অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ মিতু আক্তারের (২৫) অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই সংবাদকর্মী মাসুদ রানা। রানা একটি জাতীয় দৈনিকে কাজ করেন।
রানা জানান, মিতু এখন কিছুটা কথা বলতে পারছেন। তবে তাঁর অস্ত্রোপচার বা এ-সংক্রান্ত বিষয়ে চিকিত্সকেরা এখনো কিছু জানাননি।
গত শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধান্দি গ্রামে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মিতু আক্তার।
অগ্নিদগ্ধ এই গৃহবধূকে গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের প্রায় পুরোটা পুড়ে গেছে বলে চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন। নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন জানান, মিতুর বাঁচার আশা খুব কম। একজন মানুষের শরীরের ৫০ ভাগের বেশি পুড়লে তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা কমে আসে।
মিতুর শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
মিতুর পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, গতকাল দুপুরে তিনি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মিতু ধান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তাঁর স্বামী মিজানুর রহমান কাজ করেন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায়। তাঁর অনুপস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটে।
স্বজনদের ভাষ্য, মিতুর শাশুড়ি গতকাল সকালে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর তাঁরা সটকে পড়েন।
মিতুর ভাই মাসুদ রানার দাবি, ‘বিয়ের পর থেকে মিতুর শ্বশুর আলতাফ হাওলাদার ও শাশুড়ি হালিমা বেগম এটা-ওটা চাইতেন। তাঁরা যখন যা দাবি করেছেন, সাধ্যমতো আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর পরও তাঁরা মিতুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
আমরা বেশ কয়েকবার এ নিয়ে মিতুর শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে বসেছি। কিন্তু নির্যাতন থামেনি। ’
মিতুর স্বামী মিজানুর রহমান স্ত্রীর ওপর বাবা-মায়ের নির্যাতন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যে মিতুর ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে, তবে তা খুব বেশি নয়।
মিতুর চার বছর বয়সী এক ছেলে ও আট মাস বয়সী মেয়ে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।