http://www.choturmatrik.com/blogger/আরণ্যক
অনেক গুলো বিক্ষিপ্ত চিন্তা অর্থনৈতিক মন্দা আর সুয়াইন ফ্লুর তোরে ভেসে একজায়গায় থিতু হলো।
কর্পোরেশনের জন্ম দেয়া খুব সহজ । একটা নাম রেজিষ্টার করুন।
শেয়ার বন্টন করুন । আইডিয়া খুজে বের করুন।
ইনভেষ্টর যোগান । লোন নিন । বিনিয়োগ করুন । শেয়ার মার্কেটে শেয়ার ছাড়ুন ।
তারপর ?
লাভ ।
লাভ অবশ্যই করতেই হবে । শেয়ারধারীরা মিঠা কথায় ভুলে না । এমপ্লয়ীরা মাগনা কাজ করে না । এর জন্য মুনাফা করতে হবে । এর মধ্যে কোন ইফ এলস বাটস নেই।
মুনাফা করাই শেষ কথা ।
মোটামুটি এইভাবে চিন্তা করুন - আমাদের সবার লোভ একজায়গায় কেন্দ্রীভুত হলে কি হবে ; একজনের লোভ সামাল দেয়া যায় কিন্তু কর্পোরেট লোভ কোনভাবেই না ।
এখন কথা হলো আমি কি কর্পোরেশনের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে বসেছি ? না ।
কর্পোরেট জীবনের সাথে এখন দুনিয়ার মানুষই জড়িত।
আদিম কালের মতো কৃষকের ধানের বিনিময়ে কামারে কোদাল দেয়ার দিন নাই ।
কম খরচে সেবা ,খাদ্য , পোশাক
জীবনধারনের হেন কিছু জিনিষ নাই যা কর্পোরেশন তৈরী করে না ।
ঝামেলাটা তখনই লাগে যখন জরুরি কিছু জিনিষ নিয়ে কর্পোরেটদের অন্ধের মতো লাভ করার প্রতিযোগিতা শুরু হয় । চিকিৎসা ক্ষেত্র / ওষুধ শিল্প এমন একটা খাত । যেহেতু লাভ করতে হবে গবেষনা করো ।
কিন্তু কোন জিনিষে গবেষনা ? যাতে কম্পানীর লাভ হয়।
বিজ্ঞানীদের আমরা অনেক শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তারা যখন বেশ্যার মতো পয়সার বিনিময়ে জেনে, না বিক্রি হয়ে যান তখন মানুষের ওপরই ঘেন্না লাগে। টেষ্ট করো এমন সব প্রানঘাতী ওষুধ যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ত উপকারের চে হাজার গুন খারাপ।
সরকার , মিডিয়া ক্যাও ম্যাও করলে পয়সা ছিটাও।
সাধারন পাবলিক হলো গিনিপিগ।
তারা গিনিপিগ আর চলন্ত মানিব্যাগ ও বটে ।
কম্পানীর শুধুই পয়সাটা চাই।
আর অর্থনৈতিক মন্দা তো কর্পোরেট ছাগুলে লোভের ক্লাসিক উদাহরন । ব্যাংক গুলো লাভের আশায় লোন দেয়া থেকে শুরু করে পরস্পরের কাছে লোন বিক্রি (!) শুরু করেছিলো । পরিনাম নিজেদের অস্তিত্বের সংকট , সারা দুনিয়ায় অর্থনৈতিক মন্দা।
শতবর্ষী কিছু ব্যাংক এখন স্রেফ ইতিহাস ।
[ http://vimeo.com/3261363 ] সুত্র : সাদাত]
সুয়াইন ফ্লু , বার্ড ফ্লু যেসব খামার থেকে ছড়িয়েছে এদের মালিক কর্পোরেশন গুলি তাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব এড়াতে পারে না।
কর্পোরেশনের নৈতিকতা বলে আসলেই কিছু আছে নাকি।
সব তো কম্পানীর স্বার্থে। বিজ্ঞাপনে দেখায় ঠিকই গ্রাহকদের জন্য তাদের জানপ্রাণ খারিজ ।
কিন্তু আসলে সেই জান প্রাণকে তারা পিপড়ার চে দামী কিছু মনে করে না।
[ http://www.somewhereinblog.net/blog/valobashablog/28947637] সুত্র : রাগ ইমন]
কর্পোরেট পরিবেশ আমি বা আপনি বা একজন লেখক/কবি কাজ করতে পারেন । মানুষের সম্মিলিত লোভ আর চাহিদার কাছে বিবেক সব সময় বলি হয়ে যায়। কোম্পানি গৎ বাধা বান্ডিল বান্ডিল কাগজে নিচে চাপা পরে ক্ষীন কন্ঠস্বর।
আর খুপড়িতে কপোট্রন বসানো বস যদি টপ পজিশনে থাকেন তাহলে তো কথাই নেই ।
কর্পোরেট মিডিয়া খবর পয়দা করে। কর্পোরেট কমিউনিকেশন/ নেটওয়ার্কিং যা দরকার নাই তাও মানুষকে গিলাচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হলো আমরা কতো দিন এই যন্ত্রদানবের হাতে নিজেদের ভবিষৎ ছেড়ে দিবো ? কি করলে এই যন্ত্রের ভিতরে মানুষের বিবেক আর হৃদপিন্ডটা স্থাপন করতে পারবো ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।