আগে দেখুনতো এই (পরিষধ???) এর অর্থ কী???
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুক্তি ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে গঠিত ‘তারেক রহমান পরিষদ’ নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ এ সংগঠনকে সহ্য করতে পারছেন না। জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ৪ জুন বিকালে শহরে নবাববাড়ী সড়কের দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ সভার মাধ্যমে সংগঠনটি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। উদ্যোক্তাদের উকিল নোটিশ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতেও কাজ না হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়।
তবে তারেক রহমান পরিষদের সদস্য সচিব সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম গফুর বলেন, এ জেলায় ‘নেতার’ পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। বিএনপি শুধু ‘ক্যামেরা শো’ করছে। তাই পেশাজীবীদের নিয়ে সংগঠনটি করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল শহরতলির মাটিডালির একটি হোটেলে ‘তারেক রহমানের প্রতিক্ষায় বগুড়াবাসী’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত নেতাদের পরামর্শে কয়েকদিন পর ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট ‘তারেক মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়।
নাম নিয়ে বির্তক হলে তারেক রহমান পরিষদ রাখা হয়। সাংবাদিক রেজাউল হাসান রানু আহ্বায়ক, সাংবাদিক আবদুর রহিম বগরা যুগ্ম আহ্বায়ক ও মাইদুল ইসলাম গফুরকে সদস্য সচিব করা হয়। সঙ্গে রয়েছেন বিএনপি নেতা সরকার বাদল, ওমর ফারুক খান, ইনছান আলী, ইঞ্জিনিয়ার কোরবান প্রমুখ। কমিটির অধিকাংশই বিএনপিতে অবহেলিত। এদিকে তারেক রহমান পরিষদ গঠন করার পর থেকে জেলা বিএনপিতে অসন্তোষ দেখা দেয়।
দায়িত্বশীল নেতারা এ কমিটি বিলুপ্ত করতে হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। সর্বশেষ সোমবার বিকালে নবাববাড়ী সড়কের দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ সভা আহ্বান করেন। জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, জিয়া পরিবার নিয়ে কোন সংগঠন করতে হলে অনুমোদন নিতে হয়। তারেক রহমানকে নিয়ে কোন সংগঠন করা যাবে না। কোন নেতাকর্মী ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি তারেক রহমান পরিষদ নেতাকর্মীদের সতর্ক করার জন্য উকিল নোটিশ করতে অ্যাডভোকেট বাসেদ ও মুক্তাকে নির্দেশ দেন। এতেও তারা সংগঠন বিলুপ্ত না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে তারেক রহমান পরিষদের সদস্য সচিব মাইদুল ইসলাম গফুর বলেন, তারেক রহমান এ জেলার জন্য অনেক কিছু করেছেন। আজ তার পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। জেলা বিএনপি শুধু ক্যামেরা শো করছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় যুবদল সভাপতি সিপারের মুক্তির দাবিতে ব্যানার-পোস্টার জেলার আনাচে-কানাচে লাগানো হয়েছে। সে তুলনায় তারেক রহমানের জন্য কিছুই করা হয়নি। তাই পেশাজীবীদের নিয়ে তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সংগঠনটি করা হয়েছে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আনতে মানববন্ধনসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি দাবি করেন, তাদের এ কর্মসূচি সফল হলে বিএনপি সভাপতির থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে।
