বাবা মারা গেছে এক যুগ আগে।
সন্তানদের জন্য রেখে গেছে বিস্তর সম্পতি। যোগ্যতানুযায়ী সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত।
তবে একজন অন্য জনের ছায়াও দেখতে পারে না। বড় ছেলে ছলিম মস্ত বড় উকিল।
তবে নামে। কোন কেসে জিতেনি। জিতবে কি জর্জ সাহেব কোটে আসলেই তার হাত পায়ের কম্পন শুরু হয়ে যায়। প্রভাবশালী নেতার হাত পা ধরে। দলিল লেখক , মহরীরকে ভাই চাচা ডেকে রিকসা ভাড়া পেতে সমস্যা হয় না।
সন্ধ্যার পর এলাকার প্রভাবশালী লোকজন তার চেম্বারে আসে। চেম্বারের জায়গা ও ঘর তার বাবার তৈরী। এলাকার ছিচকে চুরি থেকে শুরু করে,সতিনে সতিনে ঝগড়া, ভাইয়ে দ্বন্ধ, খাস জমি দখলের পরিকল্পনা, স্কূল কলেজ , মাদ্রাসা মসজিদের আয় ইনকাম এলাকার গন্য মান্য জগন্যদের মুক্ত আলোচনা হয় তার আখড়ায়। যত জাড়িজুরি সব রিকসা ড্রাইভার, পানের দোকানদার আথবা দিন মজুরের সাথে।
এলাকার রাজনেতিক নেতা তরমুজ আলী, গলার আওয়াজ বাড়িয়ে বলে
কি ছলিম ভাই তাড়াতাড়ি আইলেন মনে হয়
হ।
আদালত পৃথক হওয়ায় আমাগো কাম আনেক কইম্যা গেছে।
দক্ষিন ধারের আদালতে ভীড় কম । উওর ধারে বেশী
আপনার ছোট ভাই মফিজের খবর কি
ওই হারামজাদার কথা কইয়েন না। বাড়ীর ভাগ চায়।
আরো তোরা তো বাড়ী থাকবি না
বাড়ী থাকলে ভিন্ন কথা ।
শহরে থাকবি তো বাড়ীর ভাগ দিয়া কি করবি। বাড়ীতে আবি। যখন যা লাগে নিয়া যাবি।
ভাগ দেও, ভাগ দেও ফাল পারে।
বাবা আমারে উকিল বানাইছে দেখি কেমনে তোরা ভাগ নেছ।
অস্পষ্ট স্বরে বলে,ছোট ভাই ছটকুকে আমার শালীর সাথে বিয়া দিয়া সম্পত্তি টিকাইয়া রাখমু।
কিছু কইলেন
না
তো আপনার খবর কি?
আমাগো আর খবর কি
দেশে ইলেকশন কবে হইব তারকি ঠিক আছে।
সন্ধ্যার পর আরদে বই আর পান তামাক খাই।
তবে ভাই সরকার কিন্তু একটা কামের কাম করছে
দূনীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাইয়া।
আর কোন আপিসে ঘুষ দিতে হয় না।
দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কখন স্বাভাবিক হয় বলা যায় না।
অনেকক্ষন থেমে থেকে আবার বলে, রাজনীতির যা হয় হোক কিন্তু ভাই দোয়া কইরেন দেশে যেন বন্যা আর সিডর না হয়।
ডাক্তারের খবর কি?
আছে আর কি।
সেলিম পাগলের খবর কি
ওর মাথা ঠিক অইছে
বিয়ের পর একটু ভালো আইছে
ওতো সম্পতির ভাগ চায়?
মাথা আর ঠিক অইল কই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।