আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাব্বাস শ্রীলংকাঃ ভারতকে উপেক্ষা করেই গভীর সুমুদ্র বন্দর চালু! আর আমাদের দিপু মণি

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অবশেষে চীনের সহায়তায় নির্মিত শ্রীলংকার হামবানটোলায় গভীর সুমুদ্র বন্দরটি চালু হল। সুমুদ্র পথে যাতায়াত করা দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ জাহাজ এটা ব্যাবহার করতে পারবে। এটা লংকান অর্থনীতির জন্য বিশাল মাইল ফলক। Click This Link এই বন্দরের কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে। এটা ছিল প্রথম স্তরের কাজ।

যা ২০১০ সালে নির্মাণ শেষ হয়। বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে চলাচল কারী ২০% জাহাজ এখানে আসবে। নতুন ৫০ হাজার চাকুরীর সৃষ্টি হবে। এ ছাড়াও চীন কলম্বোতে দ্বিতীয় বন্দর নির্মাণ করবে। শ্রীলংকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে চীন আগামী ১০-১৫ বছরে সেখানে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

শ্রীলংকা ভারতকেও এই খাতে বিনিয়োগ করতে বলেছিল। কিন্তু ভারতীয়রা বলে এই গভীর সুমুদ্র বন্দর নাকি লাভজনক নয়। এ ছাড়াও তার পাশাপাশি চীনারাও লংকায় থাকবে এটা দিল্লীর জন্য দারুণ অস্বস্তিকর। দিল্লীর আশংকা যে বেইজিং এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এখানে তার উপস্থিতি সংহত করছে। অথচ দিল্লী একেতো আধিপত্যবাদী উপরন্ত অর্থনৈতিক ভাবে দারুণ দূর্বল।

চীন যে পরিমাণ বিনিয়োগ(হামবানটোলাতে ১.৫ বিলিয়ন ডলার) করেছে ভারত সেই পরিমাণ দুঃসাধ্যই বটে। ভারতের প্রতিবেশীরা অর্থনৈতিক ভাবে আরো সবল হৌক এই বিষয়ে দিল্লী আন্তরিক নয়। সে চায় সার্কের দেশ গুলো যেন ভারত নির্ভর থাকে। তবে সে যাই হৌক লংকানরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও জাতি হিসেবে দারুণ ঐক্যবদ্ধ। তাই ভারত মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী তামিলদের কঠোর হস্তে দমন সহ দিল্লীকে উপেক্ষা করে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

আর আমাদের বাংলাদেশে ভারত প্রেমিক হাসিনা ও তার অথর্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মণির জন্য দারুণ উজ্জল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত ভাবে হতাশই হতে হচ্ছে। সেই ২০১০ সালেই হাসিনার আবেদনে চীনারা কক্সবাজারে গভীর সুমুদ্র বন্দর করে দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়; Click This Link বলা হয়েছিল সেই বছর ২০১০তেই প্রথম স্তরের কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালে নির্মাণ শেষ হবে। কিন্তু দিল্লীর প্রভাবে দিপু মণি এর সাথে ভারতকেও জড়িত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফলে চীনারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এই কারণে গভীর সুমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শুরুই করা যায়নি।

বর্তমান হাসিনার মহাজোট ভারত বলতে অজ্ঞান। অথচ ভারত এতই কাঙাল সে আমাদের গভীর সুমুদ্র বন্দর তৈরি করতে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য তো দূর তথাকথিত ট্রানজিটের সড়ক ও রেল অবকাঠামোর জন্য চুক্তি হওয়া ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেই-দিব-দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপন করছে। উল্টো বিবদমান চট্টগ্রাম ও মংলার কাঠামোয় প্রায় বিনা ফিতে ব্যাবহার করতে চাচ্ছে। সে নিজেও কোন ভারসাম্য পূর্ণ লেনদেন বাংলাদেশের সাথে করবে আবার চীনকেও এখানে বিনিয়োগ করতে দিবে না। এই চীন ও গভীর সুমুদ্র বন্দর বিষয়ে মনমোহন সিং গত বছর ২০১১র সেপ্টেম্বরে এসে দিল্লীর অসন্তষ্টির কথা জানিয়ে দেয়; But India's overtures are dwarfed by Bangladesh's flourishing friendship with its main trading partner, China, a big weapons supplier that is also helping build ports in the riverine nation that straddles the Ganges Delta and the Bay of Bengal. Click This Link ব্যাস আর যায় কোথায় হাসিনা ও তার দল চীনের এই গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকে হিমাগারে পাঠিয়ে দেয়।

হাসিনা ও তার আলীগের কাছে বাংলাদেশের বাইরে ভারতই গোটা পৃথিবী! এটা সভ্য জগত হতে বিচ্ছিন্ন বলা চলে। দিনকে দিন জনসংখ্যা, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, যোগাযোগ অব্যাবস্থা সহ দ্রব্যমূল্য আকাশ চুম্বী সেটাতো করতেই পারছে না বরং কিভাবে দিল্লীকে খুশী রাখা যায় সেই চেষ্টায় হাসিনা গং মত্ত। এমনকি দিল্লী যা করবে না সেটাও আগ বাড়িয়ে দিপু মণি বলে যে হবে। তিস্তা নদীর চুক্তি বিষয় তা উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আর বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের এই বিষয়ে চেয়ে তামশা দেখা ছাড়া আর কোন কিছু করার নেই।

মাত্র এক কোটি লোকের দেশ শ্রীলংকা যেভাবে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ তার ধারের কাছেও আমরা নেই।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.