মনের সব স্বপ্নগুলো একদিন বাস্তব হয়ে ধরা দেবে, আমি সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী। আলহামদুল্লিয়াহ
টানা সাড়ে ছয় ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারের পর জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের জ্ঞান ফিরেছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য তাঁকে পোস্ট-অপারেটিভ কক্ষে রাখা হয়েছে। নিউইয়র্কের সময় মঙ্গলবার সকাল নয়টা ২২ মিনিটে নগরের বিখ্যাত বেলভ্যু হাসপাতালে হুমায়ূন আহমেদের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। হাসপাতালের অনকোলোজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সার্জন জর্জ মিলারের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারে সহযোগিতা করেন ড্যানিয়েল কুজউন ও উইলিয়াম।
‘লোকালাইজড অ্যাম্বোলাইজেশন’ নামের সর্বাধুনিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর লিভারে ছড়ানো ক্যানসারকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের কোলনে (বৃহদান্ত্র) ক্যানসার আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা হয়েছে।
সফল অস্ত্রোপচারের পর সার্জন জর্জ মিলার বিকেল সাড়ে চারটার সময় হুমায়ূন আহমেদকে পোস্ট-অপারেটিভ কক্ষে স্থানান্তর করেন। এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত স্বজনদের কাছে চিকিত্সকেরা অস্ত্রোপচারের খুঁটিনাটি ব্যাখ্যা করেন। হুমায়ূন আহমেদের শারীরিক অবস্থা চমত্কার বলে তাঁরা মন্তব্য করেছেন।
পুরোপুরি জ্ঞান ফেরার আগে তন্দ্রাচ্ছন্ন হুমায়ূন আহমেদ কেবল ‘কুসুম কুসুম’ বলে ডাকছিলেন। হাসপাতালে সঙ্গে থাকা স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে হুমায়ূন আহমেদ ‘কুসুম’ বলে ডেকে থাকেন।
অস্ত্রোপচার চলাকালে দিনভর হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম, লেখক দম্পতি জ্যোতি প্রকাশ দত্ত ও পুরবী দত্ত, মুক্তধারার বিশ্বজিত্ সাহা ও হুমামূন আহমেদের বাল্যবন্ধু নুরুজ্জামান মণ্ডল।
দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরলে হুমায়ূন আহমেদ পানি পান করতে চেয়েছেন। ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত মুখে কিছু দেওয়া বারণ থাকলেও চিকিত্সকেরা তাঁকে বিকল্প পথ্য দিয়েছেন।
বেলভ্যু হাসপাতাল থেকে বিশ্বজিত্ সাহা জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা পর হুমায়ূন আহমেদকে রিকভারি এলাকা থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। সাত থেকে ১০ দিন তাঁকে চিকিত্সকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। অস্ত্রোপচারের শতভাগ সফল হওয়ায় চিকিত্সকেরা তাত্ক্ষণিকভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রায় ১০ মাস থেকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হুমায়ূন আহমেদ নিউইয়র্কে চিকিত্সাধীন। কেমোথেরাপির পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটলে চিকিত্সকেরা অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।
এর ফাঁকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তিনি বাংলাদেশও ঘুরে যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।