তাশফী মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে অনুষ্ঠেয় ১৮ দলীয় জোটের গণসমাবেশে যথেষ্ট আদর পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াত।
বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশের সুউচ্চ বেশ কিছু ভবনে টানানো ডিজিটাল ব্যানারে গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীদের প্রমাণ সাইজের ছবি ওঠে রোববার রাতেই। আর সোমবার সাত সকালেই ঢাকা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদকে নিয়ে মঞ্চে আসেন ১৮ দলীয় জোটের মহানগর সমন্বয়ক আব্দুস সালাম।
জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) গণসঙ্গীত পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে সালাম ও মাসুদের কথা বলার পাল্লা। এক পর্যায়ে জামায়াতের গানের দল ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীও উঠে আসে মঞ্চে।
ওদিকে সকাল ১১টার মধ্যেই জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীতে সয়লাব হয়ে পড়ে নয়াপল্টনের রাস্তা। ১৮ দলীয় জোটের সব দলের চেয়েও জামায়াতের কর্মী যেন বেশিই মনে হয়।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মুক্তির দাবিতে বেশ জোরের সঙ্গেই স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
জামায়াত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো জামায়াত কর্মী আসছে।
জামায়াত-শিবিরের এসব নেতা-কর্মী সমাবেশের শৃঙ্খলাটাও মানতে চাইছে না যেন।
মাঝে মধ্যেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে তাদের জন্য নির্ধারিত স্পট থেকে ছড়িয়ে পড়তে চাইছে তারা। এ নিয়ে হ্যাপাও নেহায়েত কম হচ্ছে না। এমনকি মঞ্চের সামনে বসা নিয়ে এক দফা সংঘর্ষও হয়ে গেছে এরই মধ্যে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু সংঘর্ষ শেষে ফের সহাবস্থান নিয়েছে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির।
যেন জামায়াত-শিবিরকে কিছুই বলতে নেই।
এদিকে দুপুরের মধ্যেই ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম জামায়াত, বরিশাল মহানগর জামায়াত, পিরোজপুর ও জামালপুর জেলা জামায়াত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির, ঢাকা কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মহানগর, ঢাকা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট, সরকারি বিএল কলেজ, চাঁদপুর জেলা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা জনসমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতি কেমন হতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সভাপতি মামুন বাংলানিউজকে বলেন, “এখন পর্যন্ত সবাই আসতে পারেনি। তবে দেশের সব এলাকা থেকেই জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের আজকের জনসমাবেশে আসতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে অন্তত পক্ষে এক লাখ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী জনসমাবেশস্থলে যোগ দেবে বলে আশা করছি।
”
চাঁদপুর থেকে আসা শিবির কর্মী আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকা থেকে কয়েকশ’ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী সমাবেশে এসেছেন। এছাড়া দেশের সব অঞ্চল থেকেই জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেখা যায়, জনসমাবেশের মঞ্চ থেকে নাইটেঙ্গল মোড় পর্যন্ত প্রায় পুরো এলাকা জামায়াত-শিবিরের দখলে রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের হাতেই যুদ্ধাপরাধে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে ব্যনার ও প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে। তবে সেই তুলনায় জনসমাবেশস্থলে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে সকাল থেকেই জনসমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে তাদের শোডাউনও ছিল লক্ষ্য করার মতো। সেখানে তারা বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টার নিয়ে মিছিল করে।
ব্যানার-পোস্টারে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক নেতাদের মুক্তির দাবি করা হয়েছে।
মিছিলে তারা বর্তমান সরকারবিরোধী স্লোগান ও আটক নেতদের মুক্তির দাবি জানায়।
এদিকে জনসমাবেশ সফল করার জন্য সভাস্থলের আশপাশে ১৫ দফা দাবি সংবলিত একটি প্রচারপত্র বিলি করে ঢাকা মহানগর জামায়াত।
-------------------------------
সুত্র- View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।