তাই তিনি তারেক রহমান পরিষদ বিলুপ্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। গফুর বলেন, তাদের সংগঠনের ব্যাপারে চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল সোহেলকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগিরই নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কোন শক্তিই তারেক রহমান পরিষদ বিলুপ্ত করতে পারবে না। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর
বগুড়ায় তারেক বাহিনীর আরও খবর-
'এডা তারেকের জেলা'
পাঁচ বছরে বগুড়ায় কোটিপতির সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। আগে ছিল দেড়শর কাছাকাছি। এখন ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। বগুড়ায় সম্পত্তি কার্যক্রম শুরু করা বেসরকারি একটি ব্যাংকের ম্যানেজার এ তথ্যটি দিয়েছেন। জোট সরকারের শেষ বছরে বগুড়ায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঝাঁক ধরে আগমনের অন্যতম কারণও সেটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যাংক ম্যানেজার আরো যা বলেছেন তাহলো জোটের ৫ বছরের শাসনামলে বগুড়ায় অন্তত ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে যার ৯৫ শতাংশ অবকাঠামো খাতের। সরকারিভাবে বিনিয়োগ করা ওই টাকার মধ্যে কম করে হলেও ৩০০ শতাংশ অর্থাৎ ৫০০ কোটির ও বেশি টাকা রাজনৈতিক চ্যানেলে বগুড়াতেই রয়ে গেছে। এছাড়া নিয়োগ ও বদলিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে তদবির থেকে ও বিদায়ী সরকারের রাজনৈতিক নেতাদের অর্জিত টাকার অংক একেবারে কম নয়। তার মতে মৌমাছির কাছে মধু যেমন ব্যাংকগুলোর কাছে টাকাও তেমন। ব্যাংক কর্মকর্তার উচ্চরিত সেই রাজনৈতিক চ্যানেল যার বদৌলতে বগুড়ায় কোটিপতির সংখ্যা রাতারাতি বেড়েছে।
সেটির খোঁজ জানতে ও প্রতিবেদককে একটুও বেগ পেতে হয়নি। সহজ ভাষায় প্রশ্ন করাতে একজন রিকশা চালক জিয়া পুত্র তারেক রহমানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন এডা তারেকের জেলা। এটি অন্য কারো খাওয়া নাই। বগুড়ায় তারেকের সঙ্গী সাথীদের কথা জানতে চাইলে মোজাম্মেল নামেও রিকশা চালক বলেন। ৫ বছরে ভাইয়ার নাম করে তারা ট্যাক পয়সা তো আর কম কামায়নি।
এখন আর্মিরা যদি হিসাব লিবার চায় সে জন্য ওরা ভয়ে লুকিয়ে আছে।
জিয়া পরিবারের অভিভাবক দাবিদার তৎকালীন সংসদ হেলালুজ্জমান তালুকদার লালুর বাস ভবন চম্পা মহলের একটি কক্ষে দীর্ঘদিন বসবাসের পর জোট সরকারের শাসনামলে ওই মহলের অভ্যন্তরেই তারেক রহমানের জন্য পৃথক বাস ভবন কাম আবাসিক কার্যালয় তৈরী করা হয়। নিজের বাস ভবন কম্পাউন্ডে তারেকের বসবাস এবং সেখানেই তার আবাসিক কার্যালয় গড়ে ওঠায় তৎকালীন সাংসদ লালু বগুড়াসহ সারাদেশে নিজেকে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনান্তিকে বগুড়াবাসী তারেকের এ আবাসকে বগুড়ার হাওয়া ভবন বলে ডাকত।
২০০২ সালের আগষ্টে সারা দেশে তোলপাড় করা গম কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার পরও দল এবং সংসদে লালুর বহাল থাকার পাশাপাশি শহরের সত্রাপুরে তার বাসভবন কম্পাউন্ডে জিয়া পুত্রের অব্যাহত আসা-যাওয়াই তার বড় প্রমাণ।
এর ঠিক এক বছরের মাথায় ওই চম্পা মহলের দোতলায় তারেক রহমানের অবস্থানকালে ২০০৩ সালের ৯ এপ্রিল রাতে নিচতলায় বসে সাংসদ লালু এলজিইডির ১৪ কোটি টাকার টেন্ডার দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে ভাগবাটোয়ারার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েও পার পেয়ে যায়। ওই ঘটনায় জড়িত স্থানীয় বিএনপির ৬ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও রহস্যজনক কারণে লালু আগের মতোই নিরাপদ থাকেন। সংশ্লিষ্ট সত্রে জানা যায় বার বার অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ায় লালু পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত বদলির নামে নানা বাণিজ্যে জড়িয়ে টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। এমন সময় নিজেকে বগুড়ার জয়নাল হাজারী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন তিনি। বলা চলে বগুড়ায় তারেক রহমানের প্রশ্রয়ে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় মডেল বনে যান লালু ওরফে গম লালু।
