আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তরুণীর ২৬ টুকরা লাশ ও আমরা

রাজধানীর নাহার প্লাজার ১৩ তলায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটে। সুস্মিতা ওরফে পপি নামের একটি মেয়েকে খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি হন্তারক, তার লাশ ২৬টি টুকরা করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এটাকে কি আপনারা স্বাভাবিক ঘটনা বলবেন? খবরটি পড়ে যেকোনো সুস্থ মানুষই নিজেকে অসুস্থ ভাবতে শুরু করবে আমি নিশ্চিত। খবরটির খোঁজ শুরু হয় পরীবাগের একটি বাসার সামনে পায়ের দুটি হাড় ও একটি পায়ের পাতা উদ্ধারের মধ্য দিয়ে। তারপর পুলিশ সেই লাশের মূল শরীরের সন্ধানে খুঁজতে নামে।

পেয়েও যায় একটি বাসার ছাদ ও ওই ট্রাভেল এজেন্সি অফিসে। বাথরুমে মেয়েটির চুল, রক্ত, আর শরীরের কিছু টুকরা পড়েছিল। রক্ত ভেসে গিয়েছিল ওই অফিসের নিচ তলার একটি হোটেল রুমেও। জানি না আমরা কোনো সভ্য দেশে বাস করছি কিনা! মেয়েটির চিৎকার শুনতে পেয়েছিল কিছু লোকজন। পত্রিকার খবর অন্তত তাই বলছে।

তারা যখন ওই দরজায় নক করে, তখন ভিতর থেকে জানানো হয় সব ঠিক আছে। কিন্তু ওই লোকগুলো যদি একটু কৌতূহলী হয়ে ওই দরজার সামনেই কিছুক্ষণ অবস্থান নিতো, তাহলে হয়তো মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো। কে জানে? এ খবরটি শোনা এবং বিস্তারিত পড়ার পর থেকে একটা বিবমিষা বোধ আমার ভিতরে কাজ করছে। বিশ্বের উন্নত দেশেও এমন সিরিয়াল কিলারদের খোঁজ পাওয়া যায়। এমন বীভৎস হত্যাযজ্ঞ সেইসব দেশেও হয়।

কিন্তু এই হত্যাকারী কি সিরিয়াল কিলার? নাকি একটি ঘটনাই ঘটিয়েছে এই জীবনে? তাও আবার এতো শান্ত মাথায়? এই সমাজ, এই দেশ এসবের কোন কুল-কিনারাই করবে না। আমরা অপেক্ষা করবো আরও অনেকগুলো টুকরোর জন্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.