হিংস্র কিছু শকুন আজ খামছে ধরেছে মানবতার পতাকা...জেগে উঠার এইতো সময়...
সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। যদিও গরমের তাতে কমতি ছিলোনা। অফিসের কাজে প্রায় বিকাল পর্যন্তই বাইরে ছিলাম। মাঝে মাঝেই দমকা বাতাস। ধূলার উড়াউড়ি সেই বাতাসে।
মন্দ লাগছিলো না। খুব চাচ্ছিলাম একটা বৃস্টি হোক। যদিও ভিজেও যাই কেউ কিছু বলবেনা হয়তো। নিয়তির কি পরিহাস। অফিসে এসে ঢুকলাম আর বৃস্টি শুরু হলো।
বৃস্টি আমার কাছে সবসময়ই খুব আকাঙ্ক্ষিত আর খুব স্পেশাল একটা কিছু। খুবই আনন্দের আবার খুবই কষ্টের কিছু অনুভূতির জন্ম দেয় মনের গহীন কোণে। হঠাত করেই মনে আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে দুঃখী এবং একই সাথে সবচেয়ে সুখী মানুষের একজন। মনটা মাঝে মধ্যেই ফ্ল্যাশ ব্যাকে চলে যায়।
তুমি ছিলে সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে।
একসাথে হাঁটা ঝুম বৃস্টির মাঝে হাত ধরে। জানিনা তোমারও মনে পড়ছে কিনা।
হঠাত করেই একদিন চলে গেলো সে। বৃস্টি তখনো পড়তো। একাই হাঁটতাম লেকের পার ঘেঁষে।
আকাশের কান্না আমার কান্নার সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যেতো। সেই বৃস্টি আমার ভীষণ ভালো লাগে। কষ্ট লুকানোর জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু আর ছিলোনা আমার জন্য।
সময় বদলেছে। কষ্ট লুকাতে হয়না এখন আর।
কষ্টই পাইনা। মনের কোমল অংশগুলো কঠিন পাথরের মত হয়ে গেছে। সুখেই আছি সবাই বলে।
বৃস্টির ফিলিংসটা আগের মতই আছে আমার কাছে। খুব ভিজতে মন চায়।
বৃস্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিজতে ইচ্ছে করে খুব।
হঠাত করেই টের পেলাম হারিয়ে ফেলেছি সে স্বাধীনতাটা। জীবনের কিছু অংশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করতে গিয়ে অনেক বড় কিছুকে করে ফেলেছি শৃঙ্খল বন্দী।
যাই হোক। অফিসের এসির ভেতরে ঢুকেও বাইরে বৃস্টি দেখে মনটা মানলো না।
খুব ভিজতে মন চাইলো। চুপি চুপি সবার চোখ এড়িয়ে গেলাম বারান্দায়। বুক ভরে শ্বাস নিলাম কিছুক্ষণ। বৃস্টির ছিটা অনুভব করলাম । হঠাত করেই দেখি বাতাসের গতিপথ বদলে গেছে।
বৃস্টির একটা ফোঁটাও আর আমার গায়ে এসে পড়ছে না। নির্মম পরিহাস প্রকৃতির।
হায়রে বৃষ্টি।
কর্পোরেট বৃষ্টি !!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।