, সীমান্তের ওপারে যখন ৮ লক্ষ কোণঠাসা মানুষ-রোহিঙ্গাদের অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপে করে সমূলে বিনাশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, যখন ৮ লক্ষ মানুষ গোষ্ঠীগতভাবে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে ... তখন পূণ্যভূমি বাংলাদেশ ৮ লক্ষ 'বিদেশি অভিবাসী' গ্রহন করার কঠিন সিদ্ধান্তটি নেওয়ার সময় একবার সুফির মোকামের কথা উপলব্দি করবে, একবার তার মরমী হৃদয়ের দিকে ফিরে তাকাবে, এমন তো আশা করাই যায় । সিদ্ধান্তটি অবাস্তব এবং অসম্ভব হলেও বাংলাদেশ তার মানবিক মূল্যবোধ উর্ধ্বে তুলে রাখবে এরকম আশা তো করাই যায়।
রোহিঙ্গাদের ‘মানুষ’ মনে করলে, আমি আবারও বলছি, রোহিঙ্গাদের ‘মানুষ’ মনে করলে পূণ্যভূমি বাংলাদেশ ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাদের তার মায়াময় পলিমাটির বুকে আশ্রয় দিতে পারে। তবে মরমী গানের দেশ বাংলাদেশ, হযরত শাহজালালের (রঃ) বাংলাদেশ তার সুফিবাদী আর্দশ থেকে বিচ্যূত হলে ওই মানবিক সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত কঠিন ও অসম্ভব মনে হতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে: রোহিঙ্গাদের জাতিসত্ত্বার মধ্যেও একজন কবি শামসুর রাহমান কিংবা একজন হুমায়ূন আহমেদ কিংবা একজন ফজলে হাসান আবেদ কিংবা একজন ড. মুহম্মদ ইউনূসের বীজ রয়েছে, একমাত্র ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে পৃষ্ঠ হয়ে এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রেে বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে সেই বীজ কখনেই অঙ্কুরিত হতে পারেনি ।
সুফিধারায় উজ্জী্বিত বাংলাদেশ ওদের সে সুযোগ দিলে রোহিঙ্গা জাতিসত্ত্বার চাপা- পড়া মলিন বীজ থেকে ঠিকই রঙিন ফুলটি ফুটবে এবং এমন মানবিক সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের সরকার যদি ১৪ কোটি মানুষের দায়দায়িত্ব নিতে পারে এবং সেভাবে সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহন করে তাহলে ১৪ কোটি মানুষের পাশাপাশি আরও ৮ লক্ষ মানুষকেও সেই প্রক্রিয়ায় অর্ন্তভূক্ত করা সম্ভব। তবে তার আগে নীতি নির্ধারকদের বাংলাদেশের ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, ‘সুফির মোকাম’ উপলব্দি করতে হবে এবং ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাকে কেবল অপকর্মকারী, জালিয়াত কিংবা জন্মগতভাবে স্বন্ত্রাসী নয় ‘মানুষ’ মনে করতে হবে। বাংলাদেশ তো দুঃখী মানুষেরই দেশ, এ দেশে লক্ষকোটি দুঃখী মানুষ অতি কষ্টে বেঁচে আছে। লক্ষকোটি দুঃখী মানুষের পাশে আরও কয়েক লক্ষ দুঃখী মানুষের বেঁচে থাকবে।
তাছাড়া বাংলাদেশে মানুষ ১৪ কোটি না হয়ে ৬/৭ কোটি হলে হয়তো বলা যেত: ‘তুমি সুখে থাক বাংলাদেশ....তোমার উটকো জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নেওয়ার দরকার নেই। ’ তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই
সুফিপ্রভাবিত বলেই, এবং তারা সংসার জীবন পালনের পাশাপাশি অন্তত সুফির মোকাম অতিক্রম করার দুঃসাধ্য চেষ্টা করে বলেই ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাদের বাঙালি মায়ের মায়াময় বুকে আশ্রয় দেওয়ার মত উদারতা দেখানো এমন কঠিন কিছু নয়।
বলবেন যে, রোহিঙ্গাদের অত্যাচারে কক্সবাজারের মানুষ অতিষ্ট। তারা নানা অপকর্ম করে বেড়ায়?
আমি বলব, বাংলাদেশ মানেই কি একমাত্র কক্সবাজার বুঝতে হবে ? ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ে দুটি রোহিঙ্গ পরিবারের আশ্রয় জুটবে না। কিংবা সিলেটের সরকারি খাস জমিতে?
রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে অপকর্ম করে বেড়ায়?
আমি বলব, অথই সাগরে নৌকায় যে রোহিঙ্গ শিশুটি পৃথিবীতে এল - কে তাকে আশ্রয় দিল?
আমি বলব, সুফিপ্রভাবিত মাঝি।
রংপুরের খড়ায় পোড়া ফসলের মাঠের বোরো ধানের যথাযথ মূল্য না পাওয়া একজন সুফিপ্রভাবিত কৃষককে জিজ্ঞেস করুন-আপনার বাড়ির পিছনে ডোবার পাশে সীমান্তে গুলি খাওয়া একজন রোহিঙ্গার কবরের জন্য সাড়ে তিনফুট জমিন ছাড়বেন কিনা।
আমার বিশ্বাস ... সুফি- কৃষকটি বলবেন, আমি ছাড়ব।
কেন ছাড়বেন? এতে তো আপনা লাস।
আমার বিশ্বাস, সুফি-কৃষকটি বলবেন, জমিন আল্লাহর। আমরা এখানে কে?
শেষ করছি লালনের প্রসঙ্গ টেনে।
লালনের একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করার কথা ভাবা হচ্ছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। এটি করা হচ্ছে লালনের গানের গভীর মরমী বাণীর জন্য নয়, কেননা, গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর কারণে ইউরোপ বিগত ২৫০০ বছর ধরে উচ্চস্তরের মরমীবাদ সম্বন্ধে পরিচিত- যখন বাঙালি জাতিসত্ত্বা ঠিক সেভাবে গড়েই ওঠেনি । (উল্লেখ, ইসলামি বিশ্বে প্লেটো অত্যন্ত সম্মানীয় এবং ইসলামি বিশ্বে প্লেটো ‘আফলাতুন’ নামে পরিচিত) ...সে যা হোক। বলছিলাম যে প্যারিসে লালনের যে একটি ভাস্কর্য নির্মিত হতে যাচ্ছে সেটি লালনের গানের মরমী বাণীর জন্য নয়, লালন মানবিক ছিলেন বলেই প্লেটোর ভাবদর্শনের উত্তরসূরীরা প্যারিসে লালনের ভাস্কর্য নির্মন করার কথা ভাবছেন ।
উল্লেখ্য, লালন ছিলেন স্পস্টতই সুফিপ্রভাবিত ...
উৎসর্গ: প্রজন্ম ৮৬
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।