অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে টনি অ্যাবোটের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট জয়লাভ করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন। আজ শনিবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কেভিন রাড টনি অ্যাবোটকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর টনি অ্যাবোট বলেন, শুরুতেই তিনি সবার কাছে নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ সরকার গঠনে কাজ করবেন।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়, আজ শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ নির্বাচনে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। এতে বিরোধী দলের জোট লিবারেল-ন্যাশনাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। এবারের নির্বাচনে দেশটির অর্থনীতি, শরণার্থী ও কার্বন ট্যাক্সের মতো বিষয়গুলো বেশ প্রভাব রেখেছে। টনি অ্যাবোট ২০০৯ সালে লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
২০১০ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রধান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন জুলিয়া গিলার্ড।
পরে তিনি পার্টির প্রধানের পদ থেকে অবসর নিলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন কেভিন রাড।
জয়লাভের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে টনি অ্যাবোট বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি, আজ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন তত্ত্বাবধান শুরু হবে। দেশটিকে এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হলো। ’
এদিকে পরাজিত প্রার্থী কেভিন রাড বলেন, এরপর তিনি আর লেবার পার্টির প্রধান হতে প্রতিযোগিতা করবেন না। তিনি নতুনভাবে কিছু শুরু করতে চান।
তিনি বলেন, ‘এ ফলাফলে দলের সমর্থকেরা ভীষণভাবে আহত হয়েছেন। দলের নেতা হিসেবে আমি এর দায়িত্বভার গ্রহণ করছি। ’
খবরে বলা হয়, ৯১টি আসনে জেতার ভবিষ্যদ্বাণী করলেও টনি অ্যাবোটের লিবারেল-ন্যাশনাল জোট পেয়েছে ৮৫টি আসন। আর লেবার পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন।
এদিকে নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয়ের পেছনে দলের অন্তর্কোন্দলকেই দায়ী করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক লেবার পার্টির নেতা বব হক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।