হেডিং দেখেই যারা কোপাইতে দৌড়ায়া আসছেন, তাগো ডড়ায়াই কতাইছি, পোষ্ট পৈড়া লন আগে।
পৃথিবীতে সবচে আপন যদি কেউ থেকে থাকে সেই জন "মা" ছাড়া আর কেউ নয়। সেই মায়ের সৃষ্টি কিন্তু পুরুষ জাতী থেকে নয়, নারী জাতী থেকেই। সে পথ ধরেই যদি আপনি নারী জাতীকেই সম্মান প্রদর্শনে অপরাগ, অনিচ্ছুক হন তাহলে পক্ষান্তরে আপনি মা'কেই অপমানিত করলেন।
নারী মানে সুন্দরের প্রতীক, নারী মানেই স্বর্গীয় সুখ, নারী মানেই শ্রদ্ধার পাত্র, নারী মানেই ভালবাসার পেয়ালা।
নারী মানেই ফুটন্ত সুভাষিত ফুল।
নারীতে নারীতে ধন্ধ, পুরুষে পুরুষে ধন্ধ, নারীতে পুরুষেও দ্ধন্ধ, মনোমালিন্য, কলহ, বিদ্ধেষ, রাগারাগি চলতেই থাকবে মানবীয় প্রাকৃতিক গুনাবলীর কারণেই। ব্যক্তি ঈর্ষাপরায়নতা, ব্যক্তি বিরক্তিবোধ, ঘৃণাবোধ, রেষারেষির ফলেই সৃষ্ট সমস্যা থেকেই একে অপরের উপর প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে পড়ে অনেকেই। সেটা রুপ নেয়, মারামারিতে, খুনাখুনিতেও শেষ অবধি।
কিন্তু যে কোন কারণেই হোকনা ক্নে একজন নারীর প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে কি করে ধর্ষণে লিপ্ত হওয়া তা আমার বোধগম্য নয়।
অনেকটা সময় তা দেখা যায় কোন কারণ ছাড়াই নিজ উত্তিপ্ত লিঙ্গের উত্তেজনা নিবারনেই কেবল একটা নারীর জীবন তচনচ করে দিয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে হায়েনা রুপে ধর্ষক হয়ে।
ধর্ষন জিনিসটাই কত ভয়ানক তা ভেবেই আমি শিউরে উঠি। কি অমানবিক, কি করুন, কি অত্যাচার, কি নিদারুন অপমানকর এবং কি রকম হিংস্রতা ভর করলেই একজন নারীকে একজন পুরুষ ধর্ষণ করতে পারে তা ভেবেই আমি কাহিল হয়ে পড়ি।
অনেক্কেই বলতে শুনি ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যু দন্ড। আমি না, কখনোই না।
তাদের এক মুহুর্তেই তাদের মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে নিঃশেষ করে দেয়া যায়না। একজন পুরুষ হয়েই লজ্জার মাথা খেয়েই বলছি তাদের লিংগ কেটে চিরদিনের জন্য কষ্ট লালনের সুযোগ করে দেয়ায় উত্তম।
যখন শুনি একজন পুরুষ কতৃক একজন নারীর ধর্ষণের খবর, তখন একজন পুরুষ হয়ে নিজেকে লজ্জায় মুখ দেখাতেও ঘৃনা বোধ হয়, সেখানে কি করে একজন নারী সেই ধর্ষকের সাহায্যার্তে এগিয়ে যায়?
একজন নারী হয়ে যদি আরেক নারীর কষ্ট না বুঝে, তাহলে সেতো নারী হয়ে নারী নামের কলঙ্ক। একজন নারীকে একটা হায়েনা রেপ করল, আর সেই রেপিস্টকে সাহায্য করে আরেক নারী ৫ হাজার টাকায় জামিন দিয়ে, আমরা পুরুষ এত চিল্লায়া লাভটা কি??
এই একটা জায়গায় যদি দেশের কোন ক্ষেত্রই যদি এগিয়ে না যেত তাদের সাহায্যার্তে, পুলিশ যদি তাদের প্রতি সদয় না হলো, কোর্ট কাচারীতে কোন উকিল মোকতার, ব্যারিষ্টার যদি তাদের সাহায্যে কেইস হাতে না নিত, তাহলে এই ধর্ষণকারী শুয়োরগুলো রেহায়তো পেতইনা, অন্য কোন হায়েনাও সেই অপরাধে জড়িত হবার সাহসটুকুও পেতনা।
আজ যদি ওই রেপিষ্টকে জামিন দেয় মহিলাটিকে ১০ জন পুরুষ গনহারে ধর্ষণ করে তাহলে আমি বিন্দু মাত্র বিচলিত হবোনা।
বরং আমি তাদেরকে নিজের টাকা দিয়েই জামিন নিয়ে আসব। কারণ, একটা নারীর জন্য ধর্ষণটা কত ভয়ানক, কতো কষ্টের, কত অপমানের, কত দুর্বিসহ তা ওই মহিলার বুঝা উচিত।
উপরের ছবিটি
ইনি-ই সেই মহীয়সী নারী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলী।
চিটাগাং ইউনিভার্সিটির ল/ ১০ম ব্যাচের ছাত্রী।
ইনি একজন রেপিস্টকে জামিন মঞ্জুর করেছেন ৫ হাজার টাকায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।