সমকাল, ৫ ফেব্রুয়ারি ০৭
বগুড়ায় বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ত্রাণের কম্বল উদ্ধার
শোকরানা ও ভিপি সাইফুল আটক
যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রোববার রাতে বগুড়ায় বিএনপির সাবেক নেতা কোটিপতি ব্যবসায়ী শোকরানার গুদাম থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডারের ২১০ পিন্স কম্বল বিপুল পরিমান শীতবস্ত্র উদ্ধার করেছেন।
শহরতলীর ছিলিমপুরে শোকরানার মালিকানাধীন চার তারকা হোটেল নাজ গার্ডেন এর পাশের চাতাল সংলগ্ন গুদাম থেকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ১৪ কোটি টাকা মল্যের ৫২ হাজার ২৮ বস্তা মসুর ডালও আটক করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডারে মালামাল নিজ গুদামে রাখা দলীয়ভাবে সেগুলো মালিকানা দাবী করার যৌথবাহিনীর সদস্যরা মালিক শোকরানা ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ওরফে ভিপি সাইফুলকে আটক করেছেন। তবে ডাল মজুদকারী অপর ব্যবসায়ী পরিমল সিং পলাতক।
আটক জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডারের কম্বল আটক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন, বগুড়া সদর আসনে সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে তিনি সেগুলো দলের পক্ষে গ্রহণ করে গুদামজাত করেছিলেন।
যৌথ অন্যদিকে বিএনপির সাবেক নেতা শোকরানা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিএনপিতে থাকাকালে তারেক রহমানের অনুরোধে শীতবস্ত্রগুলো তার গুদামে রাখতে দিয়েছিলেন। বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরও শোকরানা গুদামে দলীয় এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডারের মালামাল রাখার কারণ জানতে চাইলে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই রাখা হয়েছিল।
সমকাল, ১২ ফেব্র“য়ারী ০৭
বগুড়ায় তারেককে ঘিরে আছেন খুন সন্ত্রাসে জড়িত নেতা কর্মীরা
বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান গত পাঁচ বছরে বগুড়ায় সন্ত্রাসী ও নানা ধরনের অপরাধীদের দলে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। ওই সময়ে সংগঠিত অন্তত ডজন খানেক খুনের মামলার আসামীরা বগুড়া বিএনপির নেতৃত্বে থেকে আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরছে তারেকের লোক পরিচয় দিয়েই।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিহ্নিত অপরাধী ও সমাজবিরোধীর সঙ্গে তারেক রহমানের ঘনিষ্টতার প্রমাণ মেলে তারেক অনুমোদিত ১৯৯ পৃষ্ঠার তারেক রহমান শীর্ষক ছবির অ্যালবামে। (২৮ নভেম্বর ০৬ প্রকাশিত)। এ ছাড়া বেশ কিছু আলোকচিত্র এবং বিভিন্ন ঘটনায় ভুক্তভোগীও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য থেকে বগুড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠতার তথ্য জানা যায়। এই অ্যালবামে তারেকের সঙ্গে এমন সব লোকের ছবি দেখা যায় যারা বগুড়ার নিন্দিত ও বিতর্কিত। তারা তারেকের মনোনীত নেতা ক্যাডাররা কিভাবে খুন সন্ত্রাস করেছে দুই মিনিট ৩৭ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
সূত্র মতে শুধু গত ৫ বছরেই বগুড়া শহরে ১৫ থেকে ২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিন্তু এর একটি ঘটনায়ও অপরাধীরা শাস্তি পায়নি। কারণ এই অপরাধীরা নিজেদের তারেকের লোক হিসেবে পরিচয় দেয়।
প্রথম আলো ১৪ ফেব্রুয়ারি ০৭
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।