আমার বউ ও আমি একদিন রিক্সা করে ফারামগেট থেকে বাংলামুটারের দিকে যাচ্ছি...স্বভাবতই আমরা নানান বিষয় নিয়ে কথা বলছি। প্রচুর শব্দ দূষণের জন্য একটু জোরে জোরেই কথা গুলো বলতে হচ্ছিল কারন রাস্তায় আমাদের সামনে ও পেছনে অনেক যানবাহন ছিল যার বেশির ভাগই এসি গাড়ী। আমাদের অসুবিধার বিষয়টা তাদের কখনওই দৃষ্টিগোচর হয়না কখনওই, তাই যাচ্ছেতাই ভাবে যত্রতত্র হর্ণ বাজিয়ে থাকেন। যাতে আমাদের মত রিক্সার যাত্রী ও চালকের অসুবিধার অন্ত থাকেনা।
এই প্রেক্ষিতে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল।
একদিন রাত্রি বেলা আমাদের সাথে দেখা করার জন্য বোন-জামাই-সন্তান সহ ক্যাম্পাসে এসে অনেকক্ষন আড্ডা দিয়ে ফেরার সময় গাড়িতে উঠতে যেতেই বাদ সাধলো তিন বছরের কন্যাসন্তান যে কিনা আমাদের দুজনেরই অস্বাভাবিক মাত্রায় নেওটা। কান্নাকাটি শুরু করে দিল, তার ইচ্ছা আমরাও যেন তার সাথেই যাই। কিন্তু তাকে জোর পুর্বক গাড়িতে তোলে গ্লাস তুলে দিয়ে এসি ছাড়ার কারনে নিশ্ছিদ্র মাধ্যমের ভেতর দিয়ে তার কান্না আমাদের কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছেনা। দেখে মনে হল মেয়েটিকে মাইমদের মত বা পার্থ প্রতিম বর্মনের মতো কান্নার অভিনয় করে চলেছে। তবু আমাদের খুব কষ্ট হলো আমরা তাকে আরও কিছুক্ষন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম।
রাস্তা দিয়ে চলার সময় নিজেদেরকে আমাদের ছোট্ট ভাগ্নির মতই মনে হয়। তার জন্য আমরা দুজনে আর কিছু নাহোক সামান্য সময় সান্তনা দিয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তায় চলার সময় গাড়ীগুলোর মালিক-ড্রাইভারের মনে আমাদের জন্য, আমজনতার ভোগান্তির জন্য কোন দায়বদ্ধতা নেই।
আমরা কথা বলতে বলতে গন্তব্যের কাছাকাছি এসেছি এমন সময় খুব সিরিয়াসলি জিজ্ঞেস করলো তোমায় একটা প্রশ্ন করি। আমি বললাম কি বলবা বল।
আচ্ছা আমাদের দেশের জাতীয় পদার্থ কী?
আমি কিছুক্ষন স্তব্ধ রইলাম। আবারো জিজ্ঞেস করলাম, কি বললে তুমি?
আমাদের দেশের জাতীয় পদার্থ কী?
আমি বললাম জাতীয় পদার্থ এটা আবার কি ধরনের প্রশ্ন। জাতীয় ফল, মাছ, ফুল, পশু, বৃক্ষ, কবি, কত কিছুইতো আছে এধরনের কিছু আছে বলেতো আমার মনে হয়না। এটার উত্তর সে আমাকে বলে দিয়েছে। কিন্তু............
আপনারা কেউ কি বলতে পারেন আমাদের দেশের জাতীয় পদার্থ কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।