আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার ব্যাচেলর অথবা স্টুডেন্টদের অমানবিক যুদ্ধের খানিকটা... প্রসঙ্গঃ বাড়ি ভাড়ার নামে রমরমে ব্যবসা

ভালো মানুষ হবার জন্য ভালো ছাত্র হতে চাই..সেটার জন্যই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র... নতুন বছরেই শুরু হয়ে গেলো এক অসম যুদ্ধ !!! যেখানে পরাজয় মেনে নিয়েই শুধুমাত্র নিজের অস্তিত্বের জন্য টিকে থাকতে হয় বিশেষ করে কলেজ বা ভার্সিটি পড়ুয়া স্টুডেন্টদের। মাত্র ২০/৩০ হাজার টাকা মূলধন এককালীন বিনিয়োগ করে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫০০০ টাকা নিশ্চিত আয় করাটা এখন আর কোন ব্যাপারই না। প্রতিমাসে মাত্র ৫/১০ ঘন্টা সময় দিয়ে যে কোন মানুষ এই টাকা আয় করতে পারবেন!!! ভাবছেন নতুন কোন এম.এল.এম কোম্পানীর মার্কেটিং প্লান বলছি। না ভাই কোন কোম্পানী না। ঢাকায় ব্যাচেলরদের নিরুপায় অবস্থাকে পুজিঁ করে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই, কখনোবা বেআইনিভাবে বাড়ি ভাড়ার নামে শুরু করেছেন রমরমে ব্যবসা।

এই ধরণের অসাধু ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাড়িওয়ালা এবং দ্বিতীয় ধাপের মধ্যসত্ত্বভোগী শ্রেণী। এরা বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে পুনরায় চড়াদামে ভাড়াটিয়াদের বাড়িভাড়া দিয়ে থাকে। সাবলেট বাড়ি ভাড়া যারা দেন তারাও এই শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত। ফলে কয়েকধাপে বাড়িভাড়া বেড়ে এমন একটা পর্যায়ে যায় যা সত্যিই অমানবিক,বেআইনি,শাস্তিযোগ্য এবং অবৈধ। বাড়ির অবস্থা এবং গ্রেডিং অনুযায়ী ভাড়া নির্দিষ্ট।

বাড়িভাড়া বাবদ আদায়কৃত অর্থ থেকে প্রতিমাসে ট্যাক্স প্রদান করার বিধান রয়েছে। এগুলোর একটি বিধান না মানলে জেল জরিমানার বিধান এ দেশে আছে। বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন : বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশে যে একটি আইন প্রচলিত আছে তা অনেক ভাড়াটিয়া, এমনকি বাড়িওয়ালাও জানেন না। বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বশেষ ১৯৯১ সালে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করে, যা ১৯৯১ সালের ৩নং আইন নামে পরিচিত। বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, বাড়ির অবস্থা এবং গ্রেডিং অনুযায়ী ভাড়া নির্দিষ্ট কোনো বাড়ির ভাড়া মানসম্মত ভাড়ার বেশি বৃদ্ধি করা হলে ওই অতিরিক্ত ভাড়া, কোনো চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও আদায়যোগ্য হবে না।

অর্থাৎ কোনোভাবেই মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না। এমনকি এ মর্মে কোনো চুক্তি থাকলেও তা কার্যকর হবে না। মানসম্মত ভাড়া বলতে আইনে ওই এলাকার এবং বাড়ির সুযোগ-সুবিধার উপযুক্ত ভাড়ার কথা বলা হয়েছে। • ভাড়া বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে আপসে নির্ধারিত হতে পারে। • ক্ষেত্রবিশেষে ভাড়াটিয়ার অভিযোগ থাকলে ঘর ভাড়া নিয়ন্ত্রকও এ ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে পারেন।

• ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত ব্যাপারে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে মনোমালিন্য হলে ভাড়াটিয়া যদি ঘর ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন জানান, তার ভাড়া মানসম্মতের অধিক, তাহলে নিয়ন্ত্রক সেটা যাচাই করে মানসম্মত ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে পারেন। বাড়ি ভাড়া আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়ার আবেদনের ভিত্তিতে কোনো বাড়ির মানসম্মত ভাড়া নির্ধারণ করা হবে এবং এমনভাবে তা নির্ধারণ করা হবে যেন এর বার্ষিক পরিমাণ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্থিরকৃত ওই বাড়ির বাজারমূল্যের ১৫ শতাংশের সমান হয়। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে মানসম্মত ভাড়ার পরিমাণ এর অধীনে নির্ধারণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে অনুরূপভাবে নির্ধারিত মানসম্মত ভাড়া হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়ার দরখাস্তের ভিত্তিতে দুই বছর পরপর ঘর ভাড়া নিয়ন্ত্রক ১৫ ধারা মোতাবেক মানসম্মত ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে দিবেন। এ ছাড়া বাড়ি ভাড়ায় অগ্রিম প্রদানের কোনো চুক্তি, চুক্তি আইনের ২৩ ধারা মতে বারিত।

এ ছাড়া এক মাসের ভাড়ার অধিক অর্থ অগ্রিম হিসেবে গ্রহণ করা বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ। বাড়ি, দোকান, অফিস, গুদাম বা অন্য যে কোনো গৃহ ভাড়া দেওয়ার বা নবায়ন করার সময় কোনোরূপ অগ্রিম সালামি বা জামানত গ্রহণ কারা আইনবিরুদ্ধ। আরো কিছু লিখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু তথ্যের অভাবে সেটা আর হয়ে উঠলো না। যাইহোক, এইগুলো কি দেখার কেউ নেই??? আমরা কি অসহায় অথবা অভিভাবকহীন ঢাকাতে বসবাস করি !! আল্লাহ্‌ মালুম !! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।