ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না আমাদের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডাইনিং হলে কোথাও হয়ত মাসিক ফি নেয়, তুমি খাও বা না খাও; আবার কোথাও হয়ত আগের দিন রাতে কুপন কাটতে হয় কিন্তু চীনে পুরোই ব্যতিক্রম, স্টুডেন্টদের ডরমে কোন ডাইনিং হলই নাই !!! আমাদের যেমন হলে হলে ডাইনিং হল, এদের তা নেই. খেতে চাইলে কষ্ট করে ডরম থেকে বাইরে বের হতে হবে. পুরো ক্যাম্পাসে সেন্ট্রালি এক/একাধিক ডাইনিং হল থাকে. এটাকে ক্যান্টিনও বলা যেতে পারে কারন খাবার কেনার সময় টাকা পে করতে হয়. আমাদের দেশের মত মাসিক বা আগের দিন কূপন কেনার কোন সিস্টেম নাই. রেস্টুরেন্টের মত অনেক ডিশ আছে ...তোমার যেটা খাইতে মন চায় সেটা খাও. সমস্যা হয় কিছু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে ওগুলো ইনস্ট্যান্ট রান্না করে বলে ক্ষুধা পেটে নিয়েও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যেমন- ফ্রাইড রাইস, নুডলস্. ছবি এখানে আমাদের দেশে দেখা যায়, চমকে দিতে প্রেমিকা রুম থেকে রান্না করে প্রাণপ্রিয়'র লাগি তার ডরমের গেস্টরুমে নিয়ে আসে অথচ ওদিকে ডাইনিংয়ে খাবারের টাকা ঠিকই গুণতে হয়. কপোত-কপোতীরা/ বন্ধু বান্ধবরা সবাই মিলে নীলক্ষেতে বা স্টারে একটু ভাল মন্দ খাওয়ার জন্য/ খাওয়ার ফাঁকে ডেটিংয়ের জন্য গিয়ে ওখানেও পয়সা গুণে আবার ডাইনিংয়ে খাবারের টাকা গুণে...... চৈনিকদের এই সমস্যা নাই, প্রতিদিন ৩ বেলা দুজনে পাশাপাশি বসে খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে ডেটিং করতারে; এক্সট্রা কোন পয়সা লস হয় না. টাকা পে করার জন্য আছে ATM card এর মত সিস্টেম [ছবির লাল চিহ্নিত মেশিনে card টাচ করাতে হয়] . অবশ্য কোথাও কোথাও নগদ ক্যাশ দেওয়ার ব্যবস্হাও আছে যেমন- Beijing language & culture ইউনিতে অনেক ছাত্র আসে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য তাই তাদের card না বানালেও চলে. এই সুযোগটা বহিরাগতরা নিতে পারে, বেইজিংয়ের xue yuan lu 学院路 এলাকায় বেড়াতে গেলে মাত্র ৮ ইউয়ান খরচ করে ভরপেটে খাওয়া যায় যা বাইরের কোন রেস্টুরেন্টে অসম্ভব. এদের ডাইনিং হলে সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি কিনে খেতে হয়, আমাদের দেশের মত এক ঢোক খেয়ে গ্লাসের বাকি পানিটুকু ফেলে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই. পুরো চীনেই বোতল পানির ব্যবস্হা. খুব অবাক হই যখন দেখি আমার ফ্রেন্ডরা খাওয়া শেষ করতেছে এক ফোঁটা পানি ছাড়া! আমাদের দেশে কেউ কি কল্পনা করতে পারে ভাত খাওয়ার শুরু থেকে শেষ অবধি এক গ্লাস পানিও খাবে না............... ফ্রি পানির যেমন ব্যবস্হা নেই তেমনি ভাত ইচ্ছামত, গামলা ভরা ডাল ! এসব নেই. যতটুকু ভাত খাবা ততটুকুই ওজন করে দিবে, এদের ডাইনিং গুলোতে আমাদের মত খাবার অপচয় হয় না, ডিশ ভরে ভাত ফেলে দিতে হয় না. এখানে ডাইনিং হলে যে শুধু ছাত্ররা খায় তা নয়, যে চেয়ারে বসে একটা ছাত্র খায় ঐ একই চেয়ারে বসে ডীন মহোদয়ও খান. শিক্ষকরাও খায় বলেই হয়ত ডাইনিং হলের পরিবেশ খুব্বি নীট এন্ড ক্লিন. আমাদের দেশে শুধু দুপুর আর রাতের খাবার করলেও এদের ডাইনিংয়ে ৩ বেলা ই রান্না হয়. এখানে মাসিক মিনি Feast/ বাৎসরিক কোন Feast এর সিস্টেম না থাকায় কেমন যেন একঘেয়েমি লাগে. আমাদের দেশে Feast মানেই আনন্দ, সবার মধ্যে একটা আলাদা উত্তেজনা. ডাইনিংয়ের দরজার সামনে উপচে পড়া ভিড়, প্রতীক্ষা..... কখন খুলবে দরজা